হিমেল আমাকে মানিক মিয়ার মুখে নামিয়ে দিল। রাস্তার উল্টো দিকে ধানমন্ডি বয়েজ হাই স্কুল। এই স্কুলে ছোটকালে ও পড়ত। টিফিনের সময়, মাঝে মাঝে যখন পকেটে টাকা থাকত, তখন কামালের দোকান থেকে চপবন কিনে খেত।
সেই দোকানটা হিমেল আমাকে দেখাল। নাম পাল্টে গেছে। এখন হয়েছে কোহিনুর কনফেকশনারী। চপবন নিশ্চয়ই এখন আর পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও এখনকার বাচ্চারা নিশ্চয়ই এসব সস্তা খাবার খায় না।
আমি ওভার ব্রিজে উঠলাম। রাস্তা পার হব। মারাত্মক দুর্গন্ধ, নাড়িভুড়ি উল্টে আসতে চায়। এখানে সেখানে মলমূত্র পড়ে আছে। কারা এসব করে? ভাবতে ভাবতে হাঁটছি। একটু পড়েই উত্তর পেয়ে গেলাম। ওভার ব্রীজ পার হয়ে ফুটপাথ। ড্রেনের পাশে একটা ছেলে ঘুমাছ্চে। বয়স কত হবে? আঠার? পরনে শুধু একটা কালো হাফ প্যান্ট।
এই ছেলেটাই সম্ভবত: ওভার ব্রীজটার বারটা বাজিয়েছে।
রিকশা নিলাম। ড্রেনের ওপর একটা ছেলে খাবারের দোকান দিয়ে বসেছে। পিঠামত কিছু একটা। ড্রেনের পাশে আবর্জনা, তার পাশে বসে পিঠা খাচ্ছে কয়েকজন। ঘুমিয়ে থাকা ছেলেটাও নিশ্চয়ই একটু পরে এসবই খাবে। অবশ্য যদি ওর কাছে টাকা থাকে।
পাড়ার মোড়ে এসে রিকশা জামে পড়ল। তিনটা ছেলে, ফুটপাতে শুয়ে থাকা আগের ঐ ছেলেটারই বয়সী, হেঁটে হেঁটে আসছে। এখনকার আধুনিক ছেলে। খুবই স্টাইলিশ। হাজারটা পকেটওয়ালা প্যান্টের সাথে খু্বই আধুনিক গেন্জ্ঞি। তার ওপর আবার জ্যাকেটমত কিছু একটা। মুখে ফ্যাশানবল অল্প দাড়ি। একজন আবার ভ্রুর ওপর এবং কানে আংটি জাতীয় কিছু একটা পড়েছে।
দেখে খুবই ভালো লাগল। আমাদের সব ছেলেরাই যদি এরকম ফ্যাশানবল হত!! এই ছেলেগুলো হেঁটে হেঁটে ঐ ছেলেটার দিকেই যাচ্ছে........
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৪