গেলামতো বছর খানেক পর।। এই একটি বছর একদিকে কেটেছে নিরূদ্বেগ, ভয়হীন (একমাত্র চিন্তা আপনজনদের অসুস্থতা ছাড়া )।। যাওয়ার পরই বদলে গেলো সব।। দূর্ঘটনা(এখানেও যে হয় না, তা না।। তবে পার্থর্ক থাকে), ছিনতাই, “অহেতুক” একটা ভয়, সাথে পুরানো শত্রুতারও।। ঘনিষ্ট বন্ধুদের সংখাতো কমেই গেছে স্বাভাবিক ভাবেই।। বিরোধীরাও অনেকে নেই।। ভয় ছিলো যে কেউ ক্ষতি করতে পারে।। আর আমার বয়স হলেও যৌবনের সেই উদ্দাম আর উত্তাল দিনগুলি এখনো পিছু টানে।। ঘনিষ্ট যাদের পেয়েছি ,তাদের তেমন সময় হয় নি স্বভাবতই।। কেউ ব্যস্ত সংসার-ব্যাবসা আর কাজ নিয়ে।। বাকীরা ব্যস্ত তাদের “নূতন সমাজ” নিয়ে।। মনে পড়ছে খোকা ,পিলটা আর টম আর গোসাই, চান্দিদের কথা।। যাদের একসময় আমি ভার্সিটির বই, বাচ্চার দুধ আর বউয়ের শাড়ি পর্যন্ত কিনে দিতাম।। দিয়েছিলাম এলাকার নির্বাচনের সব ক্যাম্পের বেড়া দিয়ে ঘর তুলতে সাহায্য করে।। আরো অনেক আছে, মিছেমিছি বললাম না লেখাটা বড় হয়ে যাবে বলে।। কাউকে মৃতুর হাত থেকে বাচিয়েছি, কেউবা আমার সাথে এগিয়ে গেছে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে।। সেসময় শপথ না নেওয়া সত্বেও, একে অপরের বিপদে এগিয়ে যেতাম।। আজ আমরা শেষ বেলায়।। টান আছে সংসারের, সন্তানদের, মৃত্যুকেও, যেমনটা আমারও।। তাই কাউকে দোষ দেই না।। সব দায়ভাগ বয়সের।। যারা সুযোগসন্ধানী তারা উপদেশ কান পেতে শুনি।। আর ভাবি।। আজ অনেকে প্রতিষ্ঠিত।। গাড়ি-বাড়ির মালিক।। আর আমি কি না সংসারকে টিকিয়ে রাখতে (এতো কিছু করার পরও) পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন!! ’৭৭ থেকে!! মানুষের জীবনে আর থাকে কি??
আপনজনরা আমার স্বভাব জানে, তাই একেলা ছাড়ে নি।। ভাগনা-ভাগ্নী,ভাতিজী, স্ত্রী বা বোনদের কেউ না কেউ থাকতো আমার সাথেই।।
বাধ্য হয়েই এড়িয়ে চলতে হয়েছে অনেক কিছুই, মন টানা সত্বেও।। পুরানো ইতিহাস ঘাটতে কার না ভাল লাগে?? তবুও চলেছি সবার ইচ্ছেমতই।। বানিজ্যমেলায় তো ১০/১২জন, বই মেলায়ও গিন্নী (যে কি না একটা বইও পড়ে দেখে না।। শুধু সাথে ছিলো,পুরানো কারো সাথে মিলি কি না দেখতে।।
তবে পরিজনদের আপ্যায়ন মন ছুয়ে যাওয়ার মত।। সব মতভেদ ভুলে সবাই নিজের মতই করে নিয়েছিলো।। সুস্থতায়,অসুস্থতায়।। আমিই ছিলম সব আসরের মধ্যমনি।। ভাইটি প্রথমেই বরন করে নিলো আগমন,,নববর্ষ,কয়েকদিন পর তার মেয়ের জন্মদিন।। বোন করলো ভাগনীর বিয়ের কথা ,জ্যাঠাইসের ছেলে করলো এটাও।। সবারই ইচ্ছে আমি যেন আরো কিছুদিন থেকে যাই।। অথচ পারি নি কারন মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ১৫দিন এক্সটেশন করেছিলাম বলে।। দূ্র্ভাগ্য আমার।।
আর খাবার-দাবার?? শীতকাল বলে পিঠা আর খাবারের বাহুল্যে গ্লকজের পরিমান ১৫ থেকে ১০য়ের নীচে নামেই নি (এর দায় আহমেদ জী এস)।। দুঃখিত জী এস আপনাকে দায়ী করছি বলে।। একেও ফান বলে ভাবুন।।
এবার কিন্তু পরিবার থেকে ভাল রেন্সপন্স পেয়েছি।। হয়তো সবারই বয়স হয়েছে।। এখন শুধু হারানোর ভয়।। এই ঝুকি কেউ নিতে চায় নি।। আসলে সব পেয়েছি কিন্তু সময়কালে না।। আরো আগে পেলে এখন আর কাউকে নিঃসঙ্গ হতে হতো না।। গিন্নীটা আসার পর থেকেই অসুস্থ।। অথচ আমি ১০ থেকে ১২টেষ্ট করিয়েও করিয়েও কিছু পাই নি।। ডাক্তার অল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে।। তারপরও??
বোন/ জ্যাঠাইস দুঃখ করছে।। কিন্তু আমার কিছু কি করার আছে??
দেশটাতে ঘুরে এলাম।। যানযট এখানেও থাকে।। কারন সেই নূতন রাস্তা আর পুরো কুয়েতব্যাপি নূতন ফ্লাওভার।। সুতরাং নিজ দেশের যানযটের কথা বলা বৃথা।। তবে ভাবছি দেশেই কি এটা প্রকট, ভুল নীতির কারনে!! আজ পত্রিকায় দেখি হলমার্ক,বেসিক ব্যাংক,শেয়ারবাজার,সোনালীও সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ার কথা।। সমাধান হয়েছে কি একটিরও?? সাথে আরো অনেক !! আসলেই দূর্ভাগা আমাদের দেশ।। অনেককেই দেখেছি আজ ক্ষমতাসীনদের হাতের পুতুল হতে।।কত নাম বলবো?? নামগুলিতেই শুধু পাতা ভরে যাবে।। অথচ যারা সত্যিকার দেশপ্রেমিক, তারা আজ নির্বাক।।
এতো ইস্যু থাকা সত্বেও আজ বিরোধীদল নির্বাক।। কারন লুলা মানুষের হাটতে পারে না,তার কাজই ভিক্ষা।।
দেশের “বাহ্যিক” উন্নতি যে হচ্ছে না, তা আমি অস্বীকার করতে পারছি না।। কিন্তু তেমনই পারছি ন দূর্নীতির কথা।। ওয়ার্ড কমিশনার থেকে কোথায় নেই?? এরশাদ এটাকে সার্বজনীন করেছে, আর বর্তমান সরকার করছে তৃনমূল পর্যায়ে।। আজ একজন নেতার ছেলেও ওসিকে ধমকাতে শাহস পায়।। তাও স্থানীয় পর্যায়ের!!
দেশটা কেমন যেন থমকে আছে।। সব আছে, তবু কিছই নেইর মত।। আসলে আমরা বোধহয় আগে চলার চেয়ে পিছনে হাটতেই পছন্দ করি বেশী?? ভুতের মত!!
আরো অনেক কিছূই বলার ছিলো, বয়স বাধা দিলো।। তাই এখানেই আজকের মত কথা শেষ।।
বোকা মানুষের মন্তব্যে এটা লেখা।। উত্সগ তাকেই।।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪