পেলিক্যান যখন উড়ে তখন এর বিশাল পাখা যেন পুরো গগন(আকাশ)কে বেড় দিয়ে ফেলে। এজন্য পেলিক্যান এর বাংলা নাম হয়েছে গগনবেড়।
অথচ পৌষের মিষ্টি সকালে বাংলার নীল-সাদা গগণকে বেড় দিয়ে উড়বার বদলে ৩০ বছর ধরে নিঃসঙ্গ বন্দী জীবন কাটাচ্ছে ছবির এই হতভাগ্য শুভ্র পাখিটি! নিজের চারপাশেই বরঞ্চ জড়িয়ে নিয়েছে খাঁচার বেড়।
কারণ, ১৯৯১ সালে পরিযায়ী হয়ে আসা এই পেলিক্যানের সঙ্গিনীকে বীর বাঙালি শিকার করে খেয়ে ফেলেছে আর এটিকে করেছে জখম। এরপর থেকেই একাকী বন্দী সে রাজশাহীর এক চিড়িয়াখানার খাঁচায়। গত ত্রিশ বছর ধরে একজন সঙ্গীও নেই তার।
দেশে ত পোলট্রি'র অভাব নেই - হাস মুরগী কোয়েল টার্কি'র বাণিজ্যিক উৎপাদন হচ্ছে। তারপরও কতোটা বর্বর, অসভ্য আর দানব হলে স্রেফ আনন্দলাভের জন্য এমন বৃহদাকার পরিযায়ী, মুক্ত একটি পাখি হত্যা করতে পারে মানুষ? কিভাবে পারে কোন কারণ ছাড়াই বোবা প্রাণীগুলোর জোড় ভাঙ্গতে?
ছোটবেলায় মুখে মুখে একটা ছড়া শুনেছিলাম, যতোটুকু মনে আছে এরকম-
"পেলিক্যান পেলিক্যান/এইদেশে এলি ক্যান/মরবি ত মরবি/না খেয়ে মরবি"
আসলেই হতভাগা পেলিক্যান কেনো যে এই দেশে আসলো!
ছবি ও সংবাদ সূত্র - প্রথম আলো
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মে, ২০২২ রাত ১১:৫৬