আসছে শীতের আমেজ। ক্রমেই জমে উঠছে কুয়াকাটা। যেখানে আপনি সরাসরি সূর্যাস্ত ও উদয় উপভোগ করতে পারবেন। দেখতে পাবেন সুন্দরবনের একটি অংশও।
কিভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
(কাউরো হেল্প প্রয়োজন নেই)
সরাসরি সদরঘাট লঞ্চ ঘাট থেকে পারলে আগের দিন পটুয়াখালীর টিকিট কেটে নিতে পারেন (কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে বুকিং ও দেয়া যায়)। ডাবল বেডের কেবিন মানভেদে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। তবে কেবিনে ঘুমিয়ে থাকলে জানালা না লাগিয়ে ঘুমালে আপনার মালামাল খোয়া যাইতে পারে। এছাড়া যদি না ঘুমিয়ে ভাগ্য ভাল হলে চাঁদের আলো দেখতে দেখতে তিনতলা ছাদের উপর বসে/ডেকে যেতে পারেন- ভাড়া জনপ্রতি ৩০০-৫০০ টাকার মধ্যে। খাবার ব্যবস্থাও থাকে লঞ্চে। মোটামুটি সকাল ৫-৬টার দিকে পটুয়াখালীতে আপনাকে নামিয়ে দেবে। সেখান হতে সোজা কুয়াকাটার বাস পাবেন। এতে সাধারণত ১.৩০ থেকে ২ ঘন্টা লাগে। কিন্তু সমস্যা হলো ৩/৪টি ফেরী পারাপার আছে। এখানকার ব্রীজগুলো এখনও সম্পন্ন হয়নি। এখানে কিছু সময় বেশি লাগতে পারে। এরপর কুয়াকাটায় অনেক ছোট বড় হোটেল আছে ১০০০-৩৫০০ টাকার মধ্যে ডাবল বেড সহ রুম পাবেন। বাস থেকে নেমে সোজা হোটেলে চলে যাবেন। রেষ্ট নিয়ে পায়ে হাটা পথ। অল্পদূরে বীচে ঘুরে/ভিজে---- আসতে পারেন।
মটর সাইকেল এ এলাকার প্রধান বাহন। বীচে আপনি কিঃমিঃ প্রতি ১৫-২৫ টাকার মধ্যে মটর সাইকেল পাবেন। মজা করে বীচে মটর সাইকেল চালাতে পারেন।
এরপর সূর্যাস্ত দেখার জন্য লাল কাঁকড়ার বীচে চলে যাবেন মটর সাইকেল-এ চড়ে। ভাড়া ২জন ১৫০- ২২০ টাকার মধ্যে। এখানে লাল কাকড়া সহ সুন্দরবনও দেখতে পাবেন। মজা করে খেয়ে আসতে পারবেন ইলিশ ভাজা, চিংড়ি ভাজা, কাঁকড়া ভাজা ইত্যাদি।
আর সূর্যোদয় দেখতে চাইলে সন্ধ্যা বেলাতেই দুইজন মটরসাইকেল ওয়ালার ফোন নম্বর সহ ভাড়া ঠিক করে রাখবেন। খুব সকালে এদের সাথে যোগাযোগ করে রওয়ানা হবেন। দুই জন ঠিক করে রাখা ভাল। মনে রাখবেন আপনার চাইতে বেশি ভাড়া পেলে ওরা আপনাকে আর নিয়ে যাবেনা। তাই দুই জন ঠিক করা থাকলে কিছুটা রিক্স কাভারেজ করে।
ও হ্যাঁ, কুয়াকাটায় সুন্দর রাখাইন মার্কেট আছে। এখান থেকে আচার সহ অনেক সুন্দর সুন্দর সামগ্রী অনেক কমদামে কিনতে পারবেন। তবে আচার বেশি কিনলে অবশ্যই বড় প্যাকেট খুলে ছোট প্যাকেটের সংখ্যা গুনে বুঝে নিবেন। নচেৎ ওরা প্যাকেটে কম ছোট প্যাকেটের আচার রাখে।
গুডলাক।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০২