প্রতি প্রভাতেই যেতাম ঠাকুর বাড়ি
গন্ধরাজ আর বেলির বাগান কোনে,
একটি পলক দেখতে তোমায় শুধু
ফুলকুমারী তোমায় রঙিন ঝুড়ি হাতে।
আমি চেয়ে থাকতাম অপলক
তুমি দেখতে রাঙা চোখে আড়ে আড়ে
ভাবতে কি নির্লজ্জ,বেহায়া ছেলে আমি!
কুড়িয়ে কুসুম তাড়াতেই যেতে চলে।
আমি বিভোর হয়ে শুনতাম তব গালি
ঘুম ভাঙা ওই ভারী করা অস্পষ্ট স্বরে,
ফোলা ফোলা দুটি বাঁকা চাহনির আঁখি
ছিন্ন খোঁপার দীঘল এলো চুলে।
সাঁঝবেলাতেও গিয়েছি মন্দিরে একা
ধূপের গন্ধটা লাগতো তখন ভারী,
উৎসব নয়!সব ছিল শুধু তোমায় দেখার নেশা
দেখলে তোমায় সবার সাথে আড়ি।
মাঝে মাঝে পিছু নিতাম চুপিসারে
তুমি খেয়াল করে হাঁটতে বেদম বেগে,
খানিক বাদে বাদে পিছন ফিরে দেখায়
এঁকে যেতো হাজারো কল্পনা মানসপটে।
এরপর,কেটে গেছে বহুদিন
তুমি হয়েছ চিতায় ভস্ম সেই কবে!
তবুও এই ঠাকুর বাড়ির উঠান,এই বাগিচা
মোরে ডেকে যায় প্রিয়,অস্পষ্ট পুরোনো সুরে।
এখনও সাজে এই বাগান,এই মন্দির
কত জন আসে কুড়াতে গন্ধরাজ,বেলি
কত জন দেয় পাবনে কত যে পূঁজা!
শুধু পড়েনা সেই পুরোনো পদধূলি।
কত ফুলেই সাজে বাগিচা আজ!
আমি খুঁজি সেই পুরোনো একটি মালি,
আড় চোখে তাকানো সেই জোড়া নেত্র
আর নিরব গালির অস্পষ্ট সেই বুলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৩