যদি চাপাতির কোপ খেয়ে অপঘাতে মরে যাই-
আমার মৃত্যুর পরে যেন ছারপোকা রাজনীতিবিদরা
বিবৃতি না দেয়, তাদের পাতিতস্য নেতারা আর
দলদাস চামুচরা যেন আমার মৃতদেহের পাশে
দাঁড়িয়ে সেলফি না তুলে। মূর্খ সাংবাদিকরা যেন
আমার ক্রন্দনরত মায়ের মুখে ক্যামেরা জুম না করে,
আমার দিশেহারা ও একমাএ বোন রিতু কাছে যেন
প্রতিক্রিয়া জানতে না চায়..... উচ্ছিষ্টভোগী
বুদ্ধিজীবির দল যেন টিভিতে আমার নাম উচ্চারণ
করে টকশো না করে। আমি চাই না শেষ যাত্রায়
কোনো কীটসম নপুংসকরা আমার ধারে কাছে ভিড়ুক।
গতকাল ফেসবুকে জানানোর কয়েক মিনিটের মধ্যে
আমরা সাধারন মানুষের শত ব্যাগ রক্তের
প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, সুযোগ থাকলে এরকম সাধারন
সাহসী গৃহস্ত মানুষের আকূল ভিড়ে পাওয়া রক্ত যেন
শেষ সময়ে আমার ধমনীতে যায়।
মাত্র চারজন সাহসী মানুষ আমার কফিনটি বয়ে
নিয়ে যাক।
দেশের কোনো এক কোনে আমার চারটি বোন খুব
নীরবে আচলে চোখ মুছুক একবার। কোনো এক পিতা,
কোনো এক মা কোথাও একটু দীর্ঘশ্বাস ফেলুন।
-এর বেশি কিছু চাওয়ার নেই কখনোই।
আমি দীপন ভাইয়ের বাবার মতো বলব না 'বিচার
চাই না', বরং বিচার বকেয়া থাকুক। মুক্তিযুদ্ধের
হত্যার বিচার যদি হয়ে থাকে, কোনো একদিন
আমার খুনেরও বিচার করবে আমাদের উত্তরসূরীরা।
আমাদের প্রজন্মের রক্তে যদি এই দেশ ধুয়ে দিয়ে
যেতে হয়, আমরা ধুয়ে দিয়ে যাব।
সেই রক্তধোয়া মাটিতে পরের প্রজন্ম হাসিমুখে
বাড়ি ফিরবে, আততায়ীর ভয়ে পিছু ফিরে তাকাবে
না-শেষবেলা এই বোধ নিয়ে আমি আনন্দের সঙ্গে
মরে যাব।
তবে যতদিন বেঁচে থাকব, সাহসী মানুষদের কাতারে
দাঁড়িয়ে থাকব।
ছারপোকার জীবন অস্বীকার করে বেঁচে থাকব।
আমাদেরকে যে কেউ খুন করতে পারবে, কিন্তু কেউ
আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।