৬০ শতকের ছাত্র রাজনীতিতে মতিয়া চৌধুরী খুবই প্রভাবশালী তরুণী ছিলেন; তখন পুর্ব পাকিস্তানের তরুণ তরুণীতেদের মাঝে সোভিয়েত ইউনিয়নের ও চীনের উন্নয়নটা প্রভাব ফেলেছিলেো; ফলে, বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে সোস্যালিজম একটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু পুর্ব পাকিস্তানের সোস্যালিষ্ট ও তথাকথিত কম্যুনিষ্ট দলগুলো বিশ্বের এই নতুন অর্থনীতিকে সঠিকভাবে বুঝতো না; তাদের এই ব্যাপারে ভাসা ভাসা ধরণা ছিলো মাত্র।
সোস্যালিজম ও কম্যউনিজমের মুলে ছিলো কার্ল মার্ক্সের নতুন অর্থনৈতিক চিন্তাধারা, যা ছিলো ক্যাপিটেলিজমের সংগে সাংঘর্ষিক। আমাদের মতো কমশিক্ষিত সমাজে মানুষের ভাবনা নিজ ও নিজের পরিবারকে নিয়ে আবর্তিত হয়; সমাজের সবার জন্য সুসম উন্নয়ন অবধি ভাবতে পারেন না মানুষ; কিন্তু সোস্যালিজম পুরো সমাজের জন্য ভাবতে শিখায়।
মতিয়া চোধূুরী ছাত্রজীবন শেষ করে বুঝতে পারেন যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সোস্যালিষ্টরা অবদান রাখার মতো সংগঠিত নয়; তাই তিনি ক্রমেই আওয়ামী রাজনীতির প্রতি আকর্ষিত হন। শেখ হাসিনার সময়ে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হন, মন্ত্রীও হয়েছিলেন।
কিন্তু উনার কোন পদক্ষেপে সোস্যালিজমের চাপ ছিলো না; শুধু একটা বিল এনেছিলেন, তা'আইনেও পরিণত হয়েছিলো, কিন্তু কোনদিন কার্যকরী হয়নি; বিলটা ছিলো খুবই দরকারী বিষয়ে, "চাষের জমিতে বাড়ীঘর/অফিস তৈরি করা যাবে না"।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও সৎ মানুষ ছিলেন। গতকাল উনার মৃত্যু হয়েছে, উনার জন্য সন্মান রলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০