যারা উইন্ডোজ ব্যবহার করেন তারা প্রায় সবাই Fatal error যেমনঃ “Enter to return to Windows or press Control-Alt-Delete to restart your computer. If you do this you will lose any unsaved information in all open applications."-এর সাথে পরিচিত । আসুন আমরা জেনি নিই কিভাবে সিস্টেম ক্যাশ হয় এবং তার প্রতিকার ।
১) হার্ডওয়ার কনফ্লিক্টঃ
উইন্ডোজ ক্র্যাশের এক নম্বর কারন হচ্ছে হার্ডওয়ার কনফ্লিক্ট । প্রত্যেকটি হার্ডওয়ার ডিভাইস অন্য ডিভাইসের সাথে interrupt request channel (IRQ) মাধ্যমে সংযুক্ত থাকে । প্রত্যেকটি ডিভাইসের জন্য একটি অনন্য IRQ থাকে । যেমনঃ কীবোর্ড সাধারণত IRQ1 এর সাথে আন্তসংযুক্ত থাকে । প্রিন্টার সাধারণত IRQ7 এর সাথে আন্তসংযুক্ত থাকে ।
যদি কোন পিসিতে অনেকগুলো ডিভাইস থাকে অথবা ডিভাইসগুলো সঠিকভাবে ইনস্টল করা না হলে তারা একই IRQ নাম্বার শেয়ার করতে চায় । যখন ইউজার একই সাথে উভয় ডিভাইস একই সময়ে ব্যবহার করতে চায় তখন সিস্টেম ক্র্যাশ করে ।
হার্ডওয়ার কনফ্লিক্ট পরীক্ষা করার জন্য My Computer-এ ডান বাটনে ক্লিক করে Manage সিলেক্ট করুন । Computer Management ডায়লগ বক্স আসবে, সেখান থেকে Device Manager সিলেক্ট করুন । যদি একটি ডিভাইসে ইনস্টলেশনে সমস্যা থাকে তাহলে প্রায়ই একটি হলুদ ‘!’ Device Manager-এর description-এ দেখা যায় ।
এই ডিভাইসটিকে আনইনস্টল করে পুনরায় ইনস্টল করুন ।
২) খারাপ RAMঃ
RAM (Random-access memory) খারাপ থাকলে স্ক্রীন নীল রঙের হয় এবং Fatal Exception Error মেসেজ প্রদান করে । অনেক সময় এটির নষ্ট অংশকে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হয় । Fatal Error এর একটি অন্যতম কারন চিপসের সাথে RAM-এর mismatch । যেমনঃ ৭০ ন্যানোসেকেন্ডের র্যামের সাথে ন্যানোসেকেন্ডের র্যাম এক সাথে সেট করলে কম্পিউটারের গতি হ্রাস পায় । এটি প্রায় সিস্টেম ক্র্যাশ করে যখন র্যামকে বেশী কাজ করতে হয় ।
এই সমস্যা সমাধানের একটি উপায় হল BIOS সেটিং-এ গিয়ে র্যামে wait state বৃদ্ধি করতে হবে । আর একটি সমাধান হল র্যামগুলো সঠিকভাবে সাজাতে হবে অথবা কিছু র্যাম বাদ দিতে হবে (যেগুলো একই নয) ।
৩) BIOS সেটিংঃ
প্রতেকটি মাদারবোর্ড একটি নিদির্ষ্ট সীমার সেটিং দিয়ে ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয় । এই সেটিং একসেস করতে হলে সাধারণত F2 অথবা Delete কী বুট আপের সময় কয়েক সেকেন্ড প্রেস করে পরিবর্তন করা যায় । BIOS সেটিং-এ পরিবর্তন করার সময় সঠিকভাবে সেটিং না করলে অনেক সময় ইরর দেখা দেয় । BIOS সেটিং-এর একটি সাধারণ হচ্ছে CAS latency. পুরাতন EDO (extended data out) র্যামের CAS latency হচ্ছে ৩ এবং নতুন র্যামের CAS latency হচ্ছে ২ । এই CAS latency ভুল ভাবে সেটিং করলে র্যাম লক হযে যায় এবং ডিসপ্লে স্থির হয়ে যায় । Microsoft Widows অন্য বায়োসের চেযে ভালোভাবে IRQ নাম্বার allocating করতে পারে । যদি সম্ভব হয় তাহলে IRQ নাম্বার বায়োসে গিয়ে অটো সেট করে দিন ।
[.....................................চলবে.................................................]