কোন এক নিশুতি রাতে
জেগেছিল সাধ মরণের,
কষ্টের চাদরে ঢাকা এই পৃথিবীকে
লাথি মেরে পরজনম বরণের।
কিন্তু পারিনি,
মানসপটে ভেসে উঠেছে একটি মুখ,
যার জঠরে করেছি বিরাজ দ্বীর্ঘকাল
দেখেছি আলোর মুখ ধরণীতে এসে।
যার বক্ষ অমৃত করেছি পান
কোল ভিজিয়েছি কত শীত-গ্রীষ্ম,কত বরষা!
যেদিন নাড়িতে হয়েছে বিচ্ছেদ,উঠেছি কেঁদে
আজ তার মুখশ্রীতেই থেমেছে পদ,পঙ্কিল কল্পনা।
ভেসে উঠেছে মনে এক বৃদ্ধের ছবি
যার কাঁচা-পাকা গোফ-চুলে চর্ম গেছে ঝুলে,
যার ছায়াতলে আজীবন পেতেছি গো ঠাঁয়
হাত ধরেই শিখেছি হাঁটা একটু একটু করে।
পড়েছে মনে এক ভালোবাসার হাসি
একসাথে বড় হওয়া,কত স্মৃতির খুনসুটি!
কত তার চাওয়া আর কত তার পাওয়া
হিসেবের খাতা মোর নয় পরিপাটি।
এক আধো বোল কানে দিয়ে গেছে দোলা
আসবি কবে রে তুই? ওরে জাদু ভায়া,
সাদা বিড়ালটার হয়েছে জোড়া ছাও
ফুলে ফুলে ভরে গেছে দক্ষিণের বাগানটা।
চমকে গেছি ভেবে, সহসাই গেছি থেমে
অনেক দেনাই মোর বাকি আছে ভবে,
কি আছে পরিশেষ? হবে দেখে যেতে
বাঁচতে হবে অনেক,জীবনকে ভালোবেসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৮