ম্যাগির নিরাপত্তায় বিএসটিআই !!!
বাংলাদেশের খাদ্যে ভেজাল ও বিষ মেশানোর হতে অনেক দিন ধরে। দীঘদিন প্রচার করে গণমাধ্যমে বিষয়টিকে তুলে ধরেন। আর বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট রোকনদৌল্লার কারণে এ বিষয়ে সকলে নড়ে চড়ে বসেন। তখনও বিএসটিআই নিদ্রিত.....
২০১০ সালে মহামান্য আদালত খাদ্যে ভেজাল মেশানোকারীদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার নিদেশ দেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেন। ১৮৬০ সালের দন্ডবিধিতে খাদ্যে ভেজাল মেশানের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
এ কথাগুলোর বলার উদ্দেশ্য খাদ্যে ভেজাল একটি প্রমাণিত সত্য বিষয়। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) দীঘদিন খাদ্যে ভেজাল রোধে যথেষ্ট গুরুত্ব ভুমিকা পালণ করেনি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এর পেছনে লোকবল নেই, গবেষণার সীমাবদ্ধতা, অথ নেই, নানা যুক্তি তাদের ছিল এবং আছে।
ভারতের খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ০৫ জুন ২০১৫ নেসলের ম্যাগি নুডলস নিষিদ্ধ করে। ০৮ জুন বিএসটিআই সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশে ম্যাগি নুডলস নিরাপদ বলে ঘোষণা দেয়। তথ্য খুজতে গিয়ে দেখলাম আম ও লিচুতে ফরমালিন পায়নি বিএসটিআই (১১ জুন, ২০১৫,kalerkantho)।
প্রশ্ন হচ্ছে যে বিএসটিআই দীঘদিন ধরে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে খাদ্যে ভেজালে ধরতে পারেন বলে দাবি করেন। সেই সংস্থা কেনই বা এত দ্রুত ম্যাগির বিশুদ্ধতার ছাড় দিলেন। অবাক হলাম। ডালে নিশ্চিত কাল আছে....
প্রত্যাশা: মাননীয় বানিজ্য মন্ত্রী, সংবিধানিক দায়িত্ব অনুসারে জনস্বাস্থ্য রক্ষা আপনারও দায়িত্ব। আপনার অধীনস্ত সংস্থার বিশেষ একটি পন্যকে বিশুদ্ধতা প্রমাণ করতে দ্রুত এ পদক্ষেপ সত্যিই কিছুটা সন্দেহের।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি কপোরেশন এবং বিসিআইসিআর এর ল্যাবে পন্যটি নমুনা পৃথকভাবে পরীক্ষার অনুরোধ করছি।
খাদ্যের বিষাক্ততা: বিদ্যমান আইনসমূহ: Click This Link
আারো তথ্য : Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৪