somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছড়াপ্রস্তুত কারখানা : সায়েম মুন, কালপুরুষ, সৈয়দ জামাল, রাগ ইমন ও সিরিয়াস'র ছড়ামণ্ডলি:):):)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকালকের এ পোস্টটাতে ছড়া প্রস্তুতকালে অনেকেই র' মেটেরিয়াল যোগান দিয়েছিলেন। জনস্বার্থে এবং দেশ ও জাতির জ্ঞাতার্থে এখানে পুস্তিকাকারে তা পুনর্মুদ্রিত করা গেলো:):)


সায়েম মুন :

আমার বাড়ির পাশে ছিল ছোট্ট এক নদী
সেই নদীতে সাঁতার কাটতাম আমি নিরবধি


কালপুরুষ :

তখন আমার বই ছিল না, দাদুর গলা ধরে
সন্ধ্যাবেলা কাটিয়ে দিতাম চাঁদের ছড়া পড়ে।

এখন আমি অনেক বড় নইতো ছোট খোকা
বউয়ের কাছে তবুও আমি হয়ে গেছি বোকা।

অতি চালাকের গলায় দড়ি যখন ডেকে বলি
ঝাঁঝ দেখিয়ে বলে আমায় বাপের বাড়ি চলি।

মান অভিমান মিটিয়ে যখন পাশাপাশি বসি,
দুজন মিলে এই জীবনের হিসেব শুধুই কষি।

আর কি ফিরে পাবো সেই হারিয়ে যাওয়া দিন,
মনটা ছিল প্রজাপতি আর ভাবনাগুলো রঙিন।


সৈয়দ জামাল :

এমন ছড়া আমার মনে বাজিয়ে দিল বীণ
আবার আমি চাইছি ফিরে ছোট্টবেলার দিন


রাগ ইমন :

আমার এখন মন টেকে না ইটপাথরের ঘরে
মন ছুটে যায় কিশোরবেলার ধু-ধু তেপান্তরে

তোমরা কি কেউ সঙ্গে যাবে? জলদি বলো নাম
বেরিয়ে পড়ো, বেরিয়ে পড়ো, ঐ দেখা যায় গ্রাম

গাঁয়ের পাশে ছোট্ট নদী, নদীর পাশে বন
এক পা এগোই, দুই পা পিছোই, মনের উচাটন!

বুক ভরেছে নদীর জলে, চোখ ভরেছে মেঘে
আমার অতীত ডাকছে আমায়, ধুম মায়া আবেগে

ইটপাথরের শেকড় আমার উপড়ে গেলো আজি
খুব বুঝেছি কবি, সবি তোমারই কারসাজি

কেমন তুমি ছন্দ টানে চললে নিয়ে আমায়
ভাসলে আমি, ডুবলে আমি, এখন কে আর থামায়?

যাই চলো যাই, এবার না হয়, হলেম গ্রামান্তরি
এই পাথুরে নগর জুড়ে ইচ্ছে পালের তরী!


সিরিয়াস :

ইচ্ছেপালের তরী ভাসুক ইচ্ছেনদীর জলে
একটা ঘুঘু উঠুক ডেকে নগরকোলাহলে,
দূর সময়ে ওপারে এক একলা কিশোর ডাকে
জোনাক জ্বলা রাতের ঘ্রাণে কেবল বিভোর থাকে
আমাকে নাও আমলকি গাছ, আমাকে নাও ঘুড়ি
শালিক পাখির ডানা হয়ে রৌদ্র মেখে উড়ি।


সবুজ অঙ্গনের পুরো ছড়াটিরই আদল পাল্টে ফেলা হলো : পুনর্মিলন


তখন আমার অল্প বয়স, কতোই বা আর হবে
মা-চাচি আর খালা-ফুপুর কোল ছেড়েছি সবে
যখন আমি তোমার মতো ছোট্ট ছিলাম নিজে
ইচ্ছে হলেই ঘুরে বেড়াই বাবার কাঁধে চড়ে
সকালবেলা বিছনাখানি থাকতো রোজই ভিজে
ওসব এখন বলতে গেলে লাজ নামে চোখ ভরে
ছোট্ট হলেও বলতে পারি কাজের ছিল ধুম
যেমন ধরো, নাওয়া-খাওয়া-খেলনা এবং ঘুম

তখন আমার বই ছিল না, দাদুর গলা ধরে
সন্ধ্যাবেলা কাটতো মজার চাঁদের ছড়া পড়ে
তোমরা কি কেউ কাগজ দিয়ে নাও বানাতে পারো?
উড়োজাহাজ? ঢাউস-ঘুড়ি? কত্তো কিছু আরো?
গাছের ডালে, কিংবা ধরো ঘরের পাটাতনে
দোলনা বেঁধে দোল খেয়েছো আপন মনে মনে?

আমার ছিল ঘরের পাশে ছোট্ট চিকন খাল
তার পানিতে ভেসে গেছে আমার বাল্যকাল
পূবের ধারে ছোট্ট পুকুর, ঠাণ্ডা ছিল জল
বর্ষাতে তায় লগ্গি ফেলে খুঁজতে হতো তল

একদিন এক বকের বাসা হঠাৎ দিয়ে হানা
পেয়েছিলাম চোখ-না-ফোটা একটি ছোট ছানা
ডোবার ধারে ডাহুকপাখির বিষম আনাগোনা
ধানের শিষে ফাঁদ পেতেছি, কিংবা মাছের পোনা

তোমার কি ভাই লাটিম ছিল? আর কী ছিল, বলো?
বড়শিতে কি মাছ ধরেছো? ঝাঁকিজাল, বা পলো?
আমার ছিল উদোম গায়ে নাচনতোলা দিন
ধানের ক্ষেতে সবুজ দুপুর, বিকেলটা রঙিন

এসব কথা শুনে তোমার ইচ্ছে হতে পারে
সেই যে ছিল সোনার জীবন- কোথায় পাবো তারে?
কেমন তোমার দিন কেটেছে? কোন্‌ গাঁয়ে? কোন্‌ দেশে?
কোথায় তোমার মায়ার জীবন ঘর বেঁধেছে শেষে?

আমার এখন মন টেকে না ইটপাথরের ঘরে
মন ছুটে যায় কিশোরবেলার ধু-ধু তেপান্তরে
তোমরা কি কেউ সঙ্গে যাবে? জলদি বলো নাম
বেরিয়ে পড়ো, বেরিয়ে পড়ো, ঐ দেখা যায় গ্রাম
তোমরা ভাবো- আমিও আবার গ্রাম দেখেছি নাকি?
মিথ্যে না তা- মনের ভেতর গ্রামেই পড়ে থাকি

খুব বুঝেছি খুব বুঝেছি তোমাদের কারসাজি
জলদি করো, দোস্তি মানো, দোস্তিতে হও রাজি
অবাক মধুর ছন্দদোলায় চলতে থাকো সবে
ভুলে যাওয়া নিজ ঠিকানায় আবার দেখা হবে




কৃতজ্ঞতা :

সায়েম মুন, কালপুরুষ, সৈয়দ জামাল, রাগ ইমন, সিরিয়াস
এবং
রাজসোহান, অ নু, নস্টালজিক, রোদ_ছায়া, আবদুল্লাহ আল মনসুর, শৈল্পিক ভাবনা এবং জাতি জানতে চায়
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১২
১৭টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×