(এক)
মহাক্ষমাশীল হয়ে আল গাফফার
ক্রোধেরে বদল করে অপার ক্ষমায়
সে জন্য শাস্তিতে লোকে অবকাশ পায়
হয়না পাপেতে কারো তড়িৎ বিচার।
ছাড়া বুঝি পেয়ে গেল ভাবে দূরাচার
আচ্ছন্ন তাদের মন ভুলের ধোঁয়ায়
খুশীহয়ে তারা আরো কূ-কাজে জড়ায়
এমনটা সমাজের দেখি সমাচার।
কূ-কথা কূ-কাজ চলে রাত দিন কত
প্রভুর ক্ষমায় তবু টিকে আছে সব
নতুবা সৃষ্টির সব শেষ হয়ে যেত।
মানুষ করেনা মনে সত্য অনুভব
সেজন্য পাপের পথে থাকে অবিচল
অথচ ক্ষমার শেষে রয়েছে অনল।
(দুই)
আল-গাফফার
আল-গাফফার প্রভু মহাক্ষমাশীল
ইসলাম গ্রহণেতে সব ক্ষমা হয়
ইসলাম না হলেই আর ক্ষমা নয়
তবে ভাল লোকদের শাস্তি কম হবে।
ভাবনায় যারা হয় নিতান্ত শিথীল
মনোযোগ নেই যার আল্লাহ চিন্তায়
আসেনা সে সব লোক ক্ষমা আওতায়
ক্ষমা পেতে ক্ষমাশীল থাকে অনুভবে।
ক্ষমায় যেথায় মিলে অনন্ত জান্নাত
এমনিতে উহা করো ভাগ্যে মিলবেনা
সাধনায় মিলে যায় প্রভুর নাজাত।
প্রভুর পথেই যারা কভু চলবেনা
কি দায় প্রভুর আছে চিন্তায় তাদের?
প্রভুই থাকেনা কভু অন্তরে যাদের!
গাফফারু
গাফফারু ক্ষমাকারী পাপী তাপী সবে
যারে মন চায় তারে ক্ষমাকরে দেন
এ কাজে পারেনা হতে কেউ কোন বাধা
তিনি যারে চাইবেন করবেন ক্ষমা।
শিরকের পাপ ছাড়া সব পাপ মাপ
তওবায় পেতেপারে বান্দাদের সবে
বান্দার মনের এযে শান্তনা বিরাট
পাফফারু রয়েছেন ক্ষমার নিমিত্তে।
ক্ষমার ব্যবস্থা যদি না থাকতো কারো
তবে তার হতাশার সমাপ্তি হতোনা
অন্তর পোড়ায়ে তারে করতো যে কাবু।
অথচ এখন আছে ভরসা অন্তরে
ক্ষমার আশ্বাস আছে পাপীর বেলায়
মিলবে তাতেই ফের মুক্তির ঠিকানা।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১