প্রধান্মন্ত্রীঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছে, পুলিশসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার দায়ভার খালেদা জিয়াকে নিতে হবে।
[১] সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কারা হামলা চালিয়েছে সেটা পাঠক আপনারা জানেন ইতিমধ্যে এবং তাদেরকে পাগল বলে বাচিয়ে দেয়া হচ্ছে, এরা লীগের কর্মী। উপহাস এইই যে এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পাহাড়া দেয়ার কারনেও বি এন পি নেতাকে জেলে যেতে হয়।
[২] পুলিশসহ যেসব নিরীহ মানুষ গত কয়েকদিনে হত্যা হয়েছে তার দায়ভার অবশ্যই আওয়ামী লীগ এবং জাশির এখানে খালেদা জিয়ার কোনও অবদান নাই, তাও উনাকে জড়িয়ে কথা না বলতে পারলে হাসু বুর ভাত হজম হয় না।
প্রধানমন্ত্রীঃ দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি তাঁর পছন্দ নয় বলেই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে তিনি তাণ্ডব চালাচ্ছেন।
[১] জানতে চাই এই যে এতো গুলো কেলেঙ্কারির জন্ম দিলেন আপনি এবং আপনার দল, তার দায়ভার কি খালেদা জিয়ার উপর বর্তাবে? জানতে চাইবো খালেদা জিয়ার আমলে আপনি কতবার হরতাল দিয়েছিলেন আর খালেদা জিয়া আপনার সময়ে কয়বার দিয়েছে তার হিসেব আপনি জানেন না? তান্ডব সেটা তো আমরা সাধারন মানুষ গত চার বছরে আপনার শাসন আমলে হারে হারে টের পাচ্ছি। পল্টনের বি এন পি এর জনসভা কি আপনাকে চুলকানী উদ্রেক করেছিলো যে সেখানে তান্ডব চালিয়েছিলেন?
প্রধানমন্ত্রীঃ তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী যে দেশের স্বাধীনতা চাননি, তা প্রমাণিত হয়েছে। খুনিদের রক্ষা ও লালন-পালন করা, মদদ দেওয়া—জন্মলগ্ন থেকে এটাই বিএনপির চরিত্র।
[১] ম্যাডাম আপনার জন্যে স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ শাসন আমলের এক টুকরো বিদেশি পত্রিকার প্রতিবেদন দিলাম এখানেঃ
সাংবাদিক জেকুইস লিসলি’র রিপোর্ট ঃ ১৯৭৪ সালে ২রা অক্টোবর,লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় জেকুইস লেসলী লিখেছিলেন,
“একজন মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে,আর অসহায় দুষ্টিতে তার মরণ-যন্ত্রণাকাতর চর্মসার শিশুটির দিকে তাকিয়ে আছে। বিশ্বাস হতে চায় না, তাই কথাটি বোঝাবার জন্য জোর দিয়ে মাথা নেড়ে একজন ইউরোপীয়ান বললেন, সকালে তিনি অফিসে যাচ্ছিলেন,এমন সময় এক ভিখারি এসে হাজির। কোলে তার মৃত শিশু। ..বহু বিদেশি পর্যবেক্ষক মনে করেন বর্তমান দুর্ভিক্ষের জন্য বর্তমান সরকারই দায়ী। “দুর্ভিক্ষ বন্যার ফল ততটা নয়,যতটা মজুতদারী চোরাচালানের ফল”-বললেন স্থানীয় একজন অর্থনীতিবিদ।.. প্রতি বছর যে চাউল চোরাচালন হয়ে (ভারতে) যায় তার পরিমাণ ১০ লাখ টন।”
[২] লক্ষিপুরের তাহের, ফেনীর জয়নাল হাজারী নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমান আপনাদের ছত্র ছায়ায় আছে, সাম্প্রতিক দুধরশ এক সন্ত্রাসীকে আপনারা জেল থেকে ছেড়ে দিয়েছেন সেখানে এই বি এন পি র্যাব গঠন করে এমনকি নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদেরকেও ব্রাশ ফায়ার দিয়েছিলো। ম্যাডাম আমরা জানি রক্ষী বাহিনী ৩০০০০ হাজার মেধাবী তরুন কে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা আপনাদের ক্ষমা করবে ভেবেছেন নাকি?
প্রধানমন্ত্রীঃ বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০১ সালের পর তারা যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার সব প্রমাণ আছে। বিএনপির চরিত্র এখনো বদলায়নি।
[১] ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলায় আপনি শুধু মুখেই আওড়াচ্ছেন বি এন পি এর নাম, কিন্তু ওইটা ছিলো জঙ্গি হামলা, ওইটার সাথে আপনি কিভাবে বি এন পি কে জড়াচ্ছেন? আজকে থাবা বাবা ওরফে রাজিব মারা গেছে জঙ্গিদের হাতে তাহলে তো এর জন্যেও আপনি এবং আপনার দল দায়ী, আপনাদের অদ্ভুত যুক্তি হাসির উদ্রেক করে। এর থেকে বরং বিশ্বজিৎ , ত্বকি , সাগর-রুনির খুনিদের বের করে শাস্তি দিন। দেখা যাবে আপনার দৌড় কতদূর। চরিত্র কার বদলায়নাই সেইটা আর জনগনের বুঝতে বাকি নাই।
প্রধানমন্ত্রীঃ বিরোধীদলীয় নেত্রীর ভালো একটা গুণ হলো সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়া।
[১] এই ধরনের কৌতুক প্রথমত কোনও প্রধানমন্ত্রীকে মানায় কি? আপনার ব্যাক্তিত্ত কতোটা নিন্ম মানের সেটা তো বুঝাই যাচ্ছে, আর তাই আপনার অনুসারীরা আজকে বিরোধী দলীয় নেত্রীর নামে রিউমার ছড়াতে ব্যস্ত, এই দিয়ে কি পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ঢাকতে পারবেন? শেইম ম্যাম শেইম।
প্রধানমন্ত্রীঃ জুমার নামাজ শেষে সালাম ফেরানোর আগেই যারা তাণ্ডব শুরু করে, তারা কেমন মুসলমান?
[১] এই প্রশ্নের উত্তর ভন্ড জাশির পিপল জানে, এই বিরোধী দলীয় নেত্রীর জানার দরকার দেখিই না। তিনি অবশ্যই জাশির অভিভাবক নন।
প্রধানমন্ত্রীঃ অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সেনাবাহিনীর বহু কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। ’৭৭ সালে বিমানবাহিনীর ৬৬৫ জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে।
[১] বিমান বাহিনীর যেসব ছাওয়াল বিদ্রোহ করতে চেয়েছে তাদের কি তাহলে বসিয়ে বসিয়ে রস মালাই খাওয়াবে? আপনি ছয় হাজার বিডিয়ার কে কি করছেন? তাদের বিচার প্রক্রিয়া কই? ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি আপনার মুখেই ভালো মানায়, এই আপনিই তো ৮৬ তে চট্টগ্রামের জনসভায় বলেছিলেন এরশাদের আন্ডারে যে নির্বাচনে যাবে সে হবে জাতীয় বেঈমান, ম্যাডাম আপনিই সেই স্বস্বীকৃত জাতীয় বেঈমান যে কিনা ২৪ ঘন্টা পরেই ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে যাওয়ার। লজ্জা আর লজ্জা, বাশ আর বাশ।
প্রধানমন্ত্রীঃ দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, এটা বিরোধীদলীয় নেত্রী চান না। একাত্তরের পরাজিতদের পাশে থাকা, তাদের সাহায্য করা তাঁর বৈশিষ্ট্য। যারা অপরাধ করবে, তাদের বিচার হবেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে বিডিআরে একটা ক্যু হয়েছিল। কিন্তু সেটা ধামাচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা কোনো কিছু ধামাচাপা দেইনি। বিডিআরের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে।
[১] দেশের মানুষ শান্তিতে আছে? রাস্তায় গিয়ে একজন সাধারন দাড়িওয়ালা বৃদ্ধ কিংবা একজন টুপি পড়া সাধারন মুসুল্লীকে জিজ্ঞেস করেন, তিস্তার পারে যারা বাস করে তাদের জিজ্ঞেস করেন, দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন মানুষকে জিজ্ঞেস করেন। এই দেশ কেবল মাত্র ঢাকাবাসীর নয়।
[২] রাজাকারের ঘরে মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন আপনি এবং শেখ সেলিম। কেন? মখা আলমগীর তো রাজাকার, তার গাড়িতে পতাকা কেন? আপনার কি মনে হয় সাইদী কিংবা কাঁদের মোল্লা অনেক উচু সারির রাজাকার? এদের থেকেও বড় বড় রাজাকার না ধরে আপনি এই চুনোপুটি ধরেছেন দলীয় বিবেচনায় সেইটা আমি নিচে কয়েকজন আর কুক্ষ্যাত রাজাকারের তালিকা দিলেই বুঝা যাবে। আপনার দলের ভন্ডামী। আর বিডিয়ারের বিচার সুষ্ঠু হয়েছে ঐ ছয় হাজার ফ্যামিলির ঘরে ঘরে গিয়ে জিজ্ঞেস করে আসেন। একটাই উত্তর পাবেন, ভোটের দিন কমু বুঝাইয়া।
লিস্টঃ [১] গো আজম [২] নিজামী [৩] ফজলুল কাদের চৌধুরী [৪] মীর তোফায়েল মোহাম্মদ [৫] মাওলানা হাবিবুর রহমান [৬]মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল [৭] মাওলানা ফরিদউদ্দিন চৌধুরী
উপরের এই লিস্ট অসম্পূর্ণ, কোন ক্রমানুসারে আপনি রাজাকারের বিচার করছেন জানেন কি? আপনার বিরোধী দল গুলোতে যারা আছে তাদের হাইলাইট করার জন্যে। কিন্তু আপচুচ সর্ষের মধ্যেই ভূত দেখা যায় ঐ। আপনার দলীয় কিছু বড়সড় রাজাকারের নাম এখন আর দিলাম না শুধু লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে তাই।
পাঠক এই লেখা লিখার সময় কেন জানি মনে হচ্ছিলো প্রধানমন্ত্রী মুখেই এসব বলছেন আর মনের মধ্যে একটাই লাইন, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি।