বধ্যভূমিতে কাকে নিয়ে যাচ্ছে ওরা ?
দস্যু নাকি তস্কর ?
তস্কর কাকে বলে ? কেমন হয় সে ?
এ যে দেখছি রোমাঞ্চ তরুন
সে ছাড়া জীবন হবে করুন !
প্রথামতো তস্করকেই বিবাহ করেন শ্রেষ্ঠীকন্যা ভদ্রা ।
স্বামীর সাথে অজানা পাহাড়ে চলেছেন সালঙ্কারা সুন্দরী ।
' আমি তো চেয়েছিলাম তোমায়
তুমিও কি চেয়েছিলে আমায় ? '
জানেনি সে এই প্রশ্নের উত্তর ।
আমি নই অলঙ্কারই অধিক মোহময়ী ।
তবে তাই হোক ।
পুরুষ তুমি নির্বোধ ।
স্মিত হাস্যে ভাবেন ভদ্রা ।
আমি ভার্য্যা নই , আমি সালঙ্কারা মোহিনী ।
মোহে মিশে যায় ক্রুদ্ধ অভিমান
অবোধ সত্তুক পায় না পরিত্রান ।
তার চাওয়ার হিসেব ছিল খুবই অস্পষ্ট । তাই ত্যগকেই
শ্রেয় মনে করে অলঙ্কার পরিত্যাগ করলেন ।
কন্যা চলেন সত্যের সন্ধানে
জ্যোৎস্না মুখ লুকায় বনে ।
এরপর কাটেন তিনি সংসারের মোহপাশ ।
কঠিন থেকে কঠিতর হয় তার কৃচ্ছসাধন
পন্ডিতদের থেকে করেন তিনি জ্ঞান আরোহন ।
একদিন বুঝলেন তিনি অতি বিদূষী । তবে তো
সর্বশ্রেষ্ঠাও যে তিনি তাও করতে হয় প্রমান । কিন্তু
যোগ্যতার পরীক্ষায় যোগ্যতরের অভাব যায় দেখা ।
অবশেষে কন্যা শ্রাবস্তীতে পৌঁছান
সারিপুত্র করেন তাঁকে তর্কে আহবান ।
কিন্তু কে করবে প্রশ্ন ? উত্তরই বা দেবে কে ?
সারিপুত্র করলেন তখন সমাধান । প্রথমে
ভদ্রাই করবেন সব প্রশ্ন । সেই নিয়মে -
শাক্যপুরুষ উত্তর করেন অতি বিশেষ
এভাবে ভান্ডারশূণ্য ভদ্রা হন নিঃশেষ ।
তখন সারিপুত্র শুধু একটিমাত্র প্রশ্ন
করতে চান ।ভদ্রাও তাতে সম্মত হন ।
এক কি ? এর উত্তর বলো
প্রশ্ন শুনে কন্যা হতভম্ব হোলো ।
নতিস্বীকার করেন ভদ্রা । উত্তর দিতে
তিনি অসর্মথ । এ যদি তোমার নেই জানা ,
তবে কিছুই জানোনি এখনো । বিনম্রভাবে
বলেন সারিপুত্র । তখন ভদ্রা তাঁর
শরণাপন্ন হন । সন্ন্যাসী বলেন পুনরায়
হয়ে না তুমি আমার শরণাগত
তোমাকে দীক্ষা দেবেন ভগবান তথাগত ।
সেই দিনই কন্যা বুদ্ধের নিকট যান । বুদ্ধ
তাঁকে বলেন -
অর্থহীন যদি হয় সহস্র শ্লোকাত্মক গাথা
জেনো অধিক প্রিয় একটিমাত্র শান্তিপ্রদায়িনী কথা ।
অনায়াসে ত্যাগ করেছিলেন অলঙ্কার
আশ্লেষে ধরে রেখেছিলেন অহঙ্কার ।
এতোদিনে সেকথা তিনি অনুধাবন করলেন
এভাবেই ভদ্রা অর্হৎ হতে পারলেন ।
বিঃ দ্রঃ - ভদ্রাকুন্ডলকেশা - থেরীগাথার এক নারী । এটা তাঁর অর্হত্ব প্রাপ্তির কাহিনী ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৯