তাতে মিশে যাওয়া ঝিঁঝিঁর ডাক।
গভীর ঘন রাত্রি।
টিনের চালায় শিলাজিৎ-এর গান
"ঝিন্টি তুই বৃষ্টি হতে পারতিস..
ঝরে পরতিস টিপ,টুপ টাপ গায়ে মাখতাম।"
আমি এই আধো-শীতে বৃষ্টিকে
কম্বলের উষ্ণতায় জড়িয়ে নেই গায়ে..
কম্বলের নিচে লুকায়ে রাখা গোপন বৃষ্টিধারা
ফুসফুসে ক্লোরোফোমের গন্ধ ছেঁকে জেগে থাকা..
অবচেতন বা ঘুমিয়ে পড়াতে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ তখনো।
পথ পরিভ্রমণের সহস্র ইতিহাস তাদের
স্বরযন্ত্র শানিয়ে নিয়ে এই রাতে শিবরঞ্জনী'র আসর বসায়।
মালকোষ তাদের পাতানো সহোদরের ভূমিকা নিয়ে উন্মনা।
ফাগুনের এই রাতে আমি বৃষ্টি পতনের শব্দ হয়ে যাই,
ঝিঁঝিঁদের সঙ্গে বাজি লড়ি,
শিবরঞ্জনীকে কাতুকুতু দিয়ে হাসিয়ে ছাড়ি।
মোরগ পালক হাতে মালকোষকে খুব জোরে দেই ধাওয়া..
এভাবে আরো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শেষ হলে
কল্কে ফুলের মধু খেতে যে ছোট্ট পাখিটি আসে?
আমি জানালা খুলে,স্থির হয়ে উড়তে থাকা সে পাখির
ডানায় প্রথম কিরণের যুগোলবন্দি দেখি।
এই তো এইরকম বেঁচে আছি আমি..
অন্তরে বৃষ্টিপাতের অভিলাষ নিয়ে ধূলি-ধূসরতায়।।
--------------
আমাদের শব্দযাত্রা ক্লান্ত কান্নার উজানে, তবু এত কান্না এত ক্লান্তি কোথা হতে জন্ম লয়- কে জানে!!
যে মানুষের খেরোখাতায় ঋতু-চক্রে শব্দের অনন্ত বরষা..
আগুন লাগা এই মাঝ ফাগুনে তার আর্বিভাব নিয়ে প্রকৃতির যে সুদূর প্রসারী কল্পনা তা বোঝা যায় সহজে...
শুভ জন্মদিন সাগর ভাই। অন্তর থেকে দোয়া রইলো আপনার জন্য।
[ছবি:Rain: Spring,Arthur Meltzer]
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১১ ভোর ৬:৩৩