ওসমান গনি বনখেকো হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গনিকে দুর্নীতির দায়ে ১২ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দুুর্নীতিতে সহায়তা করার দায়ে তার স্ত্রী মোহসেনারা গনিকে তিন বছরের সশ্রম জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার সম্পদ ও ২৭০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল বিশেষ জজ আদালত ১০-এর বিচারক এ কে এম আরিফুর রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের মধ্যে ওসমান গনি জেলে ও মোহসেনারা গনি পলাতক আছেন।
রায়ে সম্পদের হিসাব গোপন করার দায়ে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে দুই বছরের জেল ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করার দায়ে ১০ বছরের সশ্রম জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো এক বছরের সশ্রম জেল ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে মোহসেনারা গনিকে তিন বছরের সশ্রম জেল ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো ছয় মাসের জেল ভোগ করতে হবে। এছাড়াও রায়ে ওসমান গনির নামে থাকা ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদ ও তার স্ত্রীর নামের ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুলাই উত্তরা থানায় সম্পদের হিসাব গোপন করা ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের দায়ে মামলা করেন। কমিশনের সহকারী পরিচালক আখতার হামিদ ভূইয়া ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ওসমান গনি ৪ কোটি ৯৬ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা দেয়া সম্পদের বিবরণীতে ১ কোটি ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮৪ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:০১