somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট্ট একটি আনন্দ সংবাদ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই

০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তখন ভোরের কাগজে কনট্রিবিউটিং করি। কনট্রিবিউটিং মানে হলো, স্টাফ না, কিন্তু ফিচার পাতায় লেখা জমা দেই, সে লেখা ছাপা হলে মাস শেষে লেখক সম্মানী পাই। সময়টা ১৯৯৬ সাল।

সেই সময়ে ভোরের কাগজ অফিসে মিষ্টি খাওয়ার কথা মনে পড়ে। কারণ কি? কারন সে সময়ের সম্পাদক মতি ভাই হাসিমুখে এসে আমাদের খবর দিলেন পত্রিকাটির সার্কুলেশন তখন এক লাখের মাইলস্টোন পেরিয়েছে। বাংলাদেশে তখন সার্কুলেশন হিসেব করলে ভোরের কাগজ ৪ নম্বর পত্রিকা।

সে ঘটনাটি অসম্ভব রকম আলোড়িত করেছিল আমাকে। স্টাফ না হলেও নিজের পত্রিকা মনে করে ভালো লেগেছিল।

আজ তেমন আরেকটি ঘটনা দেখলাম। এখন কাজ করি বিডিনিউজে। পুরো নাম বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম। এ প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশনা। ফলে এখানে সার্কুলেশনের সংখ্যা হিসেব করার কোনো উপায় নেই। যেটি আছে তা হলো ওয়েবসাইটটি প্রতিদিন কতোজন করে ভিজিটর পায় সেই হিসাব।

সারা দুনিয়ায় এ হিসাবটি রাখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠান আছে যার নাম অ্যালেক্সা। সেই অ্যালেক্সার হিসাব দেখাচ্ছে বাংলাদেশে আমাদের দেশী (মানে বাংলাদেশ থেকেই পরিচালিত হয় এমন) ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে বিডিনিউজ এখন দৈনিক ভিজিটরের হিসেবে প্রথম অবস্থানে রয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নতুন চেহারায় এসেছে সম্প্রতি। আরো বেশ কিছু ফিচার শীগগিরই যোগ হবে। প্রতিজন কর্মীর খাটুনি বেড়ে গিয়েছে অনেক। আজকের এই ঘটনাটি যেন সে পরিশ্রমের ফল বলেই মনে হচ্ছে।

না, সেই ভোরের কাগজের মতো করে এখন কোনো উৎসব পালন করছে না বিডিনিউজ। তবে আনন্দটি ঠিকই টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতিজন কর্মীর চেহারায়।

আমার ব্যক্তিগত অনুমান প্রযুক্তি সচেতন এবং বাংলায় লেখালেখি করেন এমন প্রায় সবাই সামহয্যারে ব্লগিং করেন। সে সচেতন ব্লগারদের অনেকের লেখাতেই, বিশেষ করে চলতি সংবাদ, ব্রেকিং নিউজ বিষয়ক পোস্টে বিডিনিউজের রেফারেন্স পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই আমার মনে হয় এটি বিডিনিউজের প্রতি আপনাদের আস্থার প্রকাশ। সে জন্য সবার আগে আপনাদের সঙ্গেই এ আনন্দ সংবাদটি শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো।

ভালো থাকুন সবাই।
২১টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রিয় কন্যা আমার- ৭১

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩১

প্রিয় কন্যা ফারাজা, গতকাল রাতে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
স্বপ্নটা এই রকম: ঢাকা শহরের রাস্তা গুলো সব নদী হয়ে গেছে। নদীতে সমুদ্রের মতো বড় বড় ঢেউ। ভয় পাচ্ছি যদি নৌকা উলটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সঠিক ইতিহাসে জানতে হলে মেজর ডালিমকেও আমলে নিতে হবে

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯

সঠিক ইতিহাস জানতে হলে যেমন আপনাকে মেজর ডালিমের বক্তব্যকে আমলে নিতে হবে তেমনি ‌শেখ মুজিবের বক্তব্যও নিতে হবে।

আপনি একজনের ১৭ বছর একই ওয়াজ করা বক্তব্যকে বাইবেল আর মেজর ডালিমের বক্তব্যকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার ঘোষক কে?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৭

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে "আসসালামুয়ালাইকুম" বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানানোর ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি তখন পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার, ভাষা, ও স্বাধীনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেলিম অনোয়ারের ব্যান নিয়ে আপনি কিছু বলছেন না কেন?

লিখেছেন জেনারেশন৭১, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৫



এই ব্লগে কাকে ব্যান, সেমিব্যান, কমেন্ট ব্যান করলে আপনি খুশী হয়ে থাকেন? চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে নিশ্চয়ই; এটা ভালো! চাঁদগাজী/সোনাগাজী "ব্যক্তি আক্রমণ" করে থাকে। সেলিম আনোয়ার কি আক্রমণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ষড়যন্ত্র করে অন্য দেশের সাহায্য নেয়া আওয়ামীলীগের পুরানো অভ্যাস

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৭

বহুদিন পর্যন্ত এই দেশের লোক জানতো যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মিথ্যা ছিল। জনগণের ধারণা ছিল শেখ সাহেবকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের শাসকরা এই মামলা সাজিয়ে ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×