আমাদের সংবিধানটা গার্বেজ, ইহাতে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য নিয়ে কিছুই নেই; ইহা ৩য় বিশ্বের দেশ চালানোর মতো ১টি ম্যানুয়েল। ইহা যখন রচনা করা হয়েছিলো, তখন ড: কামাল হোসেন নতুন গ্রেজুয়েট, তাও কর্পোরেট ল'তে। উনি তখন রাজনীতি, সমাজনীতি, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ইত্যাদির মাথামুন্ডু কিছু বুঝতেন বলে মনে হয় না।
শেখের সাথে ইয়াহিয়ার মিটিং ছিলো, সেই সময় ড: কামাল আধুনিক লন্ডনী স্যুট পরে শেখের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন ও কথায় কথায় ইংরেজী বলছিলেন; শেখ মনে করেছিলো যে, ইহাকে সাথে নিলে, ইয়াহিয়া ইহার ইংরেজী শুনে চমৎকৃত হবে; এতেই ড: কামালের ভবিষ্যত খুলে গিয়েছিলো। পবর্তিতে তিনি যে, সফল কর্পোরেট আইনবিদ হিসেবে সুনাম পেয়েছিলেন, সেটার মুলে ছিলো বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী থাকার কারণে।
আমাদের সংবিধানের ৪টি শব্দ কোমলমতিদের, জামাত, হেফাজত, পাকিস্তান ও বিএনপি'কে কষ্ট দিয়ে আসছিলো ৫৩ বছর; শন্দগুলো হচ্ছে: (১) জাতীয়তাবদ (২) গণতন্ত্র (৩) ধর্মনিরপেক্ষতা ও (৪) সমাজতন্ত্র।
ড: ইউনুস সাহেব আমেরিকা ও ক্যাপিটেলিষ্ট বিশ্বের এজেন্ট হিসেবে ৩য় বিশ্বে বেশ পরিচিত নাম; উনিও "সমাজত্ত্র" শব্দটার বিলুপ্তি চান। ড: ইউনুস ধার্মিক নন; তবে, ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটা সংবিধানে থাকুক, সেটা উনিও পছন্দ করার লোক নন। গণতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ হচ্ছে ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক; এই গার্বেজ টিকবে কি করে?
ষ্টালিনের মৃত্যু হয়েছিলো হার্ট-এ্যাটাকে; এ্যাটাকের সময় ষ্টালিন পলিটব্যুরোর ৬/৭ জন ইনফ্লুয়েনশিয়াল সদস্যের সাথে ক্রেমলিনের কনফারেন্সরুমে আলাপ করছিলো; হঠাৎ সে মেঝেতে পড়ে যায়; সবাই তাকে তুলে বিছানায় শোয়ায়ে দেয় ও সিদ্ধান্ত নেয় যে, মৃত্যু না'হওয়া অবধি ডাক্তার ডাকা হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭