অভিনব সৃষ্টিকারী আল-বাদী এক
অতুলনীয় সৃষ্টির অসীম সঞ্চয়
গড়ে তুলেছেন একা।রিক্ত বোধদয়
বুঝেনা সেসব কিছু আলস্যে বিস্তর।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখ সৃষ্টির প্রত্যেক
ছিল কি এসব আগে? রাজত্বে অক্ষয়
বিধাতার সৃষ্টি ছাড়া এসবতো নয়,
এ বুঝায় বিবেকের ঘটাও বিস্তার!
চক্ষু মেলে চেয়ে দেখ জগৎ মন্ডল
কি বলে তোমার দৃষ্টি? বিধাতার দান
নয় কি এসব কিছু? মস্তিষ্ক সচল
করে বুঝ সব ক্ষেত্রে কার অবদান?
আল-বাদী নবসৃষ্টি করেন সর্বদা
মানুষেরা তৈরী করে এক্ষেত্রে আলাদা।
বাদিউ
বাদিউ করেন যিনি প্রথম সৃজন
তারপর তাঁর দেয়া নিয়ম মাপিক
চলমান আছে সব সৃজন প্রক্রিয়া
সে জন্য সৃজনকারী শুধু একা তিনি।
মাটির মানুষ সবে, নূরের মাটির
শুধুই নবীর সৃষ্টি পার্থক্য এখানে;
নানান পদের মাটি মানব সৃষ্টিতে
ব্যবহার হয়েছে তা’ ক্বোরআনে আছে।
মানুষ অযথা করে বিতর্ক অনেক
প্রথম সৃজন আর পরের সৃজন
এ দু’য়ে পার্থক্য আছে ভাবলে বুঝবে।
নূরকে বানাতে মাটি বাদিউ সক্ষম
শূণ্য থেকে যে বানায় নূর থেকে তাঁর
বানাতে কোথাও নেই বাধার পাহাড়।
আল-মুবদী
মহা আদি সৃষ্টিকারী আল-মুবদীর
সৃষ্টিতে ছড়িয়ে আছে অপার বিস্ময়
নিজেও সত্ত্বায় তিনি অনন্ত অক্ষয়
ছিলনা এমন তিনি সৃষ্টি করেছেন।
অন্যরা পরিবর্তন করে আকৃতির
সকল তৈরী করেন।বিবর্তন হয়
অনেকের ধারনায়, যা তর্কের নয়
অস্বীকারে, সৃষ্টিকর্তা সব গড়েছেন।
‘প্রবর্তন বিবর্তন বিধাতার কাজ’
অস্বীকার কে করবে? কি উপায় আছে?
নির্বোধেরা কূ-বুদ্ধির করে কারুকাজ
অহেতুক সত্য খুঁজে অযুক্তির কাছে।
অবশেষে পার হয়ে মরন ফটক
নড়বে তাদের সব ভুলের টনক।
''আল-মুবদিয়্যু'' নামের ফজিলত
-হাবিবুর রহমান (হাবিব স্যার)
পরম হিসাবকারী মুহছিয়্যু রব
ভালমন্দ কাজ যত অবগত সব,
লোক চক্ষুর আড়ালে মন্দ করো কিছু?
হাশরে প্রকাশ হলে মান হবে নিচু।
আল-মুহছিয়্যু প্রভু তাঁর অগোচরে
লুকানো অসাধ্য কাজ সাগর পাহাড়ে,
পূন্যকর্ম যত আছে হোক ক্ষুদ্র কিছু
শেষ বিচারের দিনে মান হবে উঁচু।
ঘোর শাস্তি কেয়ামতে মাফ পেয়ে যাবে
কবরের যত ধরা ক্ষমা তুমি পাবে
মুহছিয়্যু আল্লাহকে ডাকো দৃঢ় মনে।
নাজাতের ওসিলায় মুহছিয়্যু তিনি
শাফায়াতে নবী পাবে যদি চলো মানি
অটল বিশ্বাসে তাঁকে সতত স্মরনে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬