কোটা সংস্কার বিষয়টির পক্ষে বিপক্ষে নানা জনের নানা মত আছে, আমি বিষয়টি দেখছি ডিজিটাল যুদ্ধের অংশ হিসেবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধটা ডিজিটাল যুদ্ধ হবে বলে ধারানা করেন অনেকে, এ যুগের প্রধান হাতিয়ার কিবোর্ড আর ভার্চুয়াল ডিভাইজ, আপনারা হয়তো লক্ষ করেছেন, বর্তমান বিশ্বেস যে ক'টি গণ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে প্রত্যেকটি ভার্চূয়াল মাধ্যমে, লক্ষ কোটি জনতা একটি ইস্যুতে একমত হয়ে রাস্তায় নেমেছে, প্রচলিত প্রচার মাধ্যমগুলি খবর পাওয়ার আগেই "জন বিস্ফোরণ" রাস্তায় মিছিল করেছেন, প্রতিবাদে ক্ষোভে দাবী আদায় করেছে।
এদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলয়, কোটা সংস্কার আন্দোল সেই ভার্চুয়াল যুদ্ধের অংশ, আজ হয়তো লক্ষ করেছেন সরকারের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ সাইট হ্যাকারদের দখলে ছিল, দু:খের বিষয় এই যে, জনগুরুত্বপূর্ণ ঐ সকল সাইট যদি খারাপ মানুষের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় তখন কি করবেন?
জনদাবী কখনো বলে কয়ে, মিডিয়ায় প্রচার করে আসবে না, আগামিতে প্রত্যেকটি গণ আন্দোলন সকল মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিস্ফোরণের ন্যায় জনতার সম্মুখে উপস্থিত হবে।
সাংবাদিকতা যে অর্থে আমরা বুঝি, ভার্চয়াল যুদ্ধাগণ সাধারণ তাদের উপর নির্ভর করেন না, প্রত্যেকের নিজস্ব প্রচার মাধ্যম আছে, অদুর ভবিষ্যতে হয়তো আরো যুগান্তকারী ডিভাইজ আসবে, তখন এই যুদ্ধটা ঠেকানোর সাধ্য কোন সরকার বা রাষ্ট্রের হাতে থাকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:২২