সকালের দুটি ঘটনা!
১/
এক্সিম ব্যাংকে একজন একটা চেক দিয়েছিল, টাকা তুলতে গেলাম শান্তিনগর শাখায়, বেশ বড় স্পেস কিন্তু পুরাই ফাঁকা, কাষ্টমার আমি একাই, ৬০ হাজারের চেক কাউন্টারে দেয়ার পরে একজন একেক দিকে চায়, হিজাব পরা ক্যাশিয়ার কয়েকজন, আবার আমার দিকেও, আমাদের সবার হাসি মুখ, মুচকি হাসি! কাউন্টার থেকে বলা হল, মতিঝিলের বড় বাঞ্চে যান আবার আমার হাসি দেখে মনে হয় দয়া হল! আমাকে সহকারী ম্যনেজারের কাছে নিয়ে গেল, উনারা সালাম দিয়ে হাসি মুখে বললাম, টাকাটা দিন, দরকার, প্রবাসীর স্ত্রীর একাউন্ট আপনাদের কাছে, তার অনেক টাকা জমা আছে! বেচারার মাথা নিচু করে বসে আছে, আমার দিকে তাকাতেই আমি হেসে দিলাম! দুইজনেই হাসছি! এক সময়ে প্রতিদিনের হাজার হাজার কাষ্টমারে গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগত!
এই যে ব্যাংক গুলো যারা নষ্ট করলো, এদের পরিচালনা পরিষদে যারা ছিলো, যারা এই ব্যাংক গুলোর মালিক, যাদের এখনো হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, যারা লোন নিয়ে ব্যাংক শুন্য বানালো, বিদেশে পাচার করলো, তাদের কি কিছু করা যায় না! অন্তত এই শু/য়ো/র/গু/লো ধরে ধরে কি রাস্তায় ল্যাংটা করে রাখা যায় না!
২/
সকালের নাস্তা না করার কারনে সাড়ে ১১টার দিকেই আমার সেই সাজিদা খাবার ঘরে গেলাম, উদ্দেশ্য একবারেই দুপুরের খাবার খেয়ে অফিসে উঠে পড়ি যেন দুপুরে আর নামতে না হয়! না, তখনো দুপুরের খাবারের ভাত আসে নাই, বারটা সাড়ে বারটার দিকে সব আসে! কি করা ভাবতেই এক ছোটু এসে বলল, খুছুড়ি আর ডিম খান, সকালের নাস্তার জন্য বানানো! আমি রাজী হয়ে গেলে খাবার এল, খিচুড়ি কিছুটা গরম আছে, ডিম একদম ঠান্ডা, মনে হয় মাইনাস ডিগ্রীতে পড়ছে হতভাগা!
খাবারের মাঝামাঝিতে আরেক ছোটু এসে জানালো, গতকাল এক জোড়া ছেলে মেয়ে এসে খেয়েছে, তারা নাকি আমার পোষ্ট দেখে খেতে এসেছিল, ওদের আমার পোষ্টের কথা বলেছিল, আমার কথা জিজ্ঞেস করেছিল! আরো জিজ্ঞেস করাতে জানালো, কয়েক পদের ভর্তা ও গরুর গোস্ত খেয়েছিলেন উনারা!
উপসংহার - দুনিয়া সুন্দর, তবে কিছু মারাত্বক অর্থলোভীর জন্য অনেকের ভাগ্য নষ্ট হচ্ছে! আমার খুব জানতে ইচ্ছা হয়, এই যে ব্যাংক থেকে হাজার কোটি নানাভাবে নিজের করে নিল, লোনের নামে চুরি করল, নানান পথে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা কামালো, আচ্ছা এরা কি ধোঁয়া উঠা এক প্লেট ভাত, সাথে ভর্তা ভাঁজি ঝাল ঝাল এক বাটি গরুর গোশত খেতে পারে!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭