পীর
মহানবি (সাঃ) বলেছেন, ‘লা ইসলামা ইল্লাবিল জামায়াত – জামায়াত বা সংগঠন ছাড়া ইসলাম নেই’।পীরের নেতৃত্বে মুরিদেরা সংগঠিত থেকে এ হাদিসের শর্ত পূরণ করছে। এখন পীর ও মুরিদেরা যদি শির্ক ও বিদয়াত করে থাকে তবে সেটা ভিন্ন হিসেব।
অনেকে বলেন পীর ইসলামে নেই। বাস্তব হলো এটা থাকার সুযোগ নেই। কারণ পীর মহানবির (সাঃ) ছুন্নাহ অনুসরনের দাবী করেন, সেজন্য পীরকেতো আর মহানবি বলা যাবে না।তারচে বরং পীর বলা হয় সেটাই বরং ভালো।
অনেকে অনেক কিছুকে শির্ক মনে করে অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে শির্ক মনে করে না।অনেকে অনেক কিছুকে বিদয়াত মনে করে, অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে বিদয়াত মনে করে না।অনেকে অনেক কিছুকে হালাল মনে করে, অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে হালাল মনে করে না।অনেকে অনেক কিছুকে জায়েজ মনে করে, অনেকে আবার সেই সব বিষয়কে জায়েজ মনে করে না।এভাবে অনেক কিছু মতভেদের আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে।কেউ তার মতকে অকাট্য ভাবে প্রমাণ করতে পারছে না বিধায় মতভেদ দূর হচ্ছে না।প্রত্যেক পক্ষ অপর পক্ষের উপর কোরআন ও হাদিসের অপ ব্যাখ্যার অভিযোগ করছে।সংগত কারণে যে কেহ যে কোন মত গ্রহণের পূর্বে এর পক্ষ ও বিপক্ষের মত জেনে নিবেন এরপর তাঁর নিকট যে মত সঠিক মনে হবে তিনি সে মত গ্রহণ করবেন। কোন পীরের কথা কারো সঠিক মনে হলে তিনি সে পীরের মুরিদ হবেন আর সঠিক মনে না হলে মুরিদ হবেন না। কারণ গ্রহণ করা মতের দায় প্রত্যেক লোককে নিজেকেই বহন করতে হয়। কাজেই মত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের নিজের বিবেচনাই চুড়ান্ত।
প্রত্যেক মতের লোকেরাই চোখ লাল করে বলে আমার মত গ্রহণ কর নতুবা জাহান্নামে যেতে হবে।আল্লামা জালাল উদ্দিন রুমী (রঃ) সব মতের লোকদের বললেন তিনি তাদের সাথে একমত। এতে একজন ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন, আপনি কাফির। তিনি তখন বললেন আমি আপনার সাথেও একমত। এর কারণ হলো তারমত যদি তিনি গ্রহণ না করেন তবেতো তিনি তার মতে কাফির। এখন একজন লোকের পক্ষেতো এতোমত গ্রহণ সম্ভব নয়। কাজেই কাফির ফতোয়া থেকে বেঁচে থাকাও সম্ভব নয়। কাজেই কে কি বলল তারচে বরং আমি কি করলাম সেটাই মূল বিবেচ্য।এরপর কথা হবে, ‘আমাকে আমার মত থাকতে দাও আমি নিজেকে নিজের মত গুঁছিয়ে নিয়েছি’।আর যদি কেউ আমাকে আমার মত থাকতে না দেয় তবে আমার যা করনীয় তা’ না করে আমার আর কি করার থাকবে? এরপর সবাই যদি শান্তিতে থাকতে চায় তবে অপরের মতে নাক গলানো পরিহার করতে হবে।
মাহদী(আঃ)
এ পর্যন্ত অনেক মাহদী এসে চলে গেছেন। একজন ছাড়া কারো অনুসারী নেই।তথাপি মুসলমানরা মাহদীর(আঃ) আগমন প্রতিক্ষায় রয়েছে। কিন্তু যদি মাহদী আর না আসে অথবা আসলেও দাবী উপস্থাপন করে টিকে থাকতে না পারে তবে যে মাহদীর অনুসারী রয়েছে অবশেষে মুসলমানরা তাকেই মাহদী মেনে নিবে।সেই মাহদী আবার নিজ অনুসারীদের বিজয়ের তিনশত বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন, যার একশত বছর পার হয়েছে।
যারা মাহদীর (আঃ) আগমন প্রতিক্ষায় রয়েছে তাদের কেউ কেউ বলছে আগামী ছয় সাত বছরের মধ্যে মাহদী (আঃ) প্রকাশ পাবেন। তাঁকে যারা আক্রমন করতে যাবে তারা মাটিতে ধসে যাবে।সে যাই হোক এ কথা সত্য না হলে যে মাহদীর অনুসারী রয়েছে তার অনুসারী আরো বাড়বে। কারণ তখন তারা বলবে কই তোমাদের মাহদী? কাজেই আমাদের মাহদীই সঠিক। এখন এটা প্রত্যেকের নিজের বিষয়, সে নিজেই বিবেচনা করবে যে মাহদীর অনুসারী রয়েছে তার দলে যোগ দিবে না নতুন মাহদীর জন্য অপেক্ষা করবে?
বিঃদ্রঃ ছবির পীর সাহেবের মতে মাহদীর (আঃ) আগমন ঘটেনি, সেজন্য তাঁর সাথে মাহদীর ছবি দেওয়া হলো না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:০৪