___ অপরাহ্ন
____সুজন কুতুবী
বিয়েটা করেছিলাম বাবা মায়ের অমতে। আজকের এই কোলাহলময় সন্ধ্যা সেদিন ছিলোনা। বলতে গেলে একটা শান্ত আদর্শ নগরী আমি পেয়েছিলাম।
মূলত পড়ালেখার উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রাম থেকে শহরে এসেছিলাম। শহরের আর দশজন সাধারণ ছাত্রের মতোই বেড়ে উঠছিলাম আমি। আমারও ইচ্ছে ছিলো মানুষ হবো। বাবা-মায়ের ইচ্ছেটা বাস্তবায়ন করবো।
একদিন, দু'দিন করে অনেক দিন চলে গেলো । ভার্সিটি জীবন শেষ হওয়ার আগেই এক মায়াময়ী রমণী আমার জীবনের পাতা উল্টে দেয়। তাকে দেখা মাত্রই আমার ফুসফুসীয় ক্রিয়াদি দ্রুত সঞ্চালন হতে শুরু করে। এতো সুন্দরী, এতো শান্ত, এতো ন্ম্র, এতো স্বল্পভাষী কী করে হয় ! এ যেন ঈশ্বরের হাতে গড়া এক খেলনা পুতুল। কোন রাজকন্যার জন্যে কিনে নিয়ে আসা রাজকুমারের অমুল্য উপহার। সে কী অপ্সরী নাকি আর দশজনের মতো সাধারণ মানবী তা আমার বিচারের সাধ্যাতীত ছিলো।
তার সাথে পরিচয়ও হয় কাকতালীয়ভাবে। বন্ধুদের সাথে কোন এক বর্ষণমুখর দিনে আড্ডা দিতে গিয়ে প্রবল বর্ষণের কারণে বাসায় ফিরতে পারছিলামনা। রাস্তাঘাটে পানি জমে গিয়ে রিক্সা চলাচলও বন্ধ। অগত্যা এক ছাতা হাতে নতুন পরিচিতা একজন মেয়ের সাথে জড়াজড়ি করে বাসায় ফিরছিলাম।
চারুকলা ইন্সটিটিউট হতে সেদিনের বাসা ফেরা আমার এখনও মনে পড়ে। আমি তা ভাবলে এখনও রোমাঞ্চিত হই। অনেক দীর্ঘ পথ আমরা একসাথে এসেছিলাম। কথা বলতে বলতে আমার কেন যেন মনে হলো তার সাথে হয়তো আমার আগের জন্মে কোনদিন পরিচয় ছিলো। কিংবা সে আমার কতো পরিচিতা, কতো আপন একজন ! বাতাসের হালকা ঝাপটায় যখন তার চুল এলোমেলো উড়ছিলো আমার তখন কালিদাস কিংবা রবি ঠাকুর হতে ইচ্ছে করছিলো । যদিও কবিতা আমার প্রিয় ছিলোনা। আমি কখনো কবিতার কাছে যাইনি। আমার কেবলি লিখতে ইচ্ছে করছিলো । ঐদিন আমাদের ফেইসবুক আইডি শেয়ার হয় । তারপর ,,,,,,,,, (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩১