অনেকদিন পাখিরা নেই। ঝিমধরা সবুজ দুপুর নেই।
আঙুলের ছোঁয়াতে পিয়ানোতে সুর তোলেনা কেউ।
এমন রোদ ছুটি দিন এ ইচ্ছেরা পাখি হয়ে ওড়ে।
পশ্চিম থেকে ছুটে আসা ট্রেনে কেউ আসেনা কোনদিন আর।
চোখের কাঁপনে শুধু মেহগনী বিকালের রঙ ছুয়ে থাকে।
কথাহীন সংলাপে, শীতকাল ঘুমিয়ে থাকে নিজস্ব ডাকবাক্সে।
সাইকেলের টুংটাং বেল বাজিয়ে চলে গেছে ডাকপিয়ন, সেই কবে!
এখন রবীঠাকুরের " ডাকঘর" নিয়ে বসে থাকি।
অমল এর প্রার্থনা ছিল ডাকহরকরা হবার।
আর আমি হতে চেয়েছিলাম শেষ বিকেলের চিঠি।
অদ্ভুত নীল ময়ূরের জন্য মন কেমন করে আজো !
শুধু একবার দেখেছিলাম তাকে এক শিরীষের বনে!
ধূপকাঠি জ্বলছে না কোন,অথচ ধোঁয়ায় ভরে গেছে চারিদিক।
মন মাতালদের এই এক সুখ!
অহেতুক অকারণ এ তাদের চোখের ভিতর জেগে ওঠে বর্ষাকাল!
(এই কবিতার কোন নাম দেইনি এখনো।
"নভেম্বর রেইন" নাম এ একটা বই বের করার ইচ্ছা সামনে।
সেখান থেকেই এই কবিতা)