বউয়ের মুখ থেকে স্বামীকে কয়েকটি কমন বাক্য শুনতে হয়। যেমনঃ
১. তোমার সংসারে আমি কি পেলাম?
২. আমি বলে তোমার সংসার করছি অন্য কেউ হলে--
৩. আমি আর এই সংসারে থাকব না---
৪. আমি তোমাকে ক্ষমা করব না--
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মধ্যে ঝগড়া হয়েই থাকে। ঝগড়া শুরু হলেই উত্তেজনা বা রাগের মূহুত্বে স্ত্রীরা উপরোক্ত কথা গুলো তাদের স্বামীদেরকে শুনিয়ে থাকে। আমি দেখেছি বেশীর ভাগ স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের কাছ থেকে বেশী কিছু আশা করে থাকে। কিছু কিছু স্ত্রী তাদের স্বামীদের পকেট খালি করতে পারলেই বেশী খুশী হয়। তাদের স্বামীরা যে কত কষ্ট করে অর্থ উপার্জন করে এই শ্রেনীর স্ত্রীরা বুঝতে চায় না। তারা শুধুমাত্র পাশের বাসার ভাবীর দামী পোষাক,দামী দামী খাবার দেখে নিজের স্বামীকে খোটা দিয়ে থাকে। তারা নিজের স্বামীর উপার্জন ক্ষমতার দিকে খেয়াল না করে নানান রকম আবদার করে থাকে। কোন এক সময় এই নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া শুরু হয়। অনেক সময় স্বামী নিজেেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে স্ত্রীকে মারধর ও করে থাকে। সম্পর্কের চরম অবনতি হলে অনেক সময় ছাড়াছাড়িও হয়।
সংসারে অভাব-অনটন, ভূল-বুঝাবুঝি থাকবেই। সবাই বেশী উপার্জন করতে পারে না। একজন আদর্শবান স্ত্রীর উচিত স্বামীর সৎ উপার্জনের উপর সন্তুষ্ট থাকা। স্বামীকে অসৎ উপায়ে উপার্জন করতে নিষেধ করা। সব সময় সৎ থাকতে উৎসাহিত করা। কিন্তু বর্তমানে কয়জন স্ত্রীর কাছ থেকে এমনটি আশা করা যায়?
বর্তমান সমাজে সৎ উপার্জণকারীর স্যংখা দিন দিন কমছে।
মানুষ এখন রাতারাতি বড় লোক হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন উপায়ে তারা অর্থ উপার্জন করে সংসারকে সাজিয়ে প্রিয়তমা স্ত্রীকে রাজরানী করে রাখতে চায়। তাদের স্ত্রীরা ও এতে খুশী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে কিছুই বলে না। এই ভাবেই চলছে আমাদের সমাজ..........খাও দাও ফুর্তি কর...
একমাত্র আদর্শবান ও ধার্মিক স্ত্রীরাই তাদের স্বামীকে সৎ পথে চলতে সাহায্য করতে পারে। আদর্শবান স্ত্রীদের মুখ থেকে উপরোক্ত বাক্যগুলো কোন দিন শুনতে হবে না.....