সৌদি রাজতন্ত্র পীরতন্ত্র ও মাজহাবের বিরুদ্ধে। নিজ দেশ থেকে তারা পীরতন্ত্র ও মাজহাব প্রায় ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে সক্ষম হয়েছে, তবে অন্যদেশে এ ক্ষেত্রে তাদের সাফল্য তেমন একটা নেই। মাহদীর (আঃ) উপস্থিতি টের পেলে তারা তাঁর বিরুদ্ধেও লড়াই করবে। কারণ মাহদীর (আঃ)উত্থান মানে সৌদি রাজতন্ত্রের বিদায়।
সৌদি রাজতন্ত্র মুসলমানদের অবিভাবক সাজতে চেয়েছিল, কিন্তু তাদের যে চরিত্র তা’ দেখে মুসলমানদের অভক্তি হয়, সেজন্য তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। মুসলমানদের অবিভাবক হতে হলে আগে ইসলামী চরিত্র প্রয়োজন, সেটা সৌদি রাজতন্ত্রে নেই। আর পীর ও মাজহাব তারা বাদ দিতে চাইলেও মুসলমানেরা এ দু’টিকে প্রয়োজনীয় মনে করে। সে জন্য মুসলমানদেরকে পীর ও মাজহাব থেকে সরানো যাচ্ছে না।
নতুন মতের পক্ষে নতুন কথা উপস্থাপন করতে হয়, সৌদি রাজতন্ত্রের নতুন কথা হলো সহিহ হাদিস। যদিও সহিহ হাদিস খুলে দেখলে দেখা যাবে হাদিসের আলোকে মাসয়ালা বর্ণনা নেই। কোরআন ও হাদিসের আলোকে মাসয়ালার বর্ণনা রয়েছে ফিকাহর কিতাবে। তা’ছাড়া সহিহ হাদিস মানসুখ কিনা সেটাও হাদিসের কিতাবে উল্লেখ নেই।সে জন্য এমন মোক্ষম কথা দিয়েও সৌদি রাজতন্ত্র মাজহাবকে ঠেলে ফেলে দিতে পারছে না।
মাজহাব ঠেলে ফেলে দেওয়া যেত যদি বলা যেত মাজহাবের মাসয়ালা কেন বাদ দিতে হবে অথবা মাজহাবী মাসয়ালার ভুলটা কোন জায়গায়? এটাও বলা দরকার মাজহাবের ফরহেজগার ইমাম কেন এ মাসয়ালা প্রদান করলেন? কিছু না বলে হাদিসের সাথে মিল নেই তাই ফেলে দাও এমন বললেই কি হয়? লোকেতো তখন বলবেই হাদিস যে সহিহ তার প্রমাণ কি? একজন সহিহ বললেই কি হাদিস সহিহ হয়ে গেল? কিন্তু সে সব বলার সময় সৌদি রাজতন্ত্রের নেই। তো এমন অগোছাল নেতৃত্ব কে মানে, যর সঠিকতায় সন্দেহ থাকে? সংগত কারণে তাদের থেকে লোকে মুখ ফিরায়।
সৌদি রাজতন্ত্রের লোকেরা প্রচুর অপচয় করে।অপচয়কারী শয়তানের ভাই। কাজেই সৌদি রাজতন্ত্র যাদের বিনাশ সাধনের চেষ্টা করছে উল্টা তারা তাদেরকে শয়তানের ভাই সাব্যস্ত করে মুসলমানদেরকে সৌদি রাজতন্ত্রের প্ররচনা থেকে ফিরিয়ে রাখছে।
সৌদি রাজতন্ত্রের লোকেরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদের আত্মার আত্মীয় সেজন্য মুসলমানেরা তাদেরকে সন্দেহের চোখে দেখে। সেজন্য সৌদি রাজতন্ত্র যেটা সঠিক মনে করে মুসলমানেরা সেটা বেঠিক মনে করে। সংগত কারণে তারা যেটার বিরোধীতা করে সেটা আরো শক্তিশালী হয়।
সৌদি রাজতন্ত্রের টাকার অভাব নেই।তারা তাদের দালালী করতে টাকা দিয়ে কতিপয় দালাল নিয়োগ করেছে যারা ভাঙ্গা টেপ রেকর্ডারের ন্যায় সর্বক্ষণ তাদের পক্ষে বাজতেই থাকে। কিন্তু এসব দালালরা এটা বুঝতে পারেনি যে তাদের গুরুদের তলা কতখানি ফুটা! কাজেই তাদের গুরুদের পাত্রে যতই পানি ঢালা হোক না কেন, অবশেষে তাতে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। ওদিকে তারা মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নামক একটা দালালী প্রতিষ্ঠান তৈরী করেছে তাদের মতের পক্ষে ফতোয়া প্রদানের জন্য। যে প্রতিষ্ঠান উল্টাপাল্টা ফতোয়া জারি করে মুসলমানদের ঈমান আকিদা ধ্বংসের অপ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাকুল্য কথা হলো কিছু দালাল সৃষ্টি ছাড়া সৌদি রাজতন্ত্র মুসলমানদের মাঝে তেমন কোন প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭