*** উন্নত বিবেক-বুদ্ধি ও কৌশলের জন্যই মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই সেরাদের সেরা হিসেবে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতা নির্মান করেছেন তারা হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার বা প্রকৌশলী। মানব সভ্যতায় যাদের অবদান অনস্বীকার্য।
*** শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারগনই অনুভব করতে পারেন তাকে কতটা চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে হয়”। কথাটা একেবারে মিথ্যে নয়। যে কোন কাজের প্লানিং ও ঝুকি এড়িয়ে সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সত্যিই চ্যালেঞ্জ বটে। তবে হ্যা, শ্রমিকদের ঝুকিপূর্ন শ্রমের যথাযথ মূল্যায়ন হওয়াটাও জরুরী বিষয়। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না, আমাদের দেশের নির্মান শ্রমিকরা এখনও রয়েছেন নিরাপত্তা ঝুকির শীর্ষে। প্রতিবছর বিভিন্ন দুর্ঘটনায় অসংখ্য নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু ইঞ্জিনিয়ারদের সুষ্ঠু প্লানিংকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না বরং তাদের যোগ্যতার দিকেও আঙ্গুল তুলে দেয়।
*** এবারে আসি বাঁশ প্রসঙ্গে। গাইবান্ধায় রডের পরিবর্তে বাশ দিয়ে বানানো হচ্ছে বিল্ডিং। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের প্রকৌশলী দোষ এড়ানোর অজুহাতে ঠিকাদারকেই দোষারোপ করলেন। প্রকৌশলীর দায়িত্বে অবহেলার কারনে আজম্ন চোর-বাটবারের দল ঠিকাদাররা এমন দুস্কর্মের দুঃসাহস দেখাতেই পারে তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
বিঃদ্রঃ দুর্নীতির শিকড় কোথায় কোথায় ছড়িয়েছে তা ভাবতেও গা শিউরে উঠবে সচেতন জনতার। গাঁয়ে চিমটি কেটেই দেখুন না!!!!
10/05/2016 খ্রিঃ, পাবনা।