মুম্বাই থেকে আজ বেলা ১১.৩০ এর দিকে হযরত শাহজালাল (র: ) বিমানবন্দর -এ নামলাম। নেমেই দেখি ইমিগ্রেশন কাউন্টারগুলোতে বিশাল ভীড়। যথারীতি ছোট দেখে একটা লাইনে দাঁড়ালাম। মাথা গুণে দেখি প্রায় ২০ জনের পিছনে আমি এবং লাইনে আমি গত এক ঘন্টা যাবত একই অবস্থানে অবস্থিত।
'প্রায়' শব্দটা ব্যবহার করলাম কারণ, ইমিগ্রেশন ডেস্ক-এর কাছে মানুষ গিজগিজ করছে। কে যে কোন লাইনে আছে, বোঝা মুশকিল। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেল, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মুসল্লী ভাইয়েরা এসেছেন, যারাও লাইন-বেলাইন - সব জায়গাতেই অপেক্ষমান। এভাবে অপেক্ষা করতে করতে জানা গেল, ইমিগ্রেশন ডেস্ক-এর কম্পিউটারগুলোর সার্ভার ডাউন (যেটা প্রায় সময়ই থাকে)। অতএব, আবারও অপেক্ষা।
দুবাই থেকে আগত কিছু বাংলাদেশী ভাইয়েরা এবার তাদের অস্থিরতা প্রকাশ করলেন। পারলে তারা ইমিগ্রেশন না করেই বের হয়ে যায়। চিৎকার-চেচামেচি শুরু হয়ে গেল। এক ভাই বললেন, "দুই দিন ধইরা না খাইয়া আছি, আর এই হানে ইমিগ্রেশনের পুলিশে চুলে কালার মারছে।" আরেক ভাই চিৎকার দিলেন, "বুড়াধুড়া পুলিশ গুলা ঘুষ খাইতে খাইতে এগো হাত চলেনা।" হঠাৎ দেখলাম অন্যন্য লাইনে অপেক্ষমান (বাংলাদেশী) যাত্রীদের ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়ে গেল। এটা দেখে বিদেশী সাদা চামড়ার অন্যন্য যাত্রীরা ভয়ে একদিকে সরে গেল। আর শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা তাদের দায়সারা গোছের কাজ করে গেলেন।
প্রায় দুই ঘন্টা পর যখন বের হয়ে আসলাম তখন একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল, মুম্বাইয়ের "ছ্ত্রপতি-শিবাজী বিমানবন্দর'-এর নিয়ম-কানুনগুলো এত সুন্দর, আর আমাদের এমন কেন, সমস্যাটা আসলে মূলত কোন জায়গায়?
আমার এই প্রশ্নটির উত্তর যদি কেউ দিতে পারেন, তাহলে কৃতার্থ হব।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:২০