আমরা ব্লগাররা এই সেই, আমরা জনতার অমুক তমুক, আমরা হ্যান করেছি ত্যান করেছি, আমরা শহাবাগ করেছি।
কিন্তু আমাদের চারজন ব্লগারকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করার পর আমরা কারো কোনকিছুই ছিড়তে পারিনাই। তার নাস্তিক, সেই সুবাদে সরকার তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় করলেও তাদের মুক্তি চাওয়া জায়েজ কিনা সেই নিয়া আমরা কূতর্ক করে সময় পার করেছি। বিশেষ করে আসিফ মহিউদ্দীনের ক্ষেত্রে ব্লগ ও অনলাইন সমাজের অনেকে শ্রেফ ব্যক্তিগত অপছন্দের কারনে যে অন্যায় আচরণ করেছে, তাতে সরকারের ব্লগারদের মধ্যকার বিভেদ বুঝতে ও তা ব্যাবহার করে দুইজন ব্লগারকে আলাদা করে ফেলতে সমস্যা হয়নাই। দুইজনকে জামিন দিলো দুইজনের হেয়ারিং হুদাই ঝুলায়া দিলো। সবই সরকারের রাজনৈতিক সুবিধা অসুবিধার খেলাধুলা। আর আমরা ব্লগাররা এসব দেখেও চুপ করে থাকি। কারো কোন কিছুই ছিড়তে পারিনা।
সব মিলায়া ৫ ফেব্রুয়ারীর পরে সরকার ব্লগার ও শহুরে তরুন প্রজন্মকে যে সিরিয়াসলি নেয়া শিখছিলো এখন আর তেমন সিরিয়াসলি দেখেনা। কারন আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আগেই জামাতি ষড়যন্ত্রে টুকড়া হয়া গেছি। সবাই জানে, এমনকি একজন বিএনপি জামাতের সমর্থকও স্বিকার করবে যে 'নাস্তিক' ইস্যু আমার দেশ পত্রিকার প্লান মাফিক তৈরি করা একটা ইস্যু যার একমাত্র উদ্দেশ্য শাহবাগকে দুর্বল করা এবং জামাতকে লাইফ লাইন দেয়া। এবং তা সফল হয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আগেই টুকড়া হয়া গেছি।
আমাদের দুইজন অন্যায়ভাবে আটক ব্লগারের মুক্তির জন্যে আবারো ঐক্ক্যবদ্ধ হওয়া উচিৎ। আরো কয়েকজন অনলাইন একটিভিস্ট আটক আছেন, তাদেরও মুক্তির দাবি আমাদের জানাতে হবে। তারা নাস্তিক হতে পারেন, কিন্তু যারা ইতিহাস জানেন তারা জানেন যে আমরা ব্লগাররা আমাদের যা কিছু অর্জন নিয়া গর্ব করি সেই সব হ্যান ত্যান অর্জনে এই ব্লগারদের অবদান নেহায়েত কম ছিলনা। তাদের সাথে আমাদের অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে, নানান বিষয়ে ঝগড়া থাকতে পারে, কিন্তু আমরা কেউ তাদের ধরে আটকে রাখাকে সমর্থন করিনাই, আটকেও রাখিনাই। আটকে রাখছে আওয়ামী সরকার, জামাতি ষড়যন্ত্র যার পেছনে মদদদাতা।
কাদের মোল্লার ফাঁসি ঝুলায়া দিলো সরকার। আমরা এক থাকলে এই সাহস সরকার করতোনা।