কম্পিউটার পর্দায় পত্রিকার খবরে পেলাম, এবার ডিসিরা চেয়ারম্যানদেরকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা চান। অনেক চিন্তাশীল ব্যাক্তি বলে থাকেন অধিকাংশ আমলারাই ক্ষমতালোভী, দুর্নিতীবাজ এবং দেশটার আজকের এই করুণ পরিণতির জন্য তাদেরকে অনেকাংশেই দায়ী করা হয়। তবে যে যাই বলুক, আমলাদের উপর রচনা লিখতে আমার কখনও ভালো লাগে নি তাই ভুমিকা না টেনে সরাসরি কয়েকটি প্রাসাংগিক প্রশ্নে আসি:
১) জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা চেয়ে তারা পরোক্ষভাবে জনগনকে বরখাস্ত তথা জমিদারি মনোভাব পোষণ করে কি?
২) অনেক বলেন ডিসি নামের বাংলা অর্থটা জেলা প্রশাষক করাটা সঠিক না কারণ এতে করে ডিসিদের মধ্যে শাষক ভাবটা জন্ম নেয়। তাদের এই দাবির মধ্যে সেরকমই কোন মনোবাভ প্রকাশ পেয়েছে কি?
৩) ডিসিদের যদি এই ক্ষমতা দেওয়া হয় তাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ না করে সরাসরি প্রশাষনিক ক্যাডারে সরকারি নিয়োগের মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেওয়া যুক্তি সংগত নয় কি? (এতে করে অনেক বেকার সমষ্যারও সমাধান হবে)
৪) যদি বলা হয় ল-ইন-অর্ডার ঠিক রাখার জন্য তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করার ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে, তাহলে ব্যাপারটা শিয়ালের কাছে মুরগী বন্দক দেওয়ার মত নয় কি? (কারণ আমলারা এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোন অবদান রেখেছে বলে অনেকর কাছেই মনে হয় না)
৫) কিছুদিন পরে সচিবরা সাংসদদেরকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা চায়বে কি?
বুঝলাম জনপ্রতিনিধিরা অনেক সময় অন্যায় কাজ করে থাকে কিন্ত সেটি সম্পুর্ণ ভিন্ন ইস্যু। আমার কাছে তাদের (আমলাদের) দাবিকে অযোক্তিক এবং ক্ষমতালোভির বহিপ্রকাশ-ই মনে হয়েছে। তারা এখন মনিবের চোখ অন্ধ না হতেই মাছের মাথাটাকে খেতে চাইছে।
আররে আগে মনিবের চোখটাকে তো অন্ধ হতে দাও তারপরেই না হয় বিড়াল থেকে হুলোবিড়াল হও।