এইমাত্র ঃ সুখবর !!
প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন প্রক্টর । এই মাত্র (১২.৩৫) পদত্যাগ করলেন প্রক্টর ।
"শিক্ষক সমাজ" সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে পুরাতণ কলাভবন হয়ে এখন প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেছে । এইমাত্র সাধারন শিক্ষার্থীরাও তাদের সাথে যোগ দিচ্ছে দলে দলে । প্রক্টরের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন ঘেড়াও করে রাখা হবে । বন্ধুরা সবাই প্রশাসনিক ভবনে চলে আসো । আমরা দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বোনা ।
আজকের (১৫.০১.২০১২) আপডেট ঃ
একটু আগে মশাল মিছিলের ছবি !
একটু আগে মশাল মিছিলের ছবি !
একটু আগে মশাল মিছিলের ছবি !
আজ (১৪.০১.২০১২) সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে । সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী আদায়ের লক্ষে দলে দলে মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল ।
সন্ধ্যা ৬ টায় সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
আগামীকাল সারা ক্যাম্পাসে আবারো বিক্ষোভ মিছিল রয়েছে । আর সন্ধ্যা ৬ টায় মশাল মিছিল । সবাই আন্দেলনের সাথেই থাকুন ।
বিকাল ৩.০০ টায় ঢাকা জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গন এ এক অভূতপূর্ব ঘটনার সাক্ষী হল সারা বাংলাদেশ। এই প্রথম যোজন যোজন দূরত্বের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের
অগনিত প্রাণ মিশে গেল একই প্রানের আকুতিতে। রাজনীতির নামে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রহত্যা,ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতন,সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এর বিরুদ্ধে একই কাতারে দাঁড়ালো
স্বনামধন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয়- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েট।
বিকাল ৩.০০ তা থেকে জাদুঘর প্রাঙ্গন এ জমা হতে থাকে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।দেখে চেনা যাবেনা কে কুয়েটের শিক্ষার্থী আর কে জাবি'র।
সবার একটাই পরিচয়, একটাই দাবী শিক্ষাঙ্গন হবে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, সন্ত্রাসিদের জন্য নয়।
মানববন্ধনে সাধারন ছাত্রদের পাশাপাশি প্রাক্তন ছাত্র,সিক্ষক,অভিবাবক,সুশীল সমাজ,বিভিন্ন এনজিও,উন্নয়ন সংস্থা ও সাধারন মানুষ সহমত পোষণ করে।
মানব বন্ধন এ যে দাবী গুলো তুলে ধরা হয় তা হলঃ
১।জাবিতে নির্মম ভাবে খুন হওয়া ছাত্র জুবায়ের এর খুনিদের অবিলম্বে সুষ্ঠু আইনি বিচার।
২।ক্যাম্পাস এ ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৩।জাবি,কুয়েট সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা।
৪।শিক্ষা-প্রসাশনকে রাজনীতির কালো ছায়া মুক্ত রাখতে হবে।
মানব বন্ধন এ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশী বক্তব্য রাখেন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম,গনসংহতি আন্দলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক এস এম শুভ।
মানববন্ধনের পর উপস্থিত সবাই শান্তিপূর্ণ মিছিল এ অংশ নেয়।
পরবর্তীতেও এই দুটো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রানের দাবিতে একাত্ম হবার ঘোষণা দিয়েছে যা খুবই আশা-ব্যাঞ্জক।
আজ সিকিউরিটি অফিসার ক্যাম্পাসের এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা ও সন্ত্রাসী আজীমকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ।
বন্ধুরা আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছে । সবাই সহযোগীতা করুন । আর আমাদের সঙ্গে থেকে আন্দোলন বেগবান করুন ।
আজ শুক্রবার জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। বিভিন্ন সময়ে পাশ করে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীরা যারা সন্ত্রাস ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তারা এসেছিলেন আজ।
আজ শাহবাগে ।
অদ্ভুত আচরন করছে আমাদের ভিসি । তিনি ছাত্রলীগ নেতাদের মুখে শুনে শুনে খুনিদের তালিকা করছেন ।
জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার প্রতিবাদ স্বরুপ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রতিবাদী নাটক "একটি ননফিকশন" করেছে ।
প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে । সাধারন শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফুর্ত ভাবে ছিল ।
আজ ও ক্লাশ বর্জন করেছিল সবাই । শিক্ষকরাও আলাদা কর্মসূচি পালন করেন ।
১৩.০১.২০১২ এর কর্মসূচি ঃ
বিকাল ৩টায় শাহবাগে মানব বন্ধন করা হবে । জাহাঙ্গীরনগর ও কুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এতে একাত্বতা ঘোষনা করেছেন । সবাইকে দলে দলে এই মানব বন্ধনে থাকার জন্যে আহ্বান করা হচ্ছে ।
সন্ধ্যা ৬টায় জাহাঙ্গীরনগরে থাকছে গণ সংগীত ।
এছারাও আগামীকাল আন্দোলন এর জন্য প্রত্যেকটা হল থেকে প্রতিনিধী করা হবে যারা সাধারন ছাত্রছাত্রীদের সব কিছু জানাবে ।
শিক্ষকরা ভিসিকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন । প্রক্টর আরজু মিয়া মামুন স্যারকে কেন কিল ঘুষি মারলেন এর প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি দেন ।
আজকের (১২.০১.২০১২)আপডেট ঃ
জুবায়ের হত্যার ঘটনার জড়িতদের বিচারের দাবীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। এই আন্দোলনের সাথে একাতত্বতা ঘোষনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
**বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এ. এ. মামুনকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় শিক্ষক সমাজ ব্যানারে ক্যাম্পাসে র্যালি করে সাধারন শিক্ষকরা। র্যালিটি অমর একুশে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এসময় সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাসিম আকতার হোসাইন বলেন, যে প্রক্টরের দায়িত্বহীনতার কারনে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে সে প্রক্টরেই এই হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন। আমরা এই তদন্ত কমিটি মানি না। তিনি নতুন তদন্ত কমিটির দাবী জানান। ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, উপাচার্য হত্যাকান্ডের ঘটনার আগের দিন নতুন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বললেন, ক্যাম্পাসে কোন সন্ত্রাসী নাই। ঠিক তার পরের দিনই এই হত্যাকান্ড। তিনি বলেন, ছাত্রদের হল গুলোতে এখনও নির্যাতন চলছে। আমরা এই হত্যা কান্ডের বিচার চাই। এরপর সকাল সাড়ে এগারটায় অমর একুশের পাদদেশে