লালমনিরহাটের সাবেক সহকারী কমিশনার অর্থাৎ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির কথা বলছি নিশ্চয় আপনারা ঊর্মির কথা জেনেছেন? মনের ভিতর যাই থাকুক সরকারী চাকুরী করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরকার বিরোধী কথা বলা যাবেনা এই জ্ঞান টুকু যার মধ্যে নেই সে কিভাবে ম্যাজিস্ট্রেট হয়? সরকারী বড় কোনো দায়িত্বে থাকলে ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশে কোন সুযোগ নেই, যদি জনবিরোধী তাহলে সুকৌশলে এড়িয়ে চলতে হবো সরকারী চাকুরীতে সাধারণ জনগণের মতো নিজেকে ভাবা যায় না। এগুলো বুঝতে হবে এবং এগুলোর সরকারী নীতিমালা আছে, তার তো জানার কথা? নাকি সে কোটা মোটা আম্লিগ করে চাকুেরী পেয়েছে?
উল্লেখ্য, শনিবার তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’ এখানে প্রধান উপদেষ্টা নিশ্চয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের কথা বলেননি; তিনি বোঝাতে চেয়েছে অতিতের অন্যায়, অবিচার, জুলুম, নির্যাতন, লুটপাট, সন্ত্রাস, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার, হলফ নামায় ভুমিহীন কিন্তু ১৫ বছর পর হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক ইত্যাদিকে বুঝিয়েছেন।
এরকম উর্মিরা প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বস্তরে ঘাঁপটি মেরে বসে আছে, গণহত্যাকারী স্বৈরাচারের পক্ষে এমন দাম্ভিকতা প্রদর্শনের দুঃসাহস যারা দেখাবে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করবে তাদের সমূলে উৎপাটন না করলে দেশটার আমূল সংস্কার সম্ভব নয়।
অতএব প্রশাসনে প্রধান দায়িত্ব হবে সর্বস্তরে ঘাঁপটি মেরে বসে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের খুঁজে খুঁজে বের করা। উপযুক্ত সময়ে কুত্তার লেজ সোজা করতে না পারলে বিপদ অতি সন্নিকটে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩