পৃথিবীর ইতিহাসে নানা বিপ্লবে অনেক দেশ জাতির ইতিহাস বৈপ্লবিকত্ব অর্জন করেছে! তার ধারাবাহিকতা শেষ দিন পর্যন্ত চলবে আশাকরা যায়। যেমন চৈনা বিপ্লব, রাশিয়ার লাল বিপ্লব, ইরানী বিপ্লব, কুরিয়ান বিপ্লব, আমাদের সর্বহারাদের বিপ্লব! এন্টি সর্বহারা বাংলা ভাই বিপ্লব ইত্যাদি। তবে ২০০৮ সালে ইরাকি সাংবাদিক জাইদি যে জুতা বিপ্লব শুরু করেছে তার চর্চা আজ পৃথিবীর আনাছে কানাছে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদী বিশ্বের মানুষ বদ শাসকদের ক্ষমতার দম্ভে ভরা অন্যায় শোষনের বিরুদ্ধে জাইদি তত্বের প্রয়োগ করে যাচ্ছে। বুশ দিয়ে যে জুতা বিপ্লব ইরাকে শুরু হয়ে ছিলো তা ইউরোপ ছাড়িয়ে আজ ভারত উপমহাদেশে এই পর্যন্ত অনেক শাসক জুতা বিপ্লবের বাণী শুনেছে দেখেছে এবং উপভোগ করেছে । যে সব শোষক বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রামী বৈপ্লবিক কমরেড জাইদির সূত্র প্রয়োগ করা হয়েছে তারা হলেন
১.লুকিং ফর ট্যাগরা (ওয়ার অন টেরর) বর্ণবাদী সূত্রের প্রবক্তা যালিম শাষক শোষক জনাব বুশ।
২. সমাজতন্ত্রের নামে পুঁজিতন্ত্রের খেলাঘরের শাসক জনাব ওয়েন জিবাও।
৩. এক কালের জোট নিরপেক্ষ ভারত এখন সাম্রাজ্যবাদের গুন গানের খাঁটি নিখাদ চামচা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব চিদ্মারাম।
৪. মুসলিম বিদ্বেষী বাবরি মসজিদ ধ্বংসের রুপকার আদা মরিচ জনাব এল কে আদভানি।
৫. সুশীল সাবেক বিশ্ব ব্যাংকের কেরানি বর্তমানে আমেরিকার পা চাটা ভারতীয় নাইপতা
প্রধান জনাব মনমোহন সিং (ত্রিপাটি)
৬....... এভাবে দিন কে দিন সুমহান বিপ্লবের আলো জ্বলে উঠছে সীমানা ছাড়িয়ে। এই জুতা বিপ্লবের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। তাই জাতিসংঘের কাছে আকুল আবেদন ২০০৮ সাল কে জুতা বিপ্লবের বছর এবং ডিসেম্বার মাসের ১৫ তারিখ কে বিশ্ব জুতা বিপ্লব দিবস হিসেবে ঘোষনা বা স্বীকৃতি দেয়া।
আসুন আমরা সবাই এই দাবী আদায়ের জন্য রাজপথ নৌপথ আকাশ পথে দিয়ে এ দাবী সারা বিশ্বে পৌছে দিই। সাথে সাথে সংগ্রামী ভাইয়েরা কমরেড জাইদের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য ব্লগীয় সশস্ত্র সংগ্রাম এবং সাক্ষর অভিযান চালিয়ে যাই
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:৪৪