সামু এর বন্ধু-বান্ধবীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, বইমেলায় অণুপ্রাণন প্রকাশন থেকে আমার লেখা উপন্যাস ‘গন্তব্যহীন দুঃখবিলাস’ এক কপি করে সুলভে সংগ্রহ করলে খুবই খুশি হব। কলি থেকে ফুল হয়ে ফুটতে এই সংগ্রহ আমার জন্য অনেক বড় আশির্বাদ হবে। আপনারা চাইলে আজই নিচের ঠিকানা থেকে বই সংগ্রহ করতে পারেন--
দ্রুত যোগাযোগের জন্য অনুপ্রাণন টেলিফোন: ০১৭৬৬৬৮৪৪৩৬
অনুপ্রাণন বিকাশ একাউন্টঃ ০১৯১৯৫২০৪৭৩ এবং ০১৬১৯ ৮০৯২৩৫
অনুপ্রাণন প্রদর্শন ও বিক্রয় কেন্দ্র:
বি-৬৪, কনকর্ড এম্পোরিয়াম শপিং কমপ্লেক্স, কাঁটাবন, ঢাকা ১২০৫।
ই-মেইলঃ [email protected]
বই সম্পর্কে কিছু কথা
উত্তম পুরুষের বাচন শৈলীতে রচিত ‘গন্তব্যহীন দুঃখবিলাস’ উপন্যাসটি ব্যক্তিগত জীবনের পাওয়া না পাওয়ার এই লেখার নায়ক শোভন--যাকে চারপাশের সহস্র জ্বালা-যন্ত্রণা জমাট পাথরের মত আঁকড়ে ধরেছে। মা-বাবা হারিয়ে আত্নীয়-স্বজনহীন এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে সে এক টুকরো লাল ফিতের মত আহত ভালোবাসা নিয়ে তুষের আগুনে জ্বলে-পুড়ে বিরহের বিষাক্ত স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গন্তব্যহীন পথে। সময় আর ধর্মের শক্ত শিকলে বাঁধা যে নিষিদ্ধ সম্পর্ক; সে সম্পর্কের বৃত্তে ঢুকে ভিন্ন ধর্মের এক নারীকে ভালবেসে ফেলে--যা শেষ পর্যন্ত সন্ত্রাসের রূপ নেয়, তাকে জেল খাটতে হয়। রক্ত সম্পর্কহীন এক চাচার বাসায় আশ্রিত থাকাকালীন সে জানতে পারে, চাচা পিতা হত্যাকারীদের একজন। রাগে, ক্ষোভে এক ফোঁটা ভালবাসা, এক টুকরো শান্তির জন্য আপন বিবেককে বিসর্জন দিয়ে গন্তব্যহীন শ্যাঁওলা পথে পা বাড়ায়। বেকারত্বের নির্মম কষাঘাতে বিধ্বস্ত নায়ক শোভন বিখ্যাত ধনীর একমাত্র মানসিক বিকারগ্রস্ত কন্যাকে নিয়ে আগুন খেলায় মেতে ওঠে। অসময়ে ব্রেইন ক্যান্সারে মারা যায় তার একমাত্র ছোট ভাই। কেউ কথা রাখেনি তার জীবনে। তার জন্য নিষিদ্ধ, অশান্তির এই বিষাক্ত পৃথিবীতে, আহত হৃদয়ে এতিম এই পরাজিত সৈনিক ক্রমাগত দুঃখ-জ্বালা-স্মৃতিগত যšত্রণায় জ্বলতে জ্বলতে নিষিদ্ধ বৃত্তের সীমান্তে পৌঁছে যায়, হয়ে উঠে জীবন্ত লাশ। চুক্তি অনুযায়ী হারাতে হয় মানসিক রাগ হতে সুস্থ, সুন্দরী যুবতীকে। কিন্তু ভালবাসা কি চুক্তি মানে? ভালবাসা যা দেয়--তার চেয়ে অনেক বেশী কেড়ে নেয়। তবুও মানুষ ভালবাসার জন্য সহস্র শিকলের ত্রিভূজ ভেঙ্গে বাইরে বেড়িয়ে আসতে চায়। আর তাইতো ভালবাসার নীল দংশনে বিষাক্ত হয়ে উঠে গন্তব্যহীন তার এই জীবনের ছায়াপথ।
বেকার জীবনের উপর ভিত্তি করে উপন্যাসটি লেখা হয়েছিল ১৯৯২ সালে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই লেখার আবেদন আরো বেশি বলে আমার মনে হয়।