এবারের আন্দোলনে যেসব পরিবারের লোকজন নিহত ও আহত হয়েছে, তাদের জন্য সহমর্মিতা রলো।
বেকারত্বের সমাধান ১টা, চাকুরী সৃষ্টি করতে হবে।
এই আন্দোলনটা কোটাকে (অধিকার ও যোগ্যতা অনুসারের চাকুরীর সুযোগ ) কেন্দ্র করে হলেও, মুল সমস্যা হলো, প্রয়োজনের তুলনায় চাকুরী খুবই কম; চাকুরীর সংখ্যা কম হলে নিয়োগে ভয়ংকর দুর্নীতি হয়, তখন কোটা কাজ করে না; আমাদের দেশে কোটা কখনো সঠিকভাবে কাজ করেনি।
দেশে চাকুরী সৃষ্টি করা হয়নি ৫৩ বছর। যারা বড় বড় ( পিএম, অর্থমন্ত্রী, ব্যাংকের গভর্ণর, সেক্রেটারীরা, প্রেসিডেন্ট ) চাকুরী করেছে গত ৫৩ বছর, যাদের উপর দায়িত্ব ছিলো চাকুরী সৃষ্টি করার, তারা চাকুরী সৃষ্টির জন্য দরকারী ক্যাপিটেল অপচয় করেছে, ডাকাতী করে নিয়ে গেছে। আমাদের বৈদেশিক ঋণের সমপরিমাণ টাকা লুট হয়েছে সরকারের তহবিল থেকে।
আজকের দিনে, চাকুরীর সেভিংস কিংবা পারিবারিক সম্পদ থেকে কেহ শিল্প-কারখানা গড়তে পারার কথা নয় , ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়; ঋণের টাকা বন্দী হয়ে গেছে ডাকাতদের হাতে; ফলে, ক্যাপিটেলের অভাবে চাকুরী সৃষ্ট হয়নি, এবং শীঘ্রই চাকরী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। চাকুরী সৃষ্টি না'হলে জাতি অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে মুক্ত হবে না।
৩য় বিশ্বে বেশীরভাগ চাকুরী সৃ্ষ্টিতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হয়: হয় সরকারী উদ্দ্যোগে কলকারখানা হয়, কিংবা সরকার সুনিদ্দষ্ট নীতির মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টরকে চাকুরী সৃষ্টি করতে ক্যাপিটেল ও অন্যান্য সাহায্য দেয়। আমাদের সরকারগুলো কোনভাবে দরকারী পরিমাণ চাকুরী সৃষ্টির চেষ্টা করেনি; কারণ, ৫৩ বছর বিবিধভাবে কিছু শ্রেণী দেশের ক্ষমতাকে ক্যাপিটেলকে কুক্ষিগত করে, জাতির সম্পদ লুন্ঠন করেছে।
এখন কোটার কথা ভুলে গিয়ে, সবাই মিলে ভাবুন, কিভাবে চাকুরী সৃষ্টি করা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:৪৬