(এক)
আল-খালিক
আল-খালিক পরম সৃষ্টিকর্তা যাঁর
সৃষ্টির কোথায় শেষ, কোথায় সীমানা,
তা’নয় সৃষ্টির কারো কোনভাবে জানা
বিশাল সৃষ্টিতে তাঁর বৈচিত্র অনেক।
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা তাঁর উপহার
সমতল পৃথিবীটা প্রাণীর ঠিকানা
যেথা আছে সুকোমল মাটির বিছানা
খালিকের সৃষ্টি সব অনন্য প্রত্যেক।
প্রকৃতির স্নিগ্ধরূপ দীপ্ত নিরুপমা
বিস্তৃত সাগর জুড়ে ঢেউ টলমল
অনন্ত জগতে তাঁর নেই কোন সীমা
সর্বত্র ছড়ানো তাঁর অপার মঙ্গল।
সৃষ্টির বিস্তারে তাঁর কোন নেই ক্লান্তি
মুগ্ধতায় দেখে সব আত্মায় প্রশান্তি।
(দুই)
আল খালিক
কেউ যায় কারো পেটে কি ঘটনা ঘটে
বাঘেতে হরিণ মারে কি নিষ্ঠুর বটে
এ দেখে অনেক লোক বিপথেতে যায়।
অথচ একাজ খানি বন রক্ষণের
কাজেতে ভীষণ লাগে ভাব যদি বটে
নতুবা যে বন যেত দস্যুদের পেটে।
জটিল হিসেব দেখ সৃষ্টির খাতায়।
খালিক করেন কাজ সৃষ্টি প্রয়োজনে
তাতেই নিষ্ঠুর কিছু কান্ড ঘটে থাকে
আমরা যেমন মারি কতক জীবনে।
প্রাণি ছাড়া বেঁচে থাকা সবজি ও শাকে
ক’জন এমন পারে এ নহে সম্ভব
খালিকের কাজ তাই কর অনুভব।
খালিকু
নিজে নিজে যে হবে সে হবেই অসীম
সীমা দাতা না থাকায় এ প্রকৃতি এটা
অসীমেরা এক হয়ে একটাই হবে
সীমা দিতে না পারায় অধীক হবেনা।
সেই এক নিজে নিজে যেথা হতে হলো
সেথা তিনি একান্তই নিজেই ছিলেন
সেই তিনি এজন্যই চির বিদ্যমান
তিনি ছাড়া এ ক্ষমতা আর কারো নেই।
নিজে যারা হয় তারা তাঁর সাথে মিশে
তাঁকেই সমৃদ্ধ করে চলছে নিরন্ত
অসীমত্ব সূত্রে তারা থাকছে অভিন্ন।
সাকুল্যে নিজে হওয়া একজন বলে
আর সব তাঁর সৃষ্টি প্রকৃতি নিয়মে
স্বীকৃত এ সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতি বিজ্ঞানে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩