(এক)
আর-রাহীম, পরম মেহেরবানের
দৃষ্টি নন্দন সৃষ্টির বিস্তার দেখেছি
জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে।সেজন্য রেখেছি
তাঁর প্রিয় নাম নিজ অন্তর পাতায়।
এলোমেলো সময়ের ঝড় তুফানের
চিত্র থেকে চিরকাল আমরা শিখেছি
বাঁচার উপায় তিনি।যেথায় পেয়েছি
আমরা অনেক দান, তাঁর করুণায়।
আহা কি নির্মল দেখি সৃষ্টি অপরূপ
দৃষ্টিরা যে রূপে হয় অপার মোহিত।
রাতের আঁধারে দেখি তাকিয়ে নিশ্চুপ
কি সুন্দর পরিপাটি সৃষ্টিরা সজ্জিত।
রাহীম মেহেরে পৃথি চলছে সঠিক
সর্বত্রে সকল কিছু রয়েছে অধীক।
(দুই)
আর- রাহীম
আর-রাহীম বান্দার জন্য দয়াবান
মেহেরবান বান্দায় দেন যে নাজাত
আরো আছে অনুপম সুন্দর জান্নাত
যারা তাঁর অনুগত তাদের বেলায়।
আল্লাহর বান্দাদের ইবাদতে টান
থাকে মনে সর্বদায়, আর মুনাজাত
করে তারা কামনায় সে মাগফেরাত
পেতে, যাতে ভাসা যাবে আনন্দ ভেলায়।
অনাচারী কূ-আচারী পাবেনা মেহের
মৃত্যুতে দেখবে তারা কঠিন অবস্থা
শাস্তি সকল পাবে রিপুর বসের।
নেককার জন্যে আছে সুন্দর ব্যবস্থ্যা
মানলে খালেছ মনে প্রভুর হুকুম
নতুবা ঝুটবে মুখে কন্টক জাক্কুম।
রাহীম
রাহীম করুণাময় বান্দার দেখেন
সুখ দুঃখ ব্যাথা কষ্ট আনন্দ যন্ত্রণা
অনুভুতি প্রত্যাশার প্রার্থনা সমগ্র
মঙ্গলের জন্য তার যাপিত জীবনে।
বান্দা চায় পরকাল বেশী ভাল হোক
সেজন্য পাপের শাস্তি এখানেই পায়
রাহীম করেন এটা মঙ্গলের জন্য
পরকালে শাস্তি থেকে মুক্তি দিতে তারে।
দেখতে অনেক ক্ষতি মহামঙ্গলের
কারণ, তা’বুঝা বড় বুদ্ধির ব্যাপার
সেজন্য জ্ঞানীরা কষ্টে হয়না হতাশ।
আল্লাহর ইচ্ছাতেই নিজের কল্যাণ
এমন ঈমান মাঝে আছে হেদায়েত
রাহীম সেটাই চান বান্দার বেলায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮