আল-ওয়ালী পরম নির্বাহী সকল
বিদ্যমান প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে, যার
শৃঙ্খলা সুন্দর রূপে দেয় উপহার
মনোরম পরিবেশ শান্তিময়তায়।
আকাশ জমিন জুড়ে সর্বত্র সফল
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে, নিখুঁত বিচার
উপাদান পরিমাণ নির্ধারনে আর
গড়তে আকার কোন সুবিবেচনায়।
সুচারু সুন্দর তাঁর সৃষ্টির সমাজ
অফুরান নেয়ামতে, লাগেনা অপর
কোন প্রয়োজনে কারো, সমাধানে কাজ।
আল-ওয়ালীর কাজে অপেক্ষা প্রহর
কখনো কোথাও নেই, সুখে বসবাস
করে লোকে হেথা গড়ে শান্তির নিবাস।
আল-অলী
পরম অভিবাবক আল-অলি এর
কাজ হলো হয়ে থাকা সবার বান্ধব;
সবার অবস্থা তিনি করে অনুভব
প্রয়োজনে যা করার সর্বদা করেন।
না ডেকেও তাঁরে, পায় সামগ্রী ভোগের
নিজের চেষ্টায় লোকে, এনয় সম্ভব
কর্মীর হবে বঞ্চনা, প্রচেষ্টায় সব
হতে পারে, পাপীকেও কভু না ছাড়েন।
ভালকাজে লোকে পায় পরিনাম বেশ
পরকাল হয়ে থাকে শান্তির নিবাস
মন্দকাজে হয়ে থাকে মন্দের প্রকাশ
কোন এক কালে হয় হিসাব নিকাস।
অভিভাবকত্বের এ সুন্দর নিয়ম
সর্বত্র ছড়ায় খুব সুবাস উত্তম।
ওয়ালিয়্যু
ওয়ালিয়্যু জগতের অভিভাবকত্বে
নিযুক্ত থেকে করেন মঙ্গল সবার
তাঁর দায়িত্বের মাঝে অবহেলা নেই
কেহ নাহি থাকে তাঁর দৃষ্টির বাইরে।
ওয়ালিয়্যুর সদৃশ অন্য কেহ নেই
এমন সক্ষম আর অভিভাবকত্বে,
পিতার সম্মুখে হয় সন্তানের খুন
পিতার সেখায় কিছু করার থাকেনা।
দৃষ্টন্ত অনেক আছে এ জগতে ঢের
ওয়ালিয়্যু সময়েতে কিভাবে বাঁচান
আপন সৃষ্টির দলে নিজ করুণায়।
বুদ্ধিমান সকলেই তাঁকে কাছে চায়
সে জন্য সে দারে তারা হাত পেতে থাকে
অনুরূপ তারা পায় দয়া অফুরান।
আল-ওয়ালিয়্যু নামের ফজিলত
- হাবিবুর রহমান (হাবিব স্যার)
আল-ওয়ালিয়্যু তিনি পরম বান্ধব
সৃষ্টির অবস্থা সদা করে অনুভব,
তাঁর অবিভাবকত্বে আমাদের লাভ
ঈমানেই যদি থাকে সতত সদ্ভাব।
আল-ওয়ালী আল্লাহ যার বন্ধু হয়
জীবনটা তাঁর জানি হয় মধুময়,
আল-ওয়ালী ছাড়া কি কখনো সম্ভব?
আল্লাহর এগুণেও তিনি সদা রব।
উপদেশ শুনেনা স্ত্রী তোমার অবাধ্য?
সৎ পথে আনবে তারে আছে কার সাধ্য!
স্ত্রীর ব্যবহারে থাকো সতত চিন্তিত?
সৃষ্টি জগতের সব হবে অনুগত
বেগমও হয়ে যাবে মনেরই মতো
তাঁর নামে করো যদি জিকির সতত।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৬