somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

X((X((X(( মানবতা এখন কোথায় কার পা ধরে বসে আছে??? X((X((X((

২১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমরা তো মানুষ না... আমরা দিন দিন মহামানুষদের টয়লেটের ফ্লাসব্যাক হয়ে যাচ্ছি। ধীক্কার দেয় এই মানবতাকে??? প্রশাসনকে চিৎকার দিয়ে বলতে চাই... ভাই একটু আমাদের খেয়াল কর????? তোদের দুইটা পা ধরে.... বলি......

ঈদ... কত একটা আনন্দ শব্দ... আমরা উন্মুখ হয়ে থাকি একটি বছর এই দিনটির আসায়... কত আনন্দ হই হুল্লুর.. কত কিছু... সকাল থেকে খাওয়া দাওয়া নামাজ কোলাকুলি কত কি!

কিন্তু কিসের ঈদ.... রাতের বেলা আমি আর সোহেল শহরের প্রাণকেন্দ্রে গেলাম... নুডুলস খাব বলে.. পেলাম না... ও বলল.. চল মিষ্টি মেলার সামনে গিয়ে ঠান্ডা অর্থ্যাৎ কোল্ডডিংকস খেয়ে চলে যাবো.... কথামত কাজ... মিষ্টি মেলার সামনে রিক্সা থেকে নামতেই... ডুকরে কান্নার আওয়াজ শুনলাম... এগিয়ে গেলাম... (মজার বিষয় হল কেউ তাকে জিঙ্গেস করছে না... কি সমস্যা/ বা কি হয়েছে) আমি আর সোহেল তার কাছে গিয়ে জিঙ্গেস করলাম.. কি হয়েছে আমি একটু রেগে গিয়ে বললাম... (কেন রেগে গিয়েছিলাম... জানি না.... )

ভাই আমার সব শেষ.... সব শেষ মানে?? গত রাত থেকে আজ ৫২০ টাকা মত কামাই করেছিলাম... শুয়ারগুলো সব নিয়ে গেল??? আমি বললাম কে নিয়ে গেল?? আমি ঠিক বুঝতে পারি না.... সে কাদঁতে কাঁদতে বলল... ভাড়া নিয়ে হাসপাতালের পেছনে গেছিলাম ভাই.. ভাড়া নেমে দিয়ে আসতে ছিলাম... তিন ছেলে বলল .. এই রিক্সা দাড়া.... রিক্সা দাড়িয়ে, স্যার কই যাইবেন? স্যার... আমার কথা শেষ করতে না দিয়ে স্যার... আমাকে ৩/৪টা জোড়ে জোড়ে থপ্পর মারলো? সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে গাল ধরে বসে পড়ি... তারপর স্যার ওরা লাথ্থি দিল স্যার.. বড় একটা চাকু কোমড় বাহির করে বলল যদি চিৎকার দিবি... হারামজাদা তোর পেটে মধ্যে পুরাটাই ঢুকে দিমু... কুত্তার বাচ্চা যা আছে দে... বলে স্যার আমি কিছু বলার আগে ওদের একজন আমার লুঙ্গির ত্যারে হাত দিল, দিয়ে যা ছিল সব বের করে নিল... আমি শুয়া অবস্থায় একজন পা ধরলাম... ভাই... টাকাগুলো নিয়েন না... আমি বাসায় যামু... হারামজাদা পা ছাড়... নাই লে এইড্যা পুরুটায় ভেতরে ঢুকে দিম... হারামজাদা পা ছাড়.... কুত্তার বাচ্চা পা ছাড়..... বলে ওদের আরেকজন লাথি দিয়ে পা ছাড়িয়ে নিল... আমি এতই আকুতি মিনতি করলাম ছাড়.. টাকাগুলো দিলু না.. .

স্যার আমার বাবা নাই... একটা বোন তাও অবিবাহিত, মা , বড় একমাত্র মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে.... ৩কি.মি পথ যাই সে স্কুলে... প্রতিদিন রিক্সা চালিয়ে আমি ওকে ৫টাকা করে দিতাম... লক্ষিমা আমার আজ সকালে বলছে.. বাবা আমার কাছে ৩০০/- আছে..তুমি আমারে ভাল এক ড্রেস দিবা এইবার ঈদে . কই পালা. টাকা.. তুমি আমারে ৫/- টাকা করে দিতা স্কুলে যাওয়ার জন্য... আমি স্কুলে হাঁটা গেছি তাও টাকা খরচ করি নাই... ওসব কিছু মিলে ৩০০/- জোগায়ছি.. তুমি একটা ড্রেস ভাল কিনে দিবা বাবা.... সেই মেয়েকে আমি কথা দিয়ে আসছি তাকে ড্রেস কিনে দেব.... সব ওই হারাপ জাদা রা নিয়ে গেল স্যার.. এখন আমি আমার মেয়েকে গিয়ে কি বলবো????
বলতে পারেন স্যার.... এমন মায়াময় দৃষ্টিতে তাকালো আমাদের দিকে... মনে হল কুত্তার বাচ্চাদের যদি পেতাম.... দেখতাম না কোথায় মারছি... পাগলের মত মারতাম... যতক্ষণ পর্যন্ত ওদের শেষ নি;শ্বাষটুকু প্রাণ ত্যাগ না করতো???

যা হোক ওর রিক্সায় আমরা ওঠলাম.... বলল স্যার কই যাইবেন..... তুমি চল আমি বলছি.... রিক্সা যেতে ও বলল ( স্যার ওদের আল্লাহ ভাল করবে না... ওরা লেংড়া হয়ে যাবে, ওদের হাত পা লুলা হয়ে যাবে) বৃষ্টির মত মুখ দিয়ে শুধু অভিসাপ দিতে লাগ লো... আমি ওকে বারুন কিংবা প্রতিবাদ করতে পারলাম না.............. শুধু ১০/- ভাড়া ১০০/- দিয়ে আমরা রিক্সা থেকে নেমে হাটাঁ শুরু করলাম...

এখন প্রশ্ন এই যে.... অভিশাপ এর কি হবে???????? মানবতা এখন কোথায় কার পা ধরে বসে আছে??? মায়া মমতাকে কে বা কারা গলা টিপে মারতে চাচ্ছে?????



বি.দ্র: একটা নির্দিষ্ট স্থান প্রায় প্রতিদিনই এরকম ঘটনা ঘটছে!!! প্রশাসন কার পা চাটছে!!!!
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৪



চাইলে জিয়াউর রহমান ঢাকায় ঝাঁ চকচকে দালান কোঠা রাস্তা বানিয়ে সবার চোখ ধাঁধিয়ে উন্নয়ন করার বাহাদুরি করতে পারতেন। সেটা না করে তিনি ঘুরতে লাগলেন সারা দেশে, গ্রামে গঞ্জে গিয়ে খাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জবাবদিহিতার অনন্য দৃষ্টান্ত

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৫

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করার পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে। সেসব পোস্টে তার বিরুদ্ধে বিপুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি যাত্রা করবেন নাকি রাজনীতি করবেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১১


ইদানীং দেশে রাজনৈতিক দল গজানোর হার দেখলে মনে হয়, দেশের মাটিতে এখন ধান নয়, গজায় দল। ভোট এলেই বুঝি এই দলগুলো দুলে ওঠে, আর না এলেই পড়ে থাকে ফাইলের পাতায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৯

আওয়ামী লীগের নেতারা যদি সত্যিই নির্দোষ হতেন, তাহলে তারা পালিয়ে গেলেন কেন?

পলায়নপর ছবি কৃতিত্ব এআই

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা দেশ ছেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সুরের জাদু: গিটার বাজালে কি ঘটবে?

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪১



গাজীপুরের পুবাইলের পুরনো গির্জাটি রাতের আঁধারে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই গির্জার নির্মাণকালে কিছু না জানা কুসংস্কারের অনুসরণ করা হয়েছিল। গাজীপুরের লোককথায় বলা হয়, এই গির্জার নিচে আটটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×