খুব তাড়াতাড়িই
গোসলটা সারল আদিত।
আজকে আর "খুশকির
বংশ করে দেব ধ্বংস"
এই
স্লোগানে তাল
মেলাতে পারল না ও।
কিন্তু তাই
বলে কি ফেস ওয়াস
না করেই গোসল ! না,
তা হবে না।
তবে আজকে মুখমণ্ডলের
চামড়াটা কম উঠল।ওর
"এবারের মিশন মুখ
ধলা করার মিশন"।মুখ
হুইল পাউডারের
অ্যাডে দেখানো কাপড়ের
মত ধবধবে সাদা হতেই
হবে।তা নাহলে যে,
ভার্সিটির সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের
সেই কঠিন
নামওয়ালী মেয়েটাকে প্রপোজ
করা যাচ্ছে না !
মেয়েটা ওকে দুই দুই
বার
নাম বলেছিল।তারপরও
আদিত
নামটা মনে রাখতে পারেনি।
তাড়াতাড়ি রেডি হতে হবে।
সকালবেলাও
ভার্সিটিতে যাওয়ার
সময় যেখানে চুল
স্পাইক
করতেই ১৫ মিনিট
সময়
লাগালো সেখানে এখন ও
রেডিই হলো ১৩
মিনিটে !
জরুরী কাজে আদিত
ম্যাগী নুডল্যুস সময়
মেইনটেইন করে চলে।
কানে খালামণির
আওয়াজ ভেসে এলো।
-আদিত...বাবা আদিত....আদি......।
ডাকটা "আ"
তে পৌছানোর আগেই ও
জবাব দিল।নিজের
নামের এইরকম
বিলুপ্তি ওর
ভালো লাগে না।অবশ্য
লুল সম্প্রদায়
ছাড়া কেউরই
ভালো লাগার কথা না।
-এখন খাওয়ার সময়
নেই।
বাইরে কিছু খেয়ে নিব।
দেখেশুনে চলব।
রাস্তার
বাঁ দিকে হাঁটব।কেউ
কোনকিছু
দিলে আগে তাকে খাইয়ে একটা পরীক্ষা করে নিব।
পরীক্ষায়
যদি সে সফলতার
সাথে পাস
করে তাহলে নিজে খাব।
আর যদি ফেল
করে তাহলে গণপিটুনি খাওয়ার
আগেই আমি ঐ স্থান
ত্যাগ করব।
আ....র......
ও হ্যাঁ।
তাড়াতাড়ি বাসায়
ফিরব।
খালামণি আরো কি জানি বলল।
না শুনলেও আদিত
জানে খালামণি কি বলেছে।
কারণ প্রতিদিন বের
হওয়ার সময় উনি একই
কথা বলে থাকেন।উনার
শেষ কথাটা ছিল-"
টাকা প্রয়োজনের
চেয়ে একটু
বাড়িয়ে নিস।রাস্তা-
ঘাটের বিপদতো আর
মহাসেনের
মতো ঢাকঢোল
পিটিয়ে আসে না"।
নিয়মিত
শুনতে শুনতে পড়ার
চেয়েও এই
কথাগুলা ভালো মুখস্ত
হয়ে গেছে ওর।তাই
খালামণির প্রথম
অধ্যায়ের প্রশ্ন শুনেই
সে দ্বিতীয়
অধ্যায়েরও
উত্তর এক
সাথে দিয়ে দেয়।
হরলিক্স না খেয়েও
এভাবেই সে তার মেধার
স্বাক্ষর দেশ ও
জাতির
স্বার্থে রেখে যাচ্ছে।
হাঁটতে হাঁটতে এখন
সে বড় রাস্তাটায়।
হঠাত্ টের পেল
পকেটের
মোবাইলটা হাটুকম্পন
শুরু করে দিয়েছে।
মনে মনে করা সন্দেহটাই
সঠিক হয়ে গেল।
নেয়ামত ভাই'র কল।
-হ্যালো,ভাই।
-আদিত,
সকালবেলা অনেক কল
দিয়েছিলাম।ধরোনি
কেন ?
-দুঃখিত ভাই।আমার
বিরতিহীনভাবে টানা ৩
টা ক্লাস ছিল।
-আমিও ভেবেছিলাম
হয়ত তুমি ক্লাসে।
ও,সেটা ভেবেই বুঝি ২৩
টা কল দিয়েছিলেন-
মনে মনে বলল আদিত।
-আমি দুঃখিত ভাই
যে কলটা ধরে আপনার
"হয়ত"টাকে "নিশ্চিত"
বানাতে পারিনি !
ও পাশ থেকে নেয়ামত
ভাই'র লজ্জাবরণ
হাসির মৃদু শব্দ
শোনা গেল।
-যাইহোক।
একটা গুরুত্বপূর্ণ
মেসেজ দিয়েছিলাম।
সেটা কি পেয়েছ ?