মেইল অ্যাকাউন্ট:
আমরা সবাই জনপ্রিয় ইমেইল সার্ভিস ইয়াহু বা জিমেইল সার্ভিস ব্যবহার করে থাকি । কিন্তু ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এগুলো না ব্যবহার করে আপনার প্রতিষ্ঠানির নাম যুক্ত ঠিকানা । অর্থাৎ @yahoo.com না হয়ে @your_com_name নাম হোক । এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটাররা সহজে যোগাযোগ করতে পারবে । আপনার সাথে এই যোগাযোগকে চিন্তা করতে পারেন পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে যোগাযোগ হিসাবে । এক্ষেত্রে জনপ্রিয় দু’টি প্রটোকল হল SMTP (Simple Mail Transfer Protocol) আর POP3 (Post Office Protocol Version 3) । যদিও এ দু’টিই প্রটোকল টিসিপি(ট্রান্সমিশন কন্ট্রোল প্রটোকল ) ব্যবহার করে, কিন্তু তাদের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান আছে । SMTP ক্ষেত্রে মেইল প্রেরক এবং গ্রহীতা দুজনকেই অনলাইনে থাকতে হয় । আর POP3 এর ক্ষেত্রে মেইল সার্ভারে জনা থাকে । পরে রিসিভার সার্ভারে লগইন করে মেইল ডাউলোড করে নেয় । ওয়েব হোস্টিং করার সময় অবশ্যই জেনে নিবেন : কোন প্রটোকল ব্যবহার হবে, কতটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট এবং প্রতিটি অ্যাকাউন্টে কতটুকু জায়গা দেয়া হবে । অনেক সময় আনলিমিটেড ই-মেইল অ্যাকাউন্ট দেয় সেসব প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য কতটুকু জায়গা দেয় ভালভাবে দেখে নিবেন ।
কন্ট্রোল প্যানেল :
ওয়েব হোস্টিং করার সময় কন্ট্রোল প্যানেল সম্পর্কে অবশ্যই ভালভাবে জেনে নিবেন । এর মাধ্যমে আপনি ওয়েব হোস্টিং অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন সেটিং সহজে করতে পারবেন । এর মাধ্যমে ওয়েব হোস্টিং অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন সেটিং সহজে করতে পারবেন । এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পরিসংখ্যান জানতে পারবেন, ডেটাবেইজ ম্রানেজ করতে পারবেন । সাব ডোমেইন, ইমেইল অ্যাকাউন্ট কনফিগার ও ম্যানেজ করতে পারবেন ।
সাধারণত সব ওয়েব হোস্টি প্রোভাইডারই তাদের ইউজারদের কন্ট্রোল প্যানেলের সুবিধা দিয়ে থাকে । অনেক কন্ট্রোল প্যানেল সফটওয়ার আছে, তাদের মধ্যে জনপ্রিয় তিনটি হল CPanel, Ensim এবং Plesk । CPanel-ই সবজেয়ে জনপ্রিয় এবং বেশির ভাগ ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার এটি ব্যবহার করে থাকে । (পরে কন্ট্রোল প্যানেল সম্পর্কে একটি পোষ্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে ।)
প্রয়োজনীয় তথ্য ও ঠিকানাঃ
আপনি আপনার ব্যক্তিগত বা কোম্পানির ওয়েবসাইটটি হয়তো কোনো ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন ফার্ম বা ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির মাধ্যমে করালেন তখন এ সংক্রান্ত বেশ কিছু ইনফরমেশন জেনে নেয়া জরুরি । কারন, কোনো সময যদি এ ফার্মটি বন্দ হয়ে যায় বা ব্যবসায় পরিবর্তন করে, তখন আপনার ওয়েবসাইটির ঔপর আপনি নিয়ন্ত্রন হারাবেন, এক বছর পর আইপি এ্যাড্রেস রিনিউ করা না হলে তা হারিয়ে যাবে । সেই সাথে হারিয়ে যাবে আপনার এই ওয়েবসাইটটি । আবার যদি আপনার ওয়েব হোস্টিং কোম্পানির সেবায় সন্তুষ্ট না হয়ে অন্য কারো সার্ভিস নিতে চান, তাহলেও আপনাকে এ তথ্যগুলো জানতে হবে । আপনার ডোমেইন নেমটির দ্বায়দ্বায়িত্ব একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের ওপর ন্যাস্ত করে রেজিস্টার । এই ডোমেইন নেম সংক্রান্ত সব বিষয়ে সবচেযে ক্ষমতাবান এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর । ডোমেইন নেমের ইউনিক নেম নিশ্চিত করা, তার ফিজিক্যাল এ্যাড্রেস, whois ডেটাবেইজে তার এ্যাড্রেস, ইমেইল, টেলিফোন নম্বর পরিবর্তন এ ধরনের সব কাজের ক্ষমতা থাকে এ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের উপর । কাজেই ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন এবং ওয়েব হোস্টিং করার সময় এর কন্টাক এ্যাড্রেস অবশ্যই জেনে নিবেন । আপনার ডোমেইন নেম যে সার্ভারে ব্যবস্থাপনা করা হয়, তাকে ম্যানেজ করে এই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর । নেমসার্ভারের সার্বক্ষণিক নিরপত্তা, পরিবর্তন, কনফিগারেশন করা এর দায়িত্ব । আপনার নেমসার্ভার ক্র্যাশ করলে আপনার ওয়েবসাইট কেউ একসেস করতে পারবে না । তাই এ সংক্রান্ত যে কোন সমস্যায় যোগাযোগ করার জন্য এদের এ্যাড্রেস জেনে রাখতে হবে ।
শেষ কথা :
প্রতারণার হাত থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য যে জিনিসগুলো জেনে রাখবেন সেগুলো হলো- আপনার রেজিস্ট্রারের ইনফরমেশন, ওয়েব সার্ভারের কন্ট্রোল প্যানেলে আপনার ওয়েব সাইট একসেস করার জন্য আইডি এবং পাসওয়ার্ড , এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টেকনিকাল ও বিলিং কন্ট্রাক্ট ।
১ম অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
৩য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
৪র্থ অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।