আধুনিক সময়ের দৈনন্দিন কাজকর্মে বাড়ির বাইরে প্রচুর সময় কাটাতে হয়। ধুলোবালি, রোদবৃষ্টিতে ত্বক হয়ে পরে মলিন ও নিষ্প্রাণ। এক্ষেত্রে শুধু পানি ও সাবান দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক পরিষ্কার হয়না, চাই বাড়তি যত্ন।
অনেকের ধারণা রূপচর্চা শুধু মেয়েদের জন্য, ছেলেদের রূপচর্চার কোন প্রয়োজন নেই- এই ধারনা ভুল। কাজের প্রয়োজনে ছেলেদের বাইরে বেশি যাওয়া হয়, তাই ধুলোবালি, রোদবৃষ্টির প্রভাবে তুলনামূলক দ্রুত ত্বক উজ্জ্বলতা হারায়। একটু যত্ন নিলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাওয়া সম্ভব।
যতটা সম্ভব ত্বককে ধুলোবালি ও রোদের তাপ থেকে রক্ষা করা উচিৎ। কারণ রোদের তাপ ত্বকে পিগমেন্টেশন তৈরি করে, যার ফলে ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে সহজেই। তাই অতিরিক্ত সময় ধুলোবালি ও কড়া রোদে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দিনে ৩ থেকে ৪বার মুখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে।
ত্বকের যত্নে স্ক্রাবিং জরুরী, এটি ত্বকে জমে থাকা ময়লা, অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ছেলেদের ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো সাইট্রিক এসিড, গ্লিসারিন অয়েল, ফ্রুট যুক্ত স্ক্রাব। সপ্তাহে ২ থেকে ৩দিন স্ক্রাব করা ভালো।
প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বকের পরিচর্যার জন্যও রয়েছে বেশ কিছু সহজ পদ্ধতি। একটা লেবু কেটে খোসাসহ ত্বকে ঘষে নিতে পারেন, কারন লেবুর সাইট্রিক এসিড ত্বকের অতিরিক্ত তেল, পিগমেন্টেশন, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন ‘সি’ মুখের কালো দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে আরেকটি প্রাকৃতিক উপায় হলো, শসা ব্যবহার। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শসা অনেক সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখে শসা ঘষে নিতে পারেন, এতে ত্বক পরিষ্কার হবে।
রাতে ঘুমানোর আগে মুখে বরফ টুকরো ঘষে নিতে পারেন। এতে করে ত্বকে রক্ত চলাচল ভালো হয়, ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল। শুধু বরফ ঘষলেই হবেনা, এরপর যেকোনো ময়েশ্চারাইজার ক্রিম দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে নিতে হবে।
রূপচর্চার নানা উপায় থাকলেও সবচেয়ে জরুরী ত্বকের প্রতিরক্ষা। তাই যতটা সম্ভব ধুলোবালি ও রোদবৃষ্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা ভালো।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরো টিপস্ জানতে আমার ব্লগ একবার ঘুরে আসতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩