কক্সবাজার ভ্রমনে যাব ২২ নভেম্বর ২০১২, পরামর্শ দিয়ে হেল্প করুন প্লিজ। এই শিরোনামে পোষ্টটি দেয়া ছিল। পরে বিভিন্ন জনের দেয়া তথ্য থেকে সংগৃহীত একটি তথ্যভান্ডার।
হোটেলে উঠার সময় কোন রিক্সা বা বেবীওয়ালার সাহাজ্য নিয়েন না কারন ওদের বিরাট একটা কমিশন আছে যা আপনার থেকে কেটে নিবে। অবশ্যই ভাটার সময় পানিতে নামবেন না। শুভ হোক আপনাদের যুগোল ভ্রমন। তয় রাতের ট্রেনে চিটাগং সেখান থেকে বাসে ও যেতে পারেন।
আপনার আকুতি শুনে মনে হচ্ছে আপনি একজন দুর্ভাগা, যে আগে কখনও কক্সবাজার দেখেননি। যাহোক... সামান্য সাহায্য আপনার স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে করে দিলাম। এই মুহুর্তে কক্সবাজার ফুল। যেকোন হেটেলের বুকিং ছাড়া যাওয়া মানে বেশ খানিকটা ঝামেলা মাথায় করে যাওয়া। তাছাড়া কোন ধরনের ডিসকাউন্ট মিলবে না। খুজে বের করুন কক্সবাজারে কোন বন্ধু বা পরিচিত কেউ আছে কি না। উনার সাহায্য নিন।
আপনি আপনার বাজেট বলেন নি.. তাই নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলতে সম্ভব না। আপনার বউটি যদি ভ্রমণপ্রিয় হয়ে থাকেন তাহলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রাতের ট্রেনে চলে যান। ওখান থেকে ভোরের কোন একটি ভাল বাসে বা মাইক্রোতে কক্সবাজার। এই জার্নিটা মজার।
সাথে বড় ব্যাগ বহন না করাই ভাল। খুবই প্রয়োজন এমন কিছু নিয়ে নিন। সমুদ্রে গোসল করার কাপড় আলাদা নিন। সমুদ্রে নামার সময় খালি হাত-পা নিয়ে যান। টাকা, মোবাইল, স্যান্ডেল এসব নিয়ে কোথায় রাখবেন এই ভাবনায় আনন্দ মাটি হবে।
খাওয়ার জন্য অনেক হোটেল আছে। দাম যাচাই ও খাবার পরিবেশনের পর আবারো দাম যাচাই করে নেবেন। কারণ একপিচ মাছের দাম যদি হয় ১২০টাকা ওরা আপনাকে দুপিছ করে দিয়ে যাবে। যার দাম হবে ২৪০টাকা। নতুন বউয়ের সামনে লজ্জায় ঝগড়া করতে পারবেন না। আবার বিষয়টি মনের মধ্যে খচখচ করতে থাকবে।
বীচে বসে চুড়ি-মালা কিনবেন না। যা আপনি ৮০ টাকায় কিনবেন তা বাজারে ২০ টাকায় পাওয়া যায়। সন্ধ্যের পর বাজারে যেয়ে দাম শুনে নতুন বউয়ের সামনে নিজেকে গাধা মনে হবে।
সবার সাথে ভাল ব্যাবহার করবেন। কোন ধরনের ক্যাচালের মধ্যে যাবেন না।
প্রথম দিন হোটেলে ব্যাগ রেখেই সমুদ্রে নেমে যান। সমুদ্র থেকে ফিরে অবশ্যই গা থেকে লবন পানি ধুয়ে নেবেন। হোটেলে ফিরে খাবার খেয়ে তারপর রুমে রেস্টকরুন। ঘুম থেকে ফ্রেস হয়ে উঠে আবার সমুদ্রে যান। এবার দেখুন সমু্দ্রটা কত সুন্দর।
ফিরতি বাসের টিকিট কক্সবাজারে নেমেই করে নিন।
মানে রাখবেন কক্সবাজার আপনার পাছার মাংস সহ পকেট কেটে নেয়ার অপেক্ষায় আছে। তাই টাকা পয়সা বেশী করে নিয়ে যাবেন। অহেতুক শপিং করবেন না। রিক্সার থেকে ব্যাটারী রিক্সা ভাল হবে। দামদর করে নেবেন। অনেক ধরনের হোটেল আছে। ২ হাজার থেকে ১২/১৪ হাজার টাকা একরাত। অনেক ফ্লাট বাড়িতেও থাকতে পারবেন। তবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দেখে নেবেন। দামি হোটেল হলে সকালের নাস্তা ফ্রি পাবেন। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নাস্তা করতে হবে। চেকআউট টাইমটা জেনে নিন। শুধুমাত্র ব্যাগ রেখে একরাতের ভাড়া যেন গুনতে না হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। দরকার হলে ব্যাগ হোটেলের কাউন্টারে রেখে রুম ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে যান।
পরের দিন সকালে কক্সবাজার আপনার চেনা মনে হবে। এবার ঘুরতে যান। ইনানী পর্যন্ত গেলেই এদিকের সব মানে হিমছড়ি আর এর পরের ট্যুরিষ্ট পয়েন্ট গুলো দেখা হয়ে যাবে। মারমেইড ইকো রিসোর্ট এর ওখানে একটু সময় কাটাতে পারেন। ইনানীতে মজা করুন।
টাকা পয়সার কথা সবসময় পরিস্কার ভাবে বলুন। কোন ধরনের লজ্জা বা অবহেলার খেসারত দিতে হয়েছে অনেককে। বীচের খেলাধুলার মজা নিন। সমুদ্রে নামার নিয়ম মেনে চলুন। অবশ্যই কক্সবাজার ভ্রমণের এই মধুর স্মৃতি ক্যামেরা বন্দি করে নিয়ে আসবেন। পরিবেশ বান্ধব হোক আপনার ভ্রমণ।
হোটেলে ধুকে খাবারের দামটা জিজ্ঞেস করে নেয়া ভালো হবে। নাহলে মাথায় হাত পড়তে পারে। আর ভুলেও শপিং করতে যাবেন না। সেম জিনিস ঢাকায়ও পাবেন। অনেকে শখ করে কিনে কিন্তু দেখা যায় দাম ঢাকার চেয়ে বেশিই পড়ে।
অল্প খরচে কক্সবাজার, বান্দরবান ভ্রমণ
আপনারা যারা অল্প খরচে কক্সবাজার, বান্দরবন ঘুরতে চান, তাদের জন্য এখানে কিছু তথ্য দেয়া হলো। আপনারা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার না গিয়ে নামবেন ‘চকরিয়া’। চকরিয়া কক্সবাজার জেলার একটা থানাও উপজেলা। যার অবস্থান চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ধরে চট্টগ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার। চকরিয়া থেকে কক্সবাজার এর দূরত্ব ৫৭ কিলোমিটার। চকরিয়া বাসস্ট্যান্ডেই থাকার হোটেল পাবেন, যার ভাড়া হবে কক্সবাজারের হোটলের তিনভাগের একভাগ। তিন বেডের রুমের ভাড়া হবে ২৫০-৩০০ টাকা মাত্র, কক্সবাজারে এর ভাড়া কমপে ১5০০ টাকা। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের ভাড়া 6৫০ টাকা আর চকরিয়ার ভাড়া 6০০ টাকা।
সুবিধা সমূহঃ চকরিয়াতে অবস্থান করলে আপনি তিনটি জেলার মাঝামাঝি অবস্থান করছেন। সকালে বের হয়ে যেতে পারেন বান্দরবনের ‘লামা’র ’পর্যটন মিরিঞ্জা’ স্পট (আঞ্চলিক ভাষায় ম্যারেঞ্জা)। চকরিয়া বাস স্টেশন (বাস স্ট্যান্ড বলা হয় না) থেকে জীপে যেতে পারেন। দুরত্ব ১৮ কিলোমিটার সময় নেবে ২৫-৩০ মিনিট। জীপে উঠার ১০ মিনিটের মধ্যে শুরু হবে পাহাড়ী উঁচু-নীচু পথ। পাহাড়ের চুড়া দিয়ে যখন জীপ চলবে নীচে তাকালে মনে হবে ৩০ তলা বিল্ডিং এর ছাদ দিয়ে গাড়ী চলছে ছাদের কোন রেলিং নেই। লামা দেখে যেতে পারেন আলী কদম। লামা থেকে ৩৫ কিলোমিটার। আলী কদমে আলীর সুড়ং দেখতে পারেন। তবে পাহাড়ী পথ শুধুমাত্র লামা পর্যন্তই।
সকাল ৯ টায় বের হলে ২ টার মধ্যে চকরিয়া ফিরে আসতে পারবেন লামা-আলী কদম ঘুরে। সাড়ে চারটায় বেরিয়ে যেতে পারেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বাস স্টেশন থেকে ৫-১০ মিনিট পর পর বাস পাবেন ভাড়া নেবে ৫০-৬০ টাকা করে। সময় নেবে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা। সমুদ্র দর্শন শেষে আবার চলে আসতে পারেন চকরিয়াতে। অবশ্য যারা সকালে সুর্যোদয়ের সময় সমুদ্র তীরে থাকতে চান তাদের জন্য এ সুযোগ নয়। চকরিয়া থেকে বান্দরবান যেতে পারেন সহজেই। চকরিয়া বাস স্টেশন থেকে পূবালী/পূর্বানী বাস আছে এক ঘন্টা পর পর। ভ্ড়াা নেয় ৬০-৭০ টাকা করে। নামতে পারেন পর্যটন স্পট ‘মেঘলা’।
মেঘলা থেকে বের হয়ে বান্দরবান শহর ঘুরে দেখে এসে রাতে চকরিয়া থাকতে পারেন।
এতে মোটামুটি অল্প খরচে কক্সবাজার আর বান্দরবান ঘুরে আসতে পারেন।
কি আছে কক্সবাজার এ??? জেনে নিন মোটামুটি বেশ কিছু তথ্য।
০১। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। এর দৈর্ঘ্য ১২০ কি:মি:
০২। খোলা জীপে, স্পীড বোটে বা ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানো
০৩। লাবনী পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, ডায়বেটিক হাসপাতাল পয়েন্টসহ আরো কয়েকটি পয়েন্ট
০৪। হিমছড়ি: কক্সবাজার হতে প্রায় ১০ কি:মি: দক্ষিণে
০৫। হিমছড়ি যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক ঝর্ণা রয়েছে।
০৬। হিমছড়িতে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগে একটি পিকনিক স্পট তৈরী করা হয়েছে।
০৭। রাডার ষ্টেশন: হিলটপ সার্কিট হাউসের দক্ষিণ পাশের চূঁড়ায় কক্সবাজার রাডার ষ্টেশনের অবস্থান। এখান থেকেই দেশব্যাপী ঝড়ঝাঞ্জা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়। রাডার যন্ত্রটি সুইডিশ শিশুকল্যাণ সংস্থা ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় ১৯৬৮ সালে স্থাপন করা হয়।
০৮। বদর মোকাম: বদর মোকাম মসজিদটি শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। স্থানীয়ভাবে জনশ্রুতি আছে পীর বদরশাহ’র নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। বাঁকখালী নদীর দক্ষিণ তীরে কক্সবাজার সদর থানার পার্শ্বে মসজিদটি অবস্থিত।
০৯। হিলটপ সার্কিট হাউস:জেলা পরিষদ ভবনের পশ্চিম দক্ষিণে পাহাড়ের চুঁড়ায় মনোরম পরিবেশে হিলটপ সার্কিট হাউসের অবস্থান। অল্পক্ষণের জন্য হলেও ভারতের দার্জিলিং এর মত মনে হবে। এর চূঁড়া থেকে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল তরঙ্গ ও পর্যটন নগরীর টপভিউ অবলোকন করা সম্ভব।
১০। লাইট হাউস: রাডার ষ্টেশনের দক্ষিণে অপর একটি পাহাড়ের চূঁড়ায় এর অবস্থান।
১১। প্রাচীন ঐতিহ্য:১৬০০-১৭০০ খৃষ্টাব্দে শাহ সুজার আমলে একটি মসজিদ তৈরী হয়েছিল। এটি চৌধুরী পাড়া মসজিদ বা আজগবি মসজিদ নামে পরিচিত। এটি কক্সবাজার সদরের বি.ডি.আর ক্যাম্পের উত্তর দিকে অবস্থিত।
১২। হ্যাচারী জোন:আনবিক শক্তি কমিশন থেকে দক্ষিণে কলাতলী হ্যাচারী এখান থেকে বছরে হাজার কোটি টাকা আয় হয়।
১৩। প্যাগোড়া (জাদী): ১৭৯০ ইংরেজী সালের দিকে বার্মিজরা আরাকান বিজয়ের পর কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় রাখাইন সম্প্রদায় এটি নির্মাণ করে। তারা এটিকে স্মৃতিচিহ্ন বলে। কক্সবাজার সদর, রামু ও টেকনাফের পাহাড় বা উচুঁ টিলায় এ ধরনের প্যাগোড়া দেখা যায়।
১৪। অগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং: কক্সবাজার সদরে ছোট বড় মিলিয়ে ৭টিরও বেশী বৌদ্ধ ক্যাং রয়েছে। আগ্গা মেধা ক্যাং ও মাহাসিংদোগীক্যাং সবচেয়ে বড়। এ সবে স্থাপিত বৌদ্ধ মুর্তিগুলো দেখবার মতো। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা ও বিষু উৎসব ক্যাং এ উদযাপন হয়।
১৫। শুটকী রপ্তানী ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা:পুরো এলাকা জুড়ে বেশ কয়েকটি শুটকী রপ্তানী ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
১৬। শুটকী মহাল (জিরো পয়েন্ট): এখানে বঙ্গোপসারে থেকে আহরিত মৎসকে প্রাকৃতিক উপায়ে শুকানো হয়। স্থানটি নাজিরার টেক নামে পরিচিত এবং এটি কক্সবাজারের জিরো পয়েন্ট।
১৭। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র:বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মৎস্য এখানেই নামানো হয়। এটি ফিসারীজ ঘাট নামেও পরিচিত। বাঁকখালী নদীর তীরে অবস্থিত উক্ত স্থানটি
১৮। লবণ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা:ইসলামপুর, নাপিতখালী এলাকা থেকে বাংলাদেশের চাহিদার ৮৫% লবণ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপনন হয়ে থাকে। কক্সবাজার শহর থেকে ৩৫ কি:মি: দূরে এর অবস্থান। টেক্সী কিংবা মাইক্রোবাস যোগে বেড়ায়ে আসা যাবে।
১৯। বার্মিজ মার্কেট:রাখাইন রমনীদের পরিচালিত বিভিন্ন রকম হস্তশিল্প ও মনোহরী দ্রব্যাদির দোকান। পূর্ব বাজারঘাটার দিকে।
২০। ঝিনুক মার্কেট: ঝিনুক শিল্পের রকমারি জিনিসপত্রের প্রধান বিক্রয় ও বিপনন কেন্দ্র। এর অবস্থান প্রধান সড়কে হোটেল হলিডের মোড়ের পশ্চিমে।
২১। শাহ ওমর শাহ (রা - এর দরগাহ:কাকারা ইউনিয়নে একটি নাম করা দরগাহ এবং ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র স্থান রয়েছে। এ’ছাড়া কাকারায় প্রতি বছর একটি ঐতিহাসিক ঘোড় দৌঁড়ের মেলাও অনুষ্ঠিত হয়। কাকারার পাশে মানিকপুর ‘মহিষের দই’ এর জন্য বিখ্যাত।
২২। গোলাপ চাষ প্রকল্প:প্রায় ৫০ একর জায়গা জুড়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গোলাপ ফুলের চাষ করা হয়েছে। উক্ত ফুলের বাগানটি চকরিয়াউপজেলার হারবাং এলাকায় অবস্থিত।
২৩। দুলাহাজরা সাফারী পার্ক: সাফারী পার্ক হলো সরকার ঘোষিত এলাকা। সাফারী পার্ক চিড়িয়াখানা থেকে ভিন্নতর। চিড়িয়াখানায় জীব-জন্তু আবদ্ধ অবস্থায় থাকে আর সাফারী পার্কে মুক্ত অবস্থায় বিচরণ করে। এর আয়তন ৯০০ হেক্টর। কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে ডুলাহাজারা রিজার্ভ ফেরেষ্টে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিতবনাঞ্চলে সাফারী পার্কটি অবস্থিত।কক্সবাজার জেলা সদর হতে উত্তরেপার্কটিরদূরত্ব ৫০ কি:মি: এবং চকরিয়া সদর হতে দক্ষিণে ১০ কি:মি:।ভূতাত্ত্বিকভাবে এ অঞ্চল টারসিয়ারি পিরিয়ডের প্লিওসিন যুগের অন্তর্ভূক্ত যা ২৫ মিলিয়ন বছর পূর্বে গঠিত হয়েছে। এটি ডুপিটিলা সিরিজের অন্তর্গত যা সেন্ডস্টোন, সিল্টস্টোন ও স্যালন দ্বারা গঠিত।প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত নির্জন উঁচুনিচু টিলা, প্রবাহমান ছড়া, হ্রদ, বিচিত্র গর্জন এর মত সু-উচ্চ ঐতিহ্যবাহী প্রাকৃতিক বৃক্ষ চিরসবুজ বনের জানা-অজানা গাছ-গাছালি, ফল-ভেষজ উদ্ভিদ, লতার অপূর্ব উদ্ভিদ রাজির সমাহার ও ঘন আচ্ছাদনে গড়ে উঠেছে সাফারী পার্ক।
২৪। প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র:সাফারী পার্কের অভ্যন্তরেই স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র। বাংলাদেশের প্রায় সবধরণের বনাঞ্চলের গাছপালা, বন্যপ্রাণীর মডেল, মুরাল ও ষ্টাফিং করে আলো ও শব্দ প্রবাহের মাধ্যমে বন্যপ্রাণী ও বনাঞ্চল সম্পর্কে দর্শকদের সম্যক ধারণাদেয়া হয়। এখানে প্রায় ১০০ ধরণের বন্যপ্রাণী ও অসংখ্য গাছপালারমডেল মুরাল তৈরী করা হয়েছে। প্রায় ২৫ মিনিটের দীর্ঘ স্বব্যখ্যায়িত অডিও-ভিস্যুয়াল প্রোগ্রামের
২৫। কৃত্রিম হ্রদ: ডুলাহাজারা সাফারী পার্কের অভ্যন্তরে বন্যপ্রাণীর পানীয় জলের জন্য ২টি কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে।
২৬। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম: ১৯৬০ সনে কক্সবাজারের বনাঞ্চল হতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিলুপ্ত হয়ে গেছে।মিঠাপানির কুমির সুন্দরবন হতে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম বন্যপ্রাণী মিউজিয়াম। এটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা সড়কের পূর্ব পার্শে ডুলাহাজারা সাফারী পার্কের গেটের পাশে অবস্থিত।
পরিদর্শন ফি:
১। প্রাপ্ত বয়স্ক (১৫ বৎসরের উর্ধে): ১০/=
৭। প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন: ১০/=
৮। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম পরিদর্শন: ৫/=
৯। ব্যক্তিগত পরিবহনে পার্ক পরিদর্শন: ৫০/=
১০। গাড়ী পার্কিং ফি:-১৫/=
পরিদর্শনের সময় সূচী:
প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
২৭। রামকোট তীর্থধাম: এটি রামকোট বনাশ্রমের পার্শ্বের পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। ৯০১ বাংলা সনে স্থাপিত। কথিত আছে রাম-সীতা বনবাস কালে এই রামকোটে অবস্থান করেছিল। তীর্থধামে মন্দিরের পাশাপাশি আলাদা একটি বৌদ্ধ বিহারে ধ্যানমগ্ন ছোট একটি বৌদ্ধমূর্তিও রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, দু’টি ধর্ম পাশাপাশি শান্তিতেসহাবস্থানের প্রমাণ স্বরূপ সম্রাট অশোকের সময়ে এইমূর্তি স্থাপিত হয়।
২৮। ছেংখাইব ক্যাং: রামুর শ্রীকুলস্থ বাঁকখালী নদীর তীরে ছেংখাইব ক্যাং (বৌদ্বিহার টি) অবস্থিত। এ বৌদ্ধ বিহারে নানা রকম নক্সা খচিত আসন ও কাঁচের পাত্রে সংরক্ষিত ১০টিরও বেশী পিতল এবং আরো অনেক শ্বেত পাথরের মূর্তি শোভা পাচ্ছে। সব মিলে রামু থানায় ২৩টি বৌদ্ধ বিহারে শতাধিক মূল্যবান বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে।
২৯। আধাঁর মানিক:রামু থানার কাউয়ার খোপ ইউনিয়নে উখিয়ার ঘোনায় একটি রহস্যময় গর্ত আছে। যার শেষ কোথায় কেউ জানে না। তাই একে কেন্দ্র করে জন্ম নিয়েছে অনেক কিংবদন্তী।
৩০। লামার পাড়া বৌদ্ধ বিহার:ফতেখাঁর কুল ইউনিয়নে লামার পাড়া গ্রামে অপূর্ব সৌন্দর্য্য মন্ডিত বৌদ্ধ বিহারটি অবস্থিত। এ ক্যাং এ পিতল নির্মিতবৌদ্ধমূর্তিটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি। এত কারুকার্য খচিত বৌদ্ধ বিহার কক্সবাজার জেলায় আর কোথাও নেই।
৩১। রামকোট: রামু থানার রাজারকুল ইউনিয়নে পাহাড়ের চুঁড়ায় রামকোট বৌদ্ধ বিহার অবস্থিত। মন্দিরটি ২০০০ বৎসর পূর্বে (খৃ:পূ: ৩০৮) নির্মিত হয়। কলিঙ্গ যুদ্ধের পর সম্রাট অশোক অস্ত্র ত্যাগ করে হিন্দু ধর্মথেকে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়ে মুর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন। রামকোট বনাশ্রমেছোট বড় আরো অনেক বৌদ্ধমূর্তিরয়েছে। রামু চৌমুহনী থেকে রামকোট বনাশ্রমেরিক্সায় যাওয়া যায়।
৩২। রাবার বাগান: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মধ্যে রামু রাবার বাগান ভিন্ন আমেজের অপরূপ দর্শনীয় স্থান। ২৮,৮৮৬ একর জায়গার উপর বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থার পরিকল্পনায় স্থাপিত কক্সবাজার জেলা তথা বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ রাবার বাগান।
৩৩। নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রীজ:এটি একটি প্রাকৃতিক জলাশয়। এখানে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ। এর উপর দিয়ে লেকের এপাড় ওপড় যাওয়া যায়। কক্সবাজার শহর হতে সরাসরি গাড়ি যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়া যায় এবং দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায়। কক্সবাজার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূরত্ব ২৮ কি:মি:।
৩৪। আইসোলেটেড নারিকেল বাগান: রামু চৌমুহনী হতে দক্ষিণে ৫ কি:মি: দুরে রাজারকুলের পাহাড়ে মনোরম পরিবেশে ২৫০ একর জায়গায় এটি অবস্থিত। বাগানটি ‘এ’ এবং ‘বি’ ব্লকে বিভক্ত। প্রত্যেকটি ব্লকে ৪টি করে সাব ব্লক রয়েছে। বাগানে নারিকেল গাছের সংখ্যা প্রায় ৯,১১২টি।
৩৫। ইনানী: ইনানীতে যেতে হলে কক্সবাজার থেকে উখিয়া কোটবাজার হয়ে জীপে পশ্চিমে প্রায় তিন মাইল গেলেই ইনানী সৈকত।
বাস সার্ভিস:
১. বাগদাদ এক্সপ্রেস (কক্সবাজার): ০৩৪১-৫১১৬১, ৬৪৭৪৮, ০১৭৩০০৪৬০৬০, ০১৭৩০০৪৬০৭০
২. সাউদিয়া এস. আলম (কক্সবাজার): ০১১৯৭০১৫৬২৪, ০১১৯৭০১৫৬২৭, ০১১৯৭০১৫৬১০ (চট্রগ্রাম), ০১১৯৭০১৫৬৩২ (ঢাকা)
৩. গ্রীন লাইন পরিবহন (রাজারবাগ, ঢাকা): ৯৩৪২৫৮০, ৯৩৩৯৬২৩, ০১৯৭০০৬০০০৪, ০১৯৭০০৬০০৭০ (কক্সবাজার), ০৩৪১-৬৩৭৪৭ (কক্সবাজার)
৪. সোহাগ পরিবহন (কক্সবাজার): ৬৪৩৬১, ০১৭১১৪০০২২২, ৯৩৪৪৪৭৭ (মালিবাগ), ০১৭১১৬১২৪৩৩ (মালিবাগ)
কেয়ারী সিন্দবাদ: ০১৮১৭২১০৪২১, ০৩৪১-৬২৮১২, ৮১২৫৮৮১
(কেয়ারী সিন্দবাদের জাহাজ ছাড়ার সময়সূচী: টেকনাফ থেকে সকাল ৯.৩০ এবং সেন্টমার্টিন থেকে বিকাল ৩ টা)
হোটেল (কক্সবাজার)
১. হোটেল কোরাল রীফ (কলাতলী): ০১৯২৬৬৯৬৩১০ (জনাব ফজলুল কাদের, অপারেশন ম্যানেজার), ০৩৪১-৬৪৪৬৯, ৫১০৭৭, ০১৮১৮০৮৬৫১, ০১৭৩০৭২৫২৬৮
২. হোটেল কল্লোল (সী বীচ রোড): ০১৭২৭৬১৩২৫৮, ০১৮১৯৫৪৮৪৩৪
৩. ইউনি রিসোর্ট লি (কলাতলী): ০৩৪১-৬৩১৮১, ৬৩১৯১, ০১৭৩১৪৫৬১৭৩
৪. বীচ ভিউ রিসোর্ট (কলাতলী): ০৩৪১-৫১২৮১, ০১৮১৪২৮৬০৫০
৫. হোটেল অভিসার (৩ স্টার) (কলাতলী): ০৩৪১-৬৩০৬১, ০১৮১৯৮২১৭৭৪
৬. হোটেল মেডিয়া ইন্টারন্যাশনাল লি (সী বীচ রোড): ০৩৪১-৬২৮৮১, ০১৭১১৩৪১১৬৪, ০১৮১৯৫১৯৭১৯
৭. নিটোল বে রিসোর্ট (কলাতলি বীচ রোড): ০৩৪১-৬৪২৭৮, ৬৩৬৭৭, ০১১৯৯৭৪১০৯০, ০১৮১৬০৫৫৩৬৩, ০১৮১৬৬১৪৩৪১
৮. হোটেল সী ক্রাউন (মেরিন ড্রাইভ, কলাতলি নতুন বীচ): ০৩৪১-৬৪৭৯৫, ৬৪৪৭৪, ০১৮১৭০৮৯৪২০
৯. হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইস (নতুন বীচ রোড): ০৩৪১-৬৪৪০৩, ০১৫৫৬৩৪৭৭১১, ০১৭২৬০৭০১৪৮
১০. বসতি বে রিসোর্ট (কলাতলি রোড): ০৩৪১-৫২১৮১, ০১৮২৬৯৮১৯৮১
**হোটেল সী-গাল: +৮৮ ০৩৪১ ৬২৪৮০-৯০
**হোটেল লং বীচ: (জনাব রিয়াদ) ০১৮১৬২৫২০৬৭
**সান এণ্ড সি হলিডেস: বাড়ি ১৬, ব্লক এ, কলাতলি মেইন রোড, কক্সবাজার, ফোন ০১৭২৭৩৬৮৫৮৯, ০১৭১৩৪৪১৩৬৪
**হানিমুন রিসোর্টস: সি-বীচ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, প্লট ০৪, ব্লক বি, কলাতলী রোড, কক্সবাজার, ফোন: ০১৮১২৯৯৬৯২০ (জনাব সারোয়ার কামাল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর), ০১৭৪১১৬৫৯২৫, ০১৮১৮৪৭৭৬৩১
**কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল না পেয়ে যদি বিপদে পড়েন, তাহলে হাজেরা গেস্ট হাউজে ট্রাই করতে পারেন। অন্তত: মাথা গোঁজার ঠাঁইটাতো মিলবে। ফোন: ০১৫৫৩৭৯০৭৬৩, ০১৯৭৪৬৭৬৭৬৭, ০১৮২৫২৫২৭৫৩
কক্সবাজারের চকোরিয়াতে থাকার জন্যে:
১. আই.সি.ডি.ডি.আর.বি গেস্ট হাউজ: রুম ভাড়া ১০০০ টাকা (ডাবল বেড), সকালের নাস্তা ১৪৫ টাকা, দুপুর এবং রাতের খাবার ৩৪৫ টাকা করে। যোগাযোগ: জনাব শহীদ: ০১৭১৫০২৭১৮০, জনাব নিজাম: ০১৭১৯৭০৫৫৪৩
২. এস.এ.আর.পি.ভি, বাংলাদেশ: ফোন: ৮১১৯২৭১, ৯১২৪৫২২, ০১৭১২১৬৫৪০৭ (জনাব মুহিদ)
ব্লগারএর ব্লগ থেকে পাওয়া সেন্টমার্টিন সম্পর্কিত তথ্যগুলো এখানে দিলাম:
বাস সার্ভিস:
১. সায়েদাবাদ থেকে হবিগঞ্জে যাবার জন্যে:
- 'অগ্রদূত' এ.সি বাস সার্ভিস। ফোন: ০১৭১৮৬০০৫৫১
- দিগন্ত পরিবহন: ০১৭১৫৫৩৯৮০৯
২. শেরপুর শহরে যাবার জন্য এ.সি বাস: ০১৭৩৪১৯০৬৬৫
৩. বাগদাদ এক্সপ্রেস (কক্সবাজার): ০৩৪১-৫১১৬১, ৬৪৭৪৮, ০১৭৩০০৪৬০৬০, ০১৭৩০০৪৬০৭০
৪. সাউদিয়া এস. আলম (কক্সবাজার): ০১১৯৭০১৫৬২৪, ০১১৯৭০১৫৬২৭, ০১১৯৭০১৫৬১০ (চট্রগ্রাম), ০১১৯৭০১৫৬৩২ (ঢাকা)
৫. গ্রীন লাইন পরিবহন (রাজারবাগ, ঢাকা): ৯৩৪২৫৮০, ৯৩৩৯৬২৩, ০১৯৭০০৬০০০৪, ০১৯৭০০৬০০৭০ (কক্সবাজার), ০৩৪১-৬৩৭৪৭ (কক্সবাজার)
৬. সোহাগ পরিবহন (কক্সবাজার): ৬৪৩৬১, ০১৭১১৪০০২২২, ৯৩৪৪৪৭৭ (মালিবাগ), ০১৭১১৬১২৪৩৩ (মালিবাগ)
৭. টি.আর ট্র্যাভেলস: ০১১৯১৮৬৩৬৭৬ (চট্রগ্রাম), ০১১৯১৮৬৩৬৭৩ (আরামবাগ, ঢাকা), ০১১৯১৮৬৩৬৮০ (কক্সবাজার), ০১১৯১৮৬৩৬৮১ (কক্সবাজার)
৮. হানিফ এন্টারপ্রাইজ: ০১৭১৩৪০২৬৬৩, ০১৭১৩৪০২৬৬৪, ০১৭১৩৪০২৬৬৫, ০১৭১৩৪০২৬৬৭ (চট্রগ্রাম), ০১৭১৩৪০২৬৭১ (আরামবাগ, ঢাকা)
** হানিফ এন্টারপ্রাইজ (চকোরিয়া): রফিকুল ইসলাম ০১৭১৭০৯১৮৬৬, ০১৮১১৩৬৪২২২, ০১১৯৮০৯৬৩৬০, ০১৭১৩৪০২৬৩৬
৯. সিল্কলাইন: ০১৭১৪০৮৭৫৬২ (চট্রগ্রাম), ০১৭১৪০৮৭৫৬৩ (ঢাকা)
চলুন সেন্টমার্টিন্স ঘুরে আসি... (এবার যাওয়ার আগে অনেক খুঁজেও কোন তথ্য পাইনি নেটে। সেই হতাশা থেকেই লেখা।)
সেন্টমার্টিনের রিসর্টের নাম ও টেলিফোন নম্বর....
ব্লু মেরিন: ০১৮১৯০৬৩৪১৮, ০১৭২২৪৭৩৬১৩, ০১৮১৯০৬৩৪২৫
অবকাশ: ০২৮৩৫৮৪৮৫, ৯৩৪২৩৫১,৯৩৫৯২৩০ (ঢাকা থেকে বুকিং দিতে হবে)
প্যাসিফিক রিসর্ট: ০১৭৩২৪৩৪২৬৪ (সেন্টমার্টিন্স), ০১৭১২৬৪৩৬৯৪, ০১৭২০৯৩৯০৯০ (ঢাকা)
শৈবাল: ০১৮১৫০১৪৬৬৪
হোটেল স্বপ্ন প্রবাল : ০১৮১৪২৭৪৪০৯, ০১৭২২৫৪৫৮৭২
(সেন্টমার্টিন্স) ০২৮৬১১৪২৮, ০১৭১১-১১০৯১৯ (ঢাকা)
সমুদ্র বিলাস : ০১৮১৩০১৯৮৩৯ (মং), (কক্সবাজার শাখা হোটেল নিদমহল : ০১৭১১৯৬৯৮৩৩, ০১৮১২৬১১৪২৭, ০১৮১৮১৪৩০১২)
পালিনি রিসর্ট : ০১৭২৭৩৬৮২৮২
সীমানা পেড়িয়ে রিসর্ট : ০১৮১৯০১৮০২৭, ০১৮১৭০৪২০২০ (সেন্টমার্টিন্স ), ০১৮১৯৪৬৬০৫৯, ০১৮১৯৪৭৮৪৩৪, ০১৯১১১২১২৯২, ০১৭১১৩৪৪৪৫১ ( ঢাকা)
নীল দিগন্তে রিসর্ট: ০১৭৩০০৫১০০৪ (সেন্টমার্টিন্স), ০২-৮৬৫২৬৭১, ৮৬৫২৩৭৪, ০১৭৩০০৫১০০৫ (ঢাকা)
**ঢাকা থেকেই ঈগল / কুতুবদিয়ার সিট বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন। ঈগলের ফোন নাম্বার ০১৭১৩১৪৫৫৮৪, ০১১৯০১২৪১২৭।
ট্রাভেল এজেন্সী:
ওয়েলকাম ট্রাভেলস (জনাব মেরাজ): ০১৭১৩০৬৬৬৪৪
এয়ারওয়েজ:
১. রিজেন্ট এয়ারওয়েজ: +৮৮-০২-৮৯৫৩০০৩
২. জিএমজি (যশোর): ০১৭১১৮৯০০৭১
৩. জিএমজি (সিলেট): ০১৭১১৮৯০০৭৫
৪. ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লি: ফোন: ০১৭১৩৪৮৬৬৫৮ (কারওয়ান বাজার, ঢাকা), ৮৮০২৮৯৩৩২৭১, +৮৮০২৮৯৫০৭৫৮, +৮৮০১৭১৩৪৮৬৬৫১, +৮৮০১৭৩০৩১৫৭৯১-৩, ০১৭৩০৩১৫৭৯৪ (উত্তরা, ঢাকা), ০১৭১৩৪৮৬৬৬৩ (নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম), ০১৭১৩৪৮৬৬৫৪ (সিলেট), ০১৭১৩৪৮৬৬৫২ (কক্সবাজার), ০১৭১৩৩৯৮৭৮১ (যশোর), ০১৭১৩৩৯৮৭৮৪ (খুলনা), ০১৭১৩৩৬৫০৯৫ (বরিশাল)
ট্যুরিজম কোম্পানী:
সুন্দরবন ট্যুর প্যাকেজ:
১. বেঙ্গল ট্যুরস: ০২-৮৮৩৪৭১৬
ঢাকা-খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা-ঢাকা, ৩ দিন, ৪ রাত; জনপ্রতি ১১,০০০ টাকা (বাংলাদেশীদের জন্যে, বিদেশীদের জন্যে ২/৩ হাজার টাকা বেশি)। এই প্যাকেজে রয়েছে ঢাকা-খুলনা-ঢাকা এসি বাসে আপ-ডাউন, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার। কেবিন ৪ জনের জন্যে একটি অথবা ২ জনের জন্যে একটি। প্রতি সপ্তাহেই একটি করে ট্যুর আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে জাহাজের নির্ধারিত আসন পূর্ণ না হলে নির্দিষ্ট দিনের ট্যুরটি বাতিল হয় এবং পরবর্তী দিনে স্থানান্তরিত হয়।
২. গাইড ট্যুরস: ০২-৯৮৬২২০৫
খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা ৩দিন, ২ রাত; জনপ্রতি ১০,৫০০ টাকা (বাংলাদেশীদের জন্যে, বিদেশীদের জন্যে ২/৩ হাজার টাকা বেশি)। এই প্যাকেজে রয়েছে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার। কেবিন ৪ জনের জন্যে একটি অথবা ২ জনের জন্যে একটি। প্রতি সপ্তাহেই একটি করে ট্যুর আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে জাহাজের নির্ধারিত আসন পূর্ণ না হলে নির্দিষ্ট দিনের ট্যুরটি বাতিল হয় এবং পরবর্তী দিনে স্থানান্তরিত হয়। এই প্যাকেজে অতিথিকে ঢাকা-খুলনা-ঢাকা যাতায়াত নিজেকে ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
ভারতের শিলিগুড়ি শহরে বিখ্যাত শাড়ির দোকান: রাধা-রাণী, মেট্রো প্লাজা, এস.এফ রোড, শিলিগুড়ি, ফোন: ২৫০০৩৮৬, ৬৫৩৮৭৭৭
কক্সবাজার ভ্রমনের প্রয়োজনীয় তথ্য
সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। নীল জলরাশি আর শোঁ শোঁ গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। অপরূপ সুন্দর বিশ্বের বৃহত্তম এই সমুদ্র সৈকতে যারা সপরিবারে বেড়াতে চান তাদের জন্যই এই আয়োজন।
মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, মাতার বাড়ি, শাহপরী, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারকে করেছে আরো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন। এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে মাতা মুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কুহেলিয়অ ও নাফ নদী। পর্যটন, বনজসম্পদ, মৎস্য, শুটকিমাছ, শামুক, ঝিনুক ও সিলিকাসমৃদ্ধ বালুর জন্য কক্সবাজারের অবস্থান তাই ভ্রমণবিলাসী পর্যটকদের কাছে সবার শীর্ষে।
সমুদ্রে নামার আগে সতর্কতা ও অন্যান্য তথ্য:
সমুদ্রে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নিন। এ সম্পর্কিত ইয়াছির লাইফ গার্ডের বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড ও পতাকা রয়েছে বিচের বিভিন্ন স্থানে। জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসলে নামা নিরাপদ।
এ সময় তাই জোয়ারের সময় নির্দেশিত থাকে, পাশাপাশি সবুজ পতাকা ওড়ানো হয়।
ভাটার সময়ে সমুদ্রে স্নান বিপজ্জনক ভাটার টানে মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারে যে কেউ।
তাই এ সময় বিচ এলাকায় ভাটার সময় লেখাসহ লাল পতাকা ওড়ানো থাকলে সমুদ্রে নামা থেকে বিরত থাকুন। কোনোভাবেই দূরে যাবেন না। প্রয়োজেন পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ইয়াছির লাইফ গার্ডের সহায়তা নিন। ওদের জানিয়ে বিচে নামুন।
বিচ ফটোগ্রাফি:
কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুমে ২৫০-৩০০ বিচ ফটোগ্রাফার পর্যটকদের ছবি তুলে থাকে। প্রায় ঘন্টা খানেকের মধ্যেই এসব ছবি প্রিন্ট করে নেগেটিভসহ পর্যটকদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা রয়েছে। লাল পোশাক পরা এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের প্রত্যেকের রয়েছে একটি করে আইডি কার্ড।
বেশ কয়েকটি স্টুডিও এ কাজের সঙ্গে জড়িত। সরকারি রেট অনুযায়ী ৩জ সাইজের ছবি ১২ টাকা হলেও পর্যটকদের থেকে ১৫ টাকা করে নেওয়া হয়ে থাকে। এ সম্পর্কিত সাইনবোর্ড মেইন বিচে দেখতে পাওয়া যায়। এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ছবি তোলার আগে আইডি কার্ড দেখে নেওয়া ভালো।
স্পিডবোট:
বিচে চলে বেশ কয়েকটি স্পিডবোট। মেইন বিচ থেকে এগুলো চলাচল করে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত। ভাড়া এক রাউন্ড ৫০ টাকা। এছাড়া খোলা স্পিডবোটের সাহায্যে চলে লাইফ বোট জনপ্রতি ভাড়া ২০০ টাকা।
বিচ বাইক:
তিন চাকার বেশ কয়েকটি বিচে চলার উপযোগী বাইক কক্সবাজার সাগর সৈকতে চলাচল করে। প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে এসব বাইক রাউন্ড প্রতি ৫০ টাকা করে পর্যটকদের প্রদান করতে হয়।
হিমছড়ি ও ইনানী বিচ ভ্রমনঃ
কক্সবাজারের ১২ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে দুটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। একটি হলো হিমছড়ি এবং অন্যটি হলো ইনানী। কক্সবাজার সমুদ্র থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অন্যতম আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত ইনানী সমুদ্র সৈকত। আর এই সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে মাত্র ১২ কিলোমিটার গেলেই পাওয়া যাবে আরেক দর্শনীয় পর্যটন স্থান হিমছড়ি।
কলাতলী থেকে জিপে চড়ে যেতে পারেন এ জায়গা দুটিতে। খুব সকালে গেলে জায়গা দুটি ঘুরে আবার দুপুরের মধ্যেই ফিরতে পারবেন কক্সবাজার শহরে। কক্সবাজার থেকে জিপে যেতে পারবেন এখানে। রিজার্ভ নিলে খরচ পড়বে ১৫০০-২০০০ টাকা। আর লোকাল জিপে গেলে এ জায়গা দুটি ঘুরে আসতে জনপ্রতি খরচ হবে ২০০-২৫০ টাকা।
যাতায়াত ও ভাড়া :
যারা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে চান তারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার অথবা সরাসির বাসে কক্সবাজারে যেতে পারে। ঢাকার ফকিরাপুল, আরামবাগ, মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়।
এসি ও নন এসি, ডিলাক্স ও সাধারণ এসব সরাসরি বাস পরিবহনের ভাড়া পড়বে ৩৯০-৭৩০ টাকা পর্যন্ত। সোহাগ, গ্রীন লাইন ছাড়াও ঈগল ও অন্যান্য পরিবহনের বাস চলাচল করে। এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়া যায়। ঢাকার কমলাপুর থেকে প্রতিদিন ট্রেন বা বাস ছেড়ে যায়। তবে টিকেট বুকিং আগেভাগেই করে রাখা ভালো।
কক্সবাজারের আবাসিক ব্যবস্থা:
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও দর্শনীয় বিচ কক্সবাজারে রয়েছে আন্তর্জাতিকমানের বেশ কয়েকটি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। এছাড়া সরকারি ও ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছে ছোটখাটো মানের বেশ কিছু রিসোর্ট, হোটেল ও বোর্ডিং হাউস।
সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭,০০০ টাকায় কক্সবাজারে যাতযাপন করা যায়। হোটেল সিগালের ভাড়া ২,২০০-৭,০০০ টাকা। হোটেল শৈবালের ভাড়া ১,০০০-৩,০০০ টাকা। হোটেল লাবণীর ভাড়া ৬০০-৩,০০০ টাকা। উপলের ভাড়া ১০০০-১৫০০ টাকা। সি ক্রাউনের ভাড়া ২০০-৩,০০০ টাকা। জিয়া গেস্ট হল ৩০০-২,০০০ টাকা।
ছাড়া অন্যান্য হোটেল রেস্টহাউসের ভাড়া প্রায়ই নির্ধারিত। তবে কক্সবাজার ভ্রমণের পূর্বে ফোনে যোগাযোগ করে বুকিংমানিং পাঠিয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ভালো। সরাসরি গিয়েও কথা বলে রুম ভাড়া নেওয়া যায়।
খাওয়াদাওয়া ও রেস্টুরেন্ট:
প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেল বা হোটেলের সন্নিকটে রেস্টুরেন্ট বা খাবার হোটেল রয়েছে। কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ থাকে সাগরের বিভিন্ন মাছের মেন্যুর প্রতি। বিশেষ করে চিংড়ি, রূপচাঁদা, লাইট্যা, ছুরি মাছসহ মজাদার শুটকি মাছের ভর্তার প্রতিই পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি থাকে।
খাবারের মেন্যু অনুযায়ী একে রেস্টুরেন্টে একেক ধরনের মূল্য তালিকা দেখা যায়। তবে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত কিছু কিছু তালিকা ভোজন রসিকদের আশ্বস্ত করেছে। মোটামুটি ১০-৫০০ টাকার মধ্যে সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী মজাদার খাবার গ্রহণ করতে পারবেন।
তবে খাবার গ্রহণের পূর্বে খাবারের নাম, মূল্য এবং তৈরির সময় সম্পর্কে জেনে নিন। প্রয়োজনে খাদ্যের তালিকা ও মূল্য টুকে রাখুন। তালিকা সঙ্গে মিলিয়ে বিল প্রদান করুন।
****
সেন্টমার্টিন ভ্রমনের প্রয়োজনীয় তথ্য
আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার, তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারিকেল বৃক্ষের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দে মৃদু পবনের কোমল স্পর্শ এটি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপের সৌন্দর্য বর্ণনার ক্ষুদ্র প্রয়াস। বালি, পাথর, প্রবাল কিংবা জীব বৈচিত্র্যের সমন্বয়ে জ্ঞান আর ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য অনুপম অবকাশ কেন্দ্র সেন্টমার্টিন। স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিশ, হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ, প্রবাল বিশ্ব রহস্যের জীবন্ত পাঠশালায় পরিণত করেছে সেন্টমার্টিন ও তৎসংলগ্ন এলাকাকে। এটি বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। আয়তন ১৭ বর্গ কিলোমিটার। টেকনাফ থেকে ট্রলারে লঞ্চে কিংবা জাহাজে যেতে লাগে দুই থেকে সোয়া দুই ঘণ্টা। এর জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। নারিকেল, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ধান এই দ্বীপের প্রধান কৃষিজাত পণ্য। আর অধিবাসীদের প্রায় সবারই পেশা মৎস্য শিকার। তবে ইদানীং পর্যটন শিল্পের বিকাশের কারণে অনেকেই রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল কিংবা গ্রোসারি শপের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিতান্ত সহজ-সরল, তাদের উষ্ণ আতিথেয়তা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। স্বল্প খরচে পর্যটকদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
যেভাবে যাবেন : বাংলাদেশের যে কোনও স্থান থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে প্রথমে জিপে চড়ে টেকনাফ, টেকনাফ থেকে সি-ট্রাক, জাহাজ কিংবা ট্রলারে চড়ে পৌঁছাবেন সেন্টমার্টিনে। প্রতিদিন ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় দূরপাল্লার বেশ কিছু গাড়ি। বাসে ভাড়া লাগবে এসি ৬৫০-৭০০ এবং নন-এসি ৩৫০-৪০০ টাকা। কক্সবাজার তো গেলেন তারপর বাসে ২৫-৩০ টাকা, ট্যাক্সিতে ৩০-৪০ টাকা অথবা রিজার্ভ মাইক্রোবাসে সেন্টমার্টিন যেতে ভাড়া লাগবে ৫০০-১০০০ টাকা (৮-১০ সিট)। প্রতিদিন সকাল থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে চলাচল করে এসব গাড়ি। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন সকাল থেকে আসা-যাওয়া করে সি-ট্রাক, কেয়ারি সিন্দাবাদ এবং নাফসি হাজাজ। চমৎকার এসব জাহাজের পাশাপাশি ট্রলার ও চলাচল করে এই সমুদ্র রুটে। পছন্দসই বাহনে যেতে পারেন। তবে নিরাপদ জলযান হিসেবে কেয়ারি সিন্দাবাদ ও নাফসি জাহাজই নির্ভরযোগ্য। এসব জাহাজে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। অন্যদিকে প্রতিদিনই বিকাল ৩টায় এসব সাহাজ সেন্টমার্টিন ছেড়ে আসে। শীত মৌসুমে সমুদ্র শান্ত থাকে এবং গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তাল থাকে, তখন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ।
কোথায় খাবেন : যারা স্বল্প সময়ের জন্য সেন্টমার্টিনে যেতে চান অর্থাৎ সন্ধ্যার আগে ফিরতে চান তাদের অবশ্যই ৩টার আগে ফিরতি জাহাজে আরোহণ করতে হবে। ছোট এই দ্বীপ এলাকা ঘুরে দেখতে ৩ ঘণ্টা সময়ই যথেষ্ট। তবে প্রধান দ্বীপ ও ছেড়া দ্বীপে যারা যেতে চান তাদের হাতে বেশ খানিকটা সময় থাকা উচিত। পর্যটকদের খাবারের জন্য রয়েছে এখানে বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁ। তার কয়েকটি হল কেয়ারি মারজান রেস্তোরাঁ, বিচ পয়েন্ট, । হোটেল আল্লার দান, বাজার বিচ। এছাড়া আসাম হোটেল, সি বিচ, সেন্টমার্টিন, কুমিল্লা রেস্টুরেন্ট, রিয়েল রেস্তোরাঁ, হাজী সেলিম পার্ক, সেন্টমার্টিন টুরিস্ট পার্ক, হোটেল সাদেক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
থাকবেন কোথায় : সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য বেশ উন্নতমানের কয়েকটি হোটেল ও কটেজ রয়েছে। ১৬টি হোটেলসহ বেশ ক’টি কটেজে প্রতিরাতে কমপক্ষে ৫০০ জন পর্যটক থাকতে পারেন। অনেক বাড়িতেও আছে পর্যটকদের জন্য থাকার ব্যবস্থা। ভাড়া পড়বে ২০০-২৫০ টাকা, শীত মৌসুমে চাপ বেশি বিধায় ইচ্ছামতো ভাড়া নেয় মালিকরা। এবার জেনে নিন কয়েকটি হোটেল-মোটেলের নাম ও ঠিকানা :
সীমানা পেরিয়ে : ১০টি রুমের প্রতি রুমে ৪ জন থাকার ব্যবস্থা আছে। ভাড়া রুম প্রতি ৭০০-৮০০ টাকা, তাঁবুতে ৪ জন করে ৩০০ টাকা। খাবার খরচ জনপ্রতি ৫০-৭০ টাকা। যোগাযোগ জাহাঙ্গীর ।
প্রিন্স হেভেন : রুম সংখ্যা ১৮টি, ডাবল রুমের ভাড়া ৬০০-৮০০ টাকা। একসঙ্গে ৪ জনের থাকার ব্যবস্থা। সিঙ্গেল রুমে থাকার ব্যবস্থা দু’জনের ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা। যোগাযোগ : ০১৮৯৩০৮০৫৮। ব্ল–মেরিন রিসোর্ট-৩৪টি অতিথি রুমসহ ১৮টি ডাবল বেডরুম। ট্রিপল রেডরুম ১৩, ছয়জনের বেডরুম ৫টি এবং কটেজ ২টি। ভাড়া ডাবল ১০০০ টাকা, ট্রিপল ১২০০ টাকা, ৬ বেড ১৫০০ টাকা, ৫ বেডের কটেজ ২৫০০ টাকা।
সমুদ্র বিলাস (লেখক হুমায়ূন আহমেদের বাড়ি) : ৪ রুমের এই বাড়িতে প্রতি রুমের ভাড়া ৫০০-১০০০ টাকা
যাওয়ার আগে অনেকের কাছেই বলে গিয়েছিলাম । যাচ্ছি। ফিরে এসে ব্লগ দেবো বলেও কথা ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫০