একাকী পথে ফিরতে বাড়ি দেখলাম যা রেলে
গায়ের লোম উঠলো দাড়ায়ে শীতল রক্ত-স্রোতে,
বার কি তেরোর একটি মেয়ে ধুলোয় সিক্ত কেশ
কৃষ্ণবরণ গন্ধ ছড়ানো ছেড়া-তালি তার বেশ।
অবলা ললনা, লুপ্ত জ্ঞান,রাস্তায় বসবাস
পাগল বলিয়া দেখেনা কেহ,নিয়তির পরিহাস!
জীর্ণ দেহে ধরে শিশু নিজের বক্ষপটে
কলঙ্ক লেপন গিয়াছে ছড়ায়ে,লজ্জা সর্বতটে।
ক’জন যুবক আসলো হেঁটে,কইল হাঁক ছাড়ি
কেমনে করিলি এহেন কর্ম?হাসতে হাসতে মরি!
বাঁধা দিল না এসে কেহ সেথা,দেখলো শুধু চাহি
কত যে খারাপ বকল তারে, বলতে নাহি পারি!
শুধালাম পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অচিন পথিক পানে
বলল হেসে মশাই পাপের ফসল,নেহায়েত পথজনে,
আনত নয়নে ছিলেম তাকায়ে অবুঝ নারী পানে
খিল খিল করি উঠল হেসে বাতাসে দুখ মেলে।
ফ্যাল ফ্যাল করি থাকল চাহি নিজের বক্ষ পানে
ফিসফিস করি কি যেন কইল নিজেই নিজের তরে!
বুকের মাঝে জমিল ব্যাথা,চোখের কোণে জল
নিজের বিবেক হইল বোবা,মানবতা বিফল।