এই মহুর্তে "আওয়ামী লীগ" শব্দটা অনেকটা বিষাক্ত ও অভিশপ্ত; "বাংলাদেশের স্বাধীনতা" কথাটা উচ্চারিত হলে, উহার সাথে ১টি সম্পুরক রাজনৈতিক দলের নাম আসবে; উহা কিন্তু জামাত, মুসলিম লীগ কিংবা বিএনপি হবে না।
ব্লগে আওয়ামী লীগ নিয়ে আজগুবি, বেকুবী ও অর্থহীন কথাবার্তা বলতেন ব্লগার হাসান কাল বৈশাখী; মনে হয়, উনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন কোন এক সময়। অবশ্য উনার আওয়ামী লীগটা ছিলো শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের আওয়ামী লীগ। অনেকে আওয়ামী লীগ বলতে শেখের আওয়ামী লীগকে বুঝান।
আমিও এখনো আওয়ামী লীগের সাপোর্টার; আমার আওয়ামী লীগটার শুরু মওলানাকে নিয়ে। আমি যদি ব্লগে টিকে থাকি, আপনারা আওয়ামী লীগ নিয়ে আরো অনেক অনেক পোষ্ট পড়বেন; আমাকে দেশদ্রোহী বললে সেটা হবে দেয়ালের সাথে কথা বলার সমান।
মুসলিম লীগের অধীনে পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর, বাংগালীদের রাজনৈতিক অধিকার সংরক্ষণ ও উহার উন্নয়ন সাধনের জন্য আওয়ামী লীগের মতো ১টি দলের দরকার ছিলো; সময়ের প্রয়োজনে দলটির জন্ম হয়েছিলো ততকালীন বুদ্ধিমান বাংগালীদের হাতে, যাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মওলানা। মওলানা ছিলেন মনেপ্রাণে বাংগালী, বিজ্ঞ মানুষ।
দল বানালে সেখানে সব ধরণের মানুষ এসে জড়ো হয়; কিন্তু কিছু মানুষ দল নিয়ে ষড়যন্ত্র করে থাকেন, দলকে নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করেন; ভাসানীর দলেও এই রকম অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিলো; এবং অবশেষে এসব লোকজন মওলানাকে দলছাড়া করে ছাড়ে। যারা মওলানাকে দলছাড়া করে, তাদর মাঝে অন্যতম ছিলেন কলকাতার কসাই হোসেন শহীদ সোহরোওয়ারদী, মানিক মিয়া ও আমাদের শেখ।
শেখ আমাদের দেশের পড়ালেখাকে ধ্বংস করে গেছেন ছাত্রলীগের হাতে ক্ষমতা দিয়ে; বাংগালী ছাত্ররা পড়ালেখা করে না তেমন; এরা নকল , প্রশ্নফাঁস ও পরীক্ষা না দেয়ার পক্ষে ছিলো সব সময়।
সময়ের বিবর্তনে, দলটি শেখের হাতে চলে আসে; শেখের সমস্যা ছিলো, তিনি দলের শক্তি হিসেবে জনগণকে না ভেবে, ভাবতেন ছাত্রদের; এই ভাবনা কাজ করেছে, উনি সেই মই বেড়ে তরতর করে আকাশে উঠেছিলেন; কিন্তু আকাশ থেকে নামার সময় ছাত্রদের উনি খুঁজে পাননি।
আমাদের "নতুন স্বাধীনতা"র বেলায়ও তাই ঘটেছে, ছাত্ররা আমাদেরকে নাকি "নতুন বাংলাদেশ" দিয়েছে; তাতে হয়তো "মুক্তিযোদ্ধা"ও আছে; সম্ভবত: জাতির পিতাও আছে।
১৯৭১ সালের পর, ভয়ংকর ঘটনা ঘটায় আমাদের মিলিটারী, জিয়ার নেতৃত্বে মিলিটারী শেখকে হত্যা করে; সময়ের সাথে দলটি চলে যায় উনার মেয়ের হাতে; উনার মেয়ে রাজনীতি না'জানার কারণে, বাবা মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে সংসারী করে দেন; কিন্তু জিয়া উহাকে রাজনীতি নিয়ে আসে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২