হাসান কালবৈশাখী ও কলাবাগান-১ নেই; মোহাম্মদ গোফরান ও রাজিব নুরের দুরে থাকার দরকার আছে। এখন দেখছি, কোমলতিদের ভাই-বেরাদররাও গা তোলা দিচ্ছেন! বাংলাদেশ অবশ্য কঠিন যায়গা, ভাই-বেরাদর, শিক্ষক, সবাই কোমলমতিদের ভয়ে প্যান্টে হিসু করছে।
ব্লগারের সংখ্যা ৩০ জন থেকে কমলে কি থাকবে? শেষে কি আমাকেও মালটি নিক খুলতে হবে?
সিনিয়রেরা বলছেন, "সাধারণ ছাত্রদের বিপ্লবের" পর, আওয়ামী লীগের সবাই ব্লগে এসে আত্মগোপন করেছে; অভিযোগ সত্য নাকি? সত্য হলে তো ঘটনা বড়ই উৎসাহজনক; ব্লগের লিলিপুটিয়ান ব্লগারদের সংখ্যা অনেক বাড়বে; সাথে সাথে যারা (আফসোস লীগ ) ভয়ে থাকার কথা, তাদের ভয়ে "নতুন বাংলাদেশের" মালিকেরা পালাচ্ছে!
২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মাঝে ১৮ জন ব্লগারের প্রাণ গিয়েছে, ২৬ জন আহত হয়েছিলো; জল্লাদরা সরাসরি সাপোর্ট পেয়েছিলো বেগম জিয়া, জামাতী মাহমুদুর রহমান ও মোল্লা শফি থেকে। ব্লগগুলো নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো।
এবার কি হলো? এখন তো বেগম জিয়া, জামাতী মাহমুদুর রহমান ও মোল্লা শফির সোনালী যুগ নয়! ব্লগার কমছে তো কমছে; ঢাবিয়ানও মালটি খুলে কোনভাবে চলছেন; ড: এম এ আলী নেই হয়ে গেছেন!
কিছু কিছু লেখক দেশের এই ধরণের পরিস্হিতে ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যান; আবার কিছু কিছু ব্লগার যাদের পাঠক থাকে না, তারা পরিস্হিতিকে দোষ দিয়ে নিজকে একটু হালকা করার জন্য পোষ্ট দেন, তিনি চলে যাবেন, বেকুবদের সাথে পোষাচ্ছে না। যাকগে, ১৭ জনের প্রাণ যাওয়ার পর, ব্লগিং করার জন্য অনেক সাহসের দরকার হয়েছিলো; এবারও সাহসের পরীক্ষা চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯