পাবলিক মোচড় দিলে ক্ষমতাবানও অক্ষম হয়ে পড়ে, কোটা সংস্কার দাবীতে সাধারণ ছাত্ররা সেটা আরেক বার দেখিয়ে দিল। সরকার আর সবাইকে কুচ পরোয়া নেহি বলে বলুক পাবলিককে সে কথা না বলুক। কি সাংঘাতিক! ছাত্রদেরকে মতিয়া রাজাকার বলেছেন, এত বড় গালি তারা হজম করে কেমন করে? হতে পারে তারা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নয় তাই বলে রাজাকারও নয়।দল ক্ষমতায় আনে আবার দল ক্ষমতা থেকে বিতাড়নের কারণ হয় সে জন্য সরকারকে দল সামলাতে পারতে হবে। সরকার দল সামলাতে না পারলে দেশ সামলাবে কেমন করে? এত দিন যারা পিঠ পেতে মার খেয়েছে সুযোগ পেলে তারা দৈত্যে পরিণত হবে, এ বিষয়টা সরকারের মাথায় থাকতে হবে।লালন বলেছেন, সময় গেলে সাধন হবে না, কাজেই সময় থাকতে সরকারের করণীয় ঠিক করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিকের অসন্তোষ বাড়ছে। অসন্তোষের এ স্রোতগুলো একত্র হলে সরকার ভেসেও যেতে পারে, সে জন্য সরকারের শুধু নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে হবে না।কারণ নাকে তেল দিয়ে ঘুমালে স্রোত যখন বইতে শুরু করবে তখন এ স্রোত থামাবে কে? যারা মার খেয়েছে তাদের ভিতর প্রতিশোধের আগুন জ্বলছে, সে আগুন দাবানলে পরিনত হলে ফায়ার ব্রিগেডেও কাজ নাও হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বুঝালেন ৭০% সরকারি চাকুরী যোগ্যতায় হয় কিন্তু ছাত্ররা ৯০% সরকারি চাকুরী যোগ্যতায় চায়।এখন প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নয় বরং বতিল করার কথা বলছেন। তারচে বরং ছাত্রদের কথাই থাক। নাই মামার চেয়ে কোটার কানা মামা থাকুক।
জনাব চাঁদগাজী বলেছেন দেশকে বেকার মুক্ত করা সম্ভব। তাঁর থেকে ফর্মূলা নিয়ে দেশকে বেকার মুক্ত করার চেষ্টা করা হোক। বেকারত্বের কারণে ছেলেরা বিয়ে করছে না, মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে না, কন্যা দায় গ্রস্থ্য পিতার দায় মুক্তি ঘটছে না। এ ক্ষেত্রে অচলায়তন তৈরী হচ্ছে। সরকার এ বিষয়ে ভাবনাহীন থাকতে পারে না। জনাব চাঁদগাজীকে টেকনোক্রেট কোটায় মন্ত্রী বানানো যায়। একজন ব্লগার মন্ত্রী হলে ব্লগাররা তাদের বুদ্ধি ব্লগে কলসি উপুড় করে ঢালবে। ফলে জাতি আরো বেশী বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে।
কারো ঘটে বুদ্ধি না থাকলে সে দুই ঘট বুদ্ধি ধার নিতে পারে। তাই বলে রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে বুদ্ধিহীনেরমত কাজ করলে চলে না।
এত্তগুলা ছাত্র-ছাত্রী মিলে সরকারকে একটা ফ্রি পরামর্শ যখন দিয়েই ফেলেছে তখন সরকারের আর কথা না বাড়িয়ে সেটা বরং মেনে নেওয়াই শ্রেয়। কারণ এগুলোতো আমাদেরই ছেলেপিলে। ওদের মনভাবটাওতো আমাদের বুঝা দরকার। কাজেই সরকারের আর অহেতুক অভিমান নয়।
আমার এক ছাত্র গতরাতে ফোন করে বললো, স্যার, চাইলাম ফুল, সরকার দিল বাগান।কিন্তু সেটা রাগ হয়ে না দিয়ে খুশী মনে দিলেই ভালো হতো।
সভার শুভবুদ্ধিততে দেশ ও জনতার কল্যাণ হোক ।
# ক্ষমতার ঘট
ঝাঁকে ঝাঁকে আসে তারা রাস্তার উপর
চাকুরী বৈসম্য দূর ন্যার্য কামনায়
খালি হাতে ঘরে তারা ফিরতে না চায়
অনঢ় মনেতে রোখে যত আসে ঝড়।
দির রাত কেটে যায় কাঁপিয়ে শহর
সরকার ভাবে বসে হয়ে নিরুপায়
কি ভাবে এ ঝড়টারে রুখে দেয়া যায়
বলে বাপু হেথা কেন? ঘরে বসে পড়!
তারা নাহি শুনে কথা স্রোতে বয়ে চলে
দাবায়ে রাখতে পারে নেই কোন বাঁধ
সম্মুখে সকল রুখে তারা কথা বলে
দাবী পূরণে ফিরবে মনে সুধু সাধ।
সরকার ভাবে এ যে কি জ্বালা উদ্ভট
আন্দোলনে কেঁপে উঠে ক্ষমতার ঘট।
# আয়ত অচল
হতচ্ছাড়া দেশটার নেই কোন গতি
বেকারে বেকারে কত বেড়েছে বিকার
তরুণেরা হয়ে কত কষ্টের শিকার
পায়না তালাসে কোন বাঁচার সম্বল।
কত মনে সহ্য হয় এই অধঃগতি
মাথার উপরে মেঘ জমেছে চিন্তার
নিত্য দিন পেয়ে তারা তিক্ত উপহার
সৃষ্টি হয় মন মধ্যে আয়ত অচল।
ছেড়েদে মা কেন্দেঁ বাঁচি চারি দিকে ‘নেই’
কোথা গেলে পাবে কিছু মনতুষ্টি জন্যে
চারিদিকে দেখা যায় অন্ধকার সেই
মরে যেতে মন চায় সে যার সৌজন্যে।
ঘর ছেড়ে নিত্য তারা ফিরে আসে বাড়ি
হতাশা তাদের মারে সর্বদা আছাড়ি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩