ব্লগে একজন জানালেন, মুসলমান তেমন কিছু আবিষ্কার করতে না পারলেও যারা আবিষ্কার করতে পেরেছে সেই অমুসলিমদের ঘৃণা করতে পারে। তো তারা নিজেদেরকে তারচে বেশী ঘৃণা করতে পারে যেমন, শীয়ায়ে আলী হজরত আয়েশার (রা.)দল, হজরত মুয়াবিয়া (রা.) ও ইয়াজিদের দলকে অমুসলীমদের চেয়ে কম ঘৃণা করে বলে মনে হয় না। মহররমের তাজিয়া মিছিলতো অমুসলমানদের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশের জন্য বের হয় না।
আমরা পাকিস্তানীদের কতটা ঘৃণা করি সেটা আমরা সবাই জানি।ইরাকিরা ইরানীদের, কুয়েতিরা ইরাকিদের, ইয়েমেনিরা সৌদি আরবীদের যথেষ্ট ঘৃণা করে।
আর সিরিয়ায় মুসলমানরা পরস্পর যুদ্ধ করছে। একপক্ষে রাশিয়া অন্য পক্ষে আমেরিকা সুবিধা আদায় করছে। উভয় পক্ষে মরছে মুসলমান।
মুসলমান দেড় হাজার বছরে আবিষ্কার করতে পারেনি তাদের নবি(সা.) নামাজে কোথায় হাত রেখেছেন? এখন তাদের কেউ নামাজে হাত ছেড়ে দাঁড়ায়, কেউ বুকে হাত বাঁধে, কেউ হাত বাঁধে নাভির উপর।কেউ কেউ বলে নবি (সা.) সব রকম করেছেন।তো সর্ব শেষ নবি (সা.) কি রকম করেছেন সে রকম সবাই করলেতো সবার হাত বাঁধা এক রকম হয়ে যায়।
ঈদ উৎসবটা পর্যন্ত মুসলমান একই দিন করতে পারে না।আমি বলেছিলাম প্রত্যেক দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলমানের মতের ভিত্তিতে একটা মত বেছে নিলে অন্তত সেই দেশে সব মুসলমান এক রকম হতে পারে।কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠের মত নাকি সঠিক নয়।তারমানে সমস্যা সমাধানের সহজ পথটাও মুসলমানের জন্য বন্ধ।সুতরাং এরা নিজেরা যুদ্ধকরে সময় কাটাবে, আবিষ্কার আর কখন করবে? তাদেরতো আবিষ্কারের টাইম নেই। আর অমুসলীমদেরও তাদের সম্মান করার টাইম নেই। তামাসাই তাদের একমাত্র প্রাপ্য।
মহানবির (সা.) শেষ কাজ ও সংখ্যা গরিষ্ঠের মত গ্রহণ করলে মুসলমাদের ঐক্যের পথ তৈরী হবে, নতুবা নয়।কারণ সংখ্যা লঘিষ্ঠের মততো আর কেউ গ্রহণ করবে না।
আমি মুসলমানদের সঠিক মত নির্ণয়ের চেষ্টা করে ছিলাম, কিন্তু এতে তাদের অনেকে মহারুষ্ঠ। কারণ তারা পরস্পর মারামারি করাটাই শ্রেয় মনে করে। তবে তারা তাই করুক। অহেতুক মিলামিলি করে আর কি হবে! দিন তো আর বসে থাকছে না।অমুসলিমরা ছড়ি ঘুরাবে আর মুসলিমরা চোখের তারা ঘুরিয়ে সে ছড়ি ঘুরানি দেখবে এটাই তাদের নিয়তি।কোন সূত্রেই যদি না আসে তবে তাদের আর কি হবে? এমতাবস্থায় যা হওয়ার তাই হচ্ছে আর কি! সুতরাং চুপ যাও নো বাতচিৎ!
মুসলমানের বড় দল হোক আর ছোট দল হোক সবার আশা তাদের মতে সবােই ঐক্যবদ্ধ হোক। এক কথায় বিচারমানি তাল গাছ আমার। সুতরাং তাদের চিরন্তন ঝগড়া চলচেই চলবে। তাদের দ্বারা ভালো কিছুর আশা না করাই বরং উত্তম।
নিজ মতে মুসলমানদের সব দল সঠিক। এখন দেখার পালা হাসরের দিন আল্লাহ কোন দলকে সঠিক ঘোষণা করেন। সঠিক দলের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া বিষয়ে সে পর্যন্ত অপেক্ষা না করে উপায় নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩৪