' জগতের তৃষ্ণার জন্য দাও আত্মবলিদান
এটাই বোধহয় প্রেমিকের ললাট লিখন । '
বাগিচায় সখীদের সাথে পায়চারি করছেন শাহেজাদী । হঠাৎ তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলে ওঠেন ' জীবনে সুখী হওয়ার জন্য চারটে জিনিস দরকার যথাক্রমে সুরা , ফুল , স্রোতোস্বিনী নদী আর প্রেমিকের উপস্থিতি । '
কথার মাঝে আচমকাই সামনে পিতৃদেব।
তৎক্ষনাৎ শাহেজাদী বলে ওঠেন, ‘জীবনে সুখী হতে দরকার প্রার্থনা, উপবাস, কান্না ও অনুতাপ।’
এই দৃশ্যে পিতৃদেব হলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব । আর শাহেজাদী হলেন তাঁর জেষ্ঠ্যা কন্যা জেবউন্নিসা । তাঁর লেখা অনবদ্য কবিতার মতোই জেবউন্নিসার জীবনও ছিলো নাটকীয় অভিঘাতে পরিপূর্ণ । বঙ্কিমচন্দ্রের ‘রাজসিংহ’ উপন্যাসেও তাঁর ছায়া দেখতে পাওয়া যায় ।
এই কন্যাকে শুরু থেকেই অন্য চোখে দেখতেন ঔরঙ্গজেব ।ভাবে। মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ, দরবার থেকে কবি, গায়কদের বিতাড়িত করা — এ সব ঔরঙ্গজেবি শাসন-কায়দা জেবউন্নিসার বেলায় ছিল শিথিল।
মেয়ের জন্য গৃহশিক্ষিকা রাখলেন সম্রাট। হাফিজা মরিয়ম। হাফিজার কাছে পড়তে পড়তে বছর চারেকের মধ্যেই আরবি আয়ত্ত করে ফেলেন শাহেজাদী ।
মাত্র সাত বছর বয়সে পুরো কোরান কণ্ঠস্থ করে ‘হাফিজ’ হয়ে গেলন তিনি । মেয়ের সাফল্যে তখন রীতিমতো গর্বিত সম্রাট। প্রাণের জেব-এর সম্মানে দিল্লির ময়দানে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ করালেন। গরিব প্রজাদের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন প্রায় তিরিশ হাজার স্বর্ণমুদ্রা। উৎসব পালন করতে দু’দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করে দিলেন।
চিঠির মাধ্যমে মেয়ের সঙ্গে আরবি, ফার্সিতে নিয়মিত ধর্মতত্ত্ব নিয়ে চর্চাও করতেন ঔরঙ্গজেবের।
অথচ এই ঔরঙ্গজেবই কিনা অন্দরমহলে ধর্ম নিয়ে কথাবার্তাও এক প্রকার নিষিদ্ধই করে দিয়েছিলেন প্রায়।
শুধু ধর্ম-শিক্ষায় অবশ্য মন ভরল না কন্যের। শুরু করলেন কবিতার চর্চা। নিজের মহলে মুশায়েরা বসালেন। কবির লড়াই হল। সে-লড়াইয়ে এসেছিলেন নাসের আলি, বেহরাজ, ওয়ালি উল্লাহের মতো সেই সময়ের বিখ্যাত সব কবি।
কবিতা লিখে নাম কুড়োতে লাগলেন রাজকন্যা নিজেও।
গৃহশিক্ষিকা হাফিজা তাঁর ছাত্রীর কবিতার মধ্যে খুঁজে পেলেন ‘গোটা ভারতবর্ষ’। তাঁর কবিতায় উৎসাহ জোগালেন আরেক মাস্টারমশাই শাহ্ রুস্তম গাজিও। এমনকী কবিতা-প্রেমী মেয়েকে উৎসাহ দিতে লাগলেন সম্রাটও। পারস্য, কাশ্মীরের শ্রেষ্ঠ কবিদের ডাক পাঠালেন রাজদরবারে।
যদিও ঔরঙ্গজেব কিন্তু ছিলেন কবিতা-গানের ঘোরতর বিরোধী।
এসত্ত্বেও বড় হয়ে কিন্তু বাবার সঙ্গে যেন ঠিক হৃদ্যতা জমল না মেয়ের।
জেবউন্নিসা বারবার ছুটে যেতেন তাঁর জ্যাঠামশাই দারা শিকোর কাছে। দারা কাব্য, দর্শনে ছিলেন সুপণ্ডিত। ভাইঝির বেশ কিছু গজল তিনি নিলেন সংকলিত লেখার গ্রন্থ ‘দিওয়ান-এ দারা শিকো’-য়।
যদিও জেঠু-ভাইঝির এই সম্পর্ক না পসন্দ ছিল ঔরঙ্গজেবের ।
ঔরঙ্গজেব
দাদু শাহজাহানের ইচ্ছায়, জেবউন্নিসার সঙ্গে দারা শিকোর ছেলে সুলেমান শেখের বাগদান হয়ে গেল। কিন্তু তা বিয়ে পর্যন্ত গড়াল না। শোনা যায়, তাতেও ঔরঙ্গজেবেরই হাত ছিল। সুলেমানকে হারালেন জেব। তবু প্রেম কিন্তু তাঁর সঙ্গ ছাড়ল না ।
এবার জেবউন্নিসা নিজের পাত্র নিজে পছন্দের ইচ্চা প্রকাশ করলেন । তাঁর অন্য সব পাণিপ্রার্থীর মধ্যে মির্জা ফারুক ছিলেন একেবারে প্রথম সারিতে। তিনি পারস্যের শাহ আব্বাসের পুত্র। জেবউন্নিসা তাঁকে চিঠি লিখলেন দিল্লি আসার জন্য ।
হায় , ফারুক যদি জানতেন এ ডাক ঠিক কীসের!
দিল্লির একটি বাগানবাড়িতে দেখা হল দু’জনের। জেবউন্নিসাকে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করলেন !
আচম্বিতে প্রেমিকার এমন ব্যবহার ফারুককে স্তম্ভিত করে দিল।
তবে দিল্লি ছাড়লেন না। নগরের এক আবাস থেকেই ‘প্রেমিকা’ জেবউন্নিসাকে চিঠি লিখলেন ফারুক, ‘‘এই প্রেমের মন্দির ত্যাগ করতে পারব না। একাকীত্বের আনন্দ উপভোগ করবো শুধু।’’
প্রত্যুত্তরে জেবউন্নিসা মির্জাকে ‘শিশু’ বলে সম্বোধন করে লিখলেন, ‘‘বিরহের আগুনই আসল ভালবাসা।’’ এরপর ভাঙা মন নিয়ে ফারুক ফিরে গেলেন নিজের দেশে।
‘প্রেমিক’কে এত রূঢ় প্রত্যাখ্যান কেন করেছিলেন তিনি! কেউ জানে না আজও। হয়তো এই জন্যই ইতিহাস তাঁকে বারবার চিনে এসেছে রহস্যময়ী হিসেবেই।
যেমন , এক দিকে জীবনচর্চায় তাঁর ছিল উদার হাওয়া, অন্য দিকে পর্দার ওপারে মুঘল নারীর আড়ালটুকু ছিল তাঁর পছন্দ।
জীবন আর ভাবনার এই বৈপরীত্যর যোগফল যেন জেবউন্নিসা!
তিনি কবিতা লিখতেন ‘মাকফি’, ছদ্মনামে । পার্সি শব্দ মাকফি’মানে গুপ্ত বা আড়াল!
জেবউন্নিসার প্রিয়তম কবি ছিলেন সিরহিন্দের নাসের আলি। ওঁর আড়াল-প্রিয়তা নিয়ে এক বার তিনি বলে ফেলেন, ‘‘পর্দা ওঠাও জেব, যদি সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চাও ।’’
প্রত্যুত্তরে জেবউন্নিসা আড়াল থেকেই শুধু লিখেছিলেন, ‘‘আমার কবিতাই আমার পরিচয়।’’
কবিতা। শেষমেশ কবিতা দিয়েই রহস্যময়ী জেবউন্নিসাকে জিতে নিলেন লাহোরের এক প্রাদেশিক শাসনকর্তার পুত্র।
আকিল খান।
স্বর্ণপ্রতিমা প্রকাশিত হোলো
সুদর্শন , আকিল বীরত্বের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন । সেই সাথে কবিও । জেবউন্নিসার কবিতার সঙ্গে আগেই পরিচয় ছিল তাঁর।
কিন্তু তাঁর প্রেম নিবেদন, জেবকে তাঁর জীবনে পাওয়া আর না-পাওয়াও যেন এক অভূতপূর্ব কাহিনি!
একবার অসুস্থ ঔরঙ্গজেব হাওয়া বদলের জন্য সপরিবারে লাহোর গেলেন । খবর পেয়ে আকিল ছটফট করছিলেন জেবউন্নিসাকে একঝলক দেখার জন্য ।
নগররক্ষী সেজে প্রাসাদের চারপাশে ইতিউতি ঘোরাঘুরি শুরু করলেন আকিল।
আচমকা একদিন ভোরে প্রাসাদের ছাদে দেখাও মিলল জেবউন্নিসার। বাদশাহজাদীকে দেখেই নাকি তাঁকে গালনারের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন আকিল। গালনার, আফগানি ফুল। তারপর আকিল বলেছিলেন ' প্রাসাদ শীর্ষে স্বর্ণপ্রতিমা প্রকাশিত হোলো ।'
শাহজাদী অবশ্য আকিলকে বিশেষ পাত্তা দিলেন না। উল্টে একটু কঠিনই সুরেই উত্তর দিলেন , ' অনুনয় বিনয় , পরাক্রম বা স্বর্ণমূদ্রা কোনো কিছুতেই এই প্রতিমা লভ্য হওয়ার নয় । '
তবু হাল ছাড়লেন না আকিল।
যদি তুমি ধূলোর মতো বাতাসেও মিশে যাও , তবু আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না ।
একদিন আকিলের কাছে খবর এল জেবউন্নিসা বান্ধবীদের সঙ্গে একটি নির্মীয়মাণ বাগানবাড়িতে গিয়েছেন।
শাহী খানদানি আকিল মাথায় চুন-সুরকির ঝুড়ি নিয়ে মজুরের ছদ্মবেশ ধরলেন। মূল ফটক পার করার অনুমতিও জোগাড় করলেন।
দেখলেন বাগানবাড়ির বারান্দায় বান্ধবীদের সঙ্গে ‘চৌসার’ (পাশা) খেলায় ব্যস্ত জেব। মজুরের বেশধারী আকিল উদগ্রীব হয়ে প্রেম নিবেদন করে বসলেন জেবকে, ‘‘তোমার আশায় আমি ধুলোকণা মেখে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’
বাদশাহজাদী জবাব দিলেন ' যদি তুমি ধূলোর মতো বাতাসেও মিশে যাও , তবু আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না ' ।
এর পরে কী করে যেন দ্রুত জেবউন্নিসার বীতরাগ বদলে গেল অনুরাগে!
মেয়ের এই ঘনিষ্ঠতার খবর ঔরঙ্গজেবের কানে পৌঁছল হাওয়ার গতিতে। কিন্তু এ বার আর আপত্তি নয়, মেয়ের পছন্দকেই স্বীকৃতি দিলেন সম্রাট!
জেবউন্নিসা আকিলকে দিল্লি আসতে বললেন। কিন্তু তার মধ্যেই এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আকিলকে খবর দিলেন, দিল্লিতে তাঁর জন্য মৃত্যু-ফাঁদ অপেক্ষা করছে।
শুনে প্রচণ্ড ভয় পেলেন আকিল। জেবউন্নিসাকে জানিয়ে দিলেন, এ বিয়ে করতে তিনি অপারগ। তার পরেও না জানি কেন, আকিল লুকিয়ে দিল্লি চলে এলেন।
ফের দেখা হল দু’জনের।
বাগানবাড়ি। গল্পে মশগুল জেব-আকিল। এইসময় ঔরঙ্গজেবের সেখানে আসার খবর পাওয়া গেল। অজানা আশঙ্কায় জেবউন্নিসা আশঙ্কিত হয়ে গেলেন । সামনেই ছিল জল রাখার ডেকচি। সেটি দেখিয়ে আকিলকে তক্ষুনি তার ভিতরেই লুকিয়ে পড়তে বললেন।
এ দিকে গোপন সূত্রে আকিল আসার খবর পেয়েছেন ঔরঙ্গজেব। বাগানবাড়িতে তাঁর আগমনের কারনও তাই।
মেয়েকে দেখেই বললেন—
‘‘কী আছে ডেকচিতে?’’
ভীত সন্ত্রস্ত জেব কোনও ক্রমে উত্তর দিলেন, ‘‘গরম করার জল।’’
ঔরঙ্গজেব হুকুম দিলেন, ওটি উনুনে চাপিয়ে দেওয়া হোক।
কথিত আছে , জেবউন্নিসা তখন ডেকচির কাছে গিয়ে অত্যন্ত ধীর স্বরে বলেছিলেন, ‘‘সত্যিই যদি আমায় ভালোবেসে থাকো, তবে আমার মান সম্মানের খাতিরে চুপ থেকো।’’ ভাবতে অবাক লাগে , প্রেমিকের জীবনের থেকেও কি মান সম্মান শ্রেয় হতে পারে ! এর ব্যাখ্যা তিনি তাঁর একটা কবিতায় দিয়েছেন । জগতের তৃষ্ণার জন্য দাও আত্মবলিদান
এটাই বোধহয় প্রেমিকের ললাট লিখন ।
সুরার এই ফল্গুধারা যাবে বয়ে
আঁখিজলও বৃষ্টির মতো পরবে ঝরে
শুধু ভালোবাসার যন্ত্রণা যাবে রয়ে ।
আকিল চলে যাওয়ার পরে জীবনটা যেন অন্য রকম হয়ে গেল জেবের। শাহজাদী সুলভ তো নয়ই, বরং অনেক বেশি করে সাধিকার মতো হয়ে গেলো তার জীবন ।
নিজেকে পড়াশোনা আর দান-ধ্যানের মধ্যেই ডুবিয়ে দিলেন তিনি। নিজের বাৎসরিক খোরাকির চার লক্ষ টাকার বেশির ভাগটাই বিলিয়ে দিতেন পণ্ডিত, অনাথ শিশু ও বিধবাদের মধ্যে। মক্কা, মদিনার তীর্থযাত্রীদের জন্য টাকা খরচ করতেও কসুর করতেন না।
নিজেই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করলেন একটি গ্রন্থাগার। সেখানে মাসমাইনে দিয়ে লিপিকরদের রাখলেন পুঁথি নকল করতে। জেবউন্নিসা নিজেও ছিলেন এক জন লিপিকর।
মোল্লা সফিউদ্দিন তাঁর পৃষ্ঠপোষকতাতেই কোরানের আরবি ভাষ্য ফার্সিতে অনুবাদ করলেন। শোনা যায়, জেবের কাছে কাশ্মীরি পুঁথির একটি বড় সংগ্রহ ছিল। যার একটা বড় অংশ ছিল হিন্দুশাস্ত্রীয় গ্রন্থ।
আর পাঁচ জন মুঘল রাজ পরিবারের মেয়েদের মতো সাজগোজ করতেন না। চোখে কাজলটুকুও দিতেন না। অলঙ্কার বলতে গলায় শুধু মুক্তোর মালা। পরনের পোশাকের রং সাদা।
তুর্কিস্তানের মহিলারা ‘আংওয়া কুর্তি’ নামে বিশেষ এক ধরনের পোশাক ব্যবহার করতেন। জেবের পোশাক ছিল সেটারই ভারতীয় সংস্করন ।
শুধু প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতেন ছোটো ভাই মহম্মদ আকবরকে।
সেই ভালবাসাই এক দিন কাল হল।
আকবর বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আজমীরের কাছে মুঘল সেনারা তাঁকে পরাভূত করল। আকবরের শিবির থেকে বাজেয়াপ্ত হল জেবউন্নিসার একাধিক গুপ্ত চিঠি।
ঔরঙ্গজেব আর সইতে পারলেন না।
মেয়েকে কুড়ি বছরের জন্য সেলিমগড় কেল্লার জেলখানায় আটক করলেন।
অথচ কোনও এক সময় দরবারে কোনও সমস্যা সমাধানে এই মেয়েকেই সবথেকে বেশি ভরসা করতেন ঔরঙ্গজেব! জেবের যে কোনও সিদ্ধান্তে শুধু দরবারি সিলমোহরই পড়ত না, তা পাঠিয়ে দেওয়া হত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
জেলে থাকার দিনগুলি জেবউন্নিসার কাটত কবিতা নিয়ে।এই সময় তিনি লিখেছিলেন --
যতক্ষণ শৃঙ্খলাবদ্ধ এই চরনযুগল
বন্ধুরা থাকবে শত্রু হয়ে
অচেনা লাগবে আত্মীয়সকল ।
দুর্নাম ঘোচানোর চেষ্টা তোর মিছে
অপমান করতে বন্ধুরা ঘোরে পিছে ।
মুক্তির চেষ্টা বৃথাই যাবে তোর
ও মাকফি , মুক্তি পাবিনা তুই
রাজার কারাগারের যে ভীষন জোড় ।
মাকফি , এই কথা তো এখন পাকা
মুক্তির আশা আর যে নেই তোর
শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত বসে থাকা ।
সত্যিই , দীর্ঘ কুড়ি বছর তিনি হাজতে কাটালেন। মুক্তি মিললো মৃত্যুতে ।
তবে জেবউন্নিসার মৃত্যুর পর মেয়ের সৎকার কিন্তু বেশ ধুমধামের সঙ্গেই করেছিলেন সম্রাট। এমনকী প্রথা মেনে অনাড়ম্বর জীবনে অভ্যস্ত ঔরঙ্গজেব রাজ কর্মচারী আমজাদ খান, শেখ আতাউল্লাদের মাধ্যমে প্রজাদের বহু অর্থ বিলিয়ে দেন।
জেবউন্নিসার সমাধিস্থল
জেবউন্নিসার সমাধিস্থল ছিল ‘তিস্ হাজারি’।তাঁর মৃত্যুর বহু বছর পরে লাহোরের নওয়ানকোটে রেলপথ তৈরির সময় সে-সমাধি মিশে গেল ধুলোয়!
কী আশ্চর্য, এক দিন এই জেবই তাঁর প্রেমিককে বলেছিলেন " যদি তুমি ধূলোর মতো বাতাসেও মিশে যাও , তবু আমার কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারবে না।’’ এটা যদি নিয়তির নিষ্ঠুর সমাপতন হয় , তবে এর উত্তরও হয়তো জেবের কবিতায়ই আছে ।
আমি একাকী বসে আছি রাতের কলিমাতে
আমার গান পরিপূর্ণ রয়েছে জগতের লালীমাতে ।
তথ্যঋণ -- The Diwan of Zeb-un-Nissa, the first fifty ghazals ,
THE TEARS OF ZEBUNNISA
BEING EXCERPTS FROM
THE DIVAN-I MAKHFI
জেবউন্নিসার কবিতা বা কবিতার লাইনগুলো আমি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছি । ত্রুটি হলে মাফ করবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:২৫