দূরে কোথাও বেহালা বাজে। যে বেহালার বুক জুড়ে রোদনের সুর অার তোমার ফেলে যাওয়া দীর্ঘশ্বাস। অত কান্না কেনো ওর বুকে? জানি না, কেউ জানায় না। শূন্যতার সেই সুর অাঁকড়ে ধরে অামার শুধু মনে পড়ে, অামাদের যুগলজীবন। অামরা তখন ভালোবেসে অাকাশ হয়েছিলাম। যে অাকাশজুড়ে ছিল কেবল বিজলির অাখ্যান।
বৃষ্টি বিরতির রঙধনু বাহার নিয়ে অাজো সে অাকাশ বহুতল মেঘের পরে শরীর এলিয়ে অাছে। অার অামি মেঘের ভাঁজে দাঁড়িয়ে শুনছি পুরনো সব কথার বুদবুদ। তুমি বলতে অভিমানের কান্না ভালোবাসো, এই কান্না বরাবর অামাকে নাকি রূপসী করে তোলে। তাই হয়তো বৃষ্টি ফুরোলেও অভিমানের সেই কান্না ফুরোয় না। অামার জলজ চোখ তোমার ফিরে অাসার দিন গোনে অার মেঘের পালকে সাজিয়ে রাখে হারিয়ে ফেলা সুখ।
অামাদের সুখগুলো ছিলো গাছের মতোন, যার ছিল অতল শিকড় অার সবুজের বাড়াবাড়ি। অামাদের চুম্বনের উত্তাপ ছিল পাপের মতোন, যার রং ছিল লাল, নীল, অাসমানি, কমলা, হলুদ, সবুজ, বেগুনি। অামরা সেই পাপের ঘ্রাণে বুঁদ হয়ে দুজন দুজনকে তুমুল ভালোবাসতাম অার কথা বলতাম প্রিয় রঙের তারুণ্যে।
মেঘনিনাদের মতো অাজো সেই কথোপকথনের ঝলকানি অামার বুকে জমে থাকা ক্ষরণের দাগকে দৃশ্যমান করে তবু অামি কান পেতে রই। অাচমকা পা হড়কে পড়ার মতো হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামতেই মেঘের চূড়ো থেকে খসে পড়তে পড়তে অামি রঙধনুর ফাঁকিটা ধরতে পারি।
#মুক্তগদ্য